আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিঃ সেন, এক্ষুণি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন, দয়া করে অপদার্থতার তকমা নিজের গলায় ঝুলাবেন না।

Prothom Alo ঢাকা, সোমবার, ২ জানুয়ারি ২০১২, ১৯ পৌষ ১৪১৮, ৭ সফর ১৪৩৩ যোগাযোগ রেলের ‘কালো বিড়াল’ ধরবেন কবে সাইফুদ্দীন চৌধুরী | তারিখ: ০২-০১-২০১২ ৭ মন্তব্য ট্রেনে এত ভিড়, তবু লোকসান হয় কেন? আমার এক শিক্ষক বন্ধু কয়েকদিন আগে রাজশাহী স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে টিকিট না পেয়ে ফিরে আসেন। কিন্তু তাঁর পিয়ন কিছু টাকা বেশি দিয়ে তাঁকে স্টেশন থেকে ট্রেনের টিকিট এনে দেন। শিক্ষক শুনলেন একটু বেশি টাকা দিলে সব সময় টিকিট পাওয়া যায়। বন্ধু বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, এখন দেখছি রেল পরিবহনে আরও বেহাল দশা হয়েছে। নবগঠিত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার সময় রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেছিলেন, ‘গাই বুড়া, বিয়ানো শেষ’।

ক্ষমতা গ্রহণকালে মন্ত্রী মহোদয় হতাশ হয়েই বোধ করি এই মন্তব্য করেছিলেন! আদতেই রেল পরিবহনব্যবস্থায় কোনোই পরিবর্তন আসেনি। বরং সম্প্রতি অবনতির অনুপাত অনেক গুণে বেড়ে গেছে। শুধু রাজশাহী-ঢাকা পথেই নয়, দেশের সর্বত্রই আন্তনগর ট্রেনের টিকিট নিয়ে ওই তুঘলকি কাণ্ড চলছে। ট্রেনে এত ভিড়, তবু লোকসান হয় কেন? রেলের টিকিট বিষয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ রেলমন্ত্রীর দপ্তরে টেকনো হ্যাভেন কোম্পানি উত্থাপন করেছে, তাদের বিবরণ সত্যিই ভয়াবহ। ওই কোম্পানি রেলের টিকিটের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসূত্রতার প্রমাণ পেয়েছে।

টেকনো হ্যাভেন উল্লেখ করেছে, স্টেশনগুলোর ডেটাবেইস থেকে টিকিটের বিক্রয়মূল্য মুছে ফেলা হয়, টিকিটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয় এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালোবাজারিদের হাতে ওই টিকিট তুলে দেওয়া হয়। প্রতিটি বিক্রীত টিকিট থেকে সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থও আদায় করা হয়। কী ভয়াবহ চিত্র? ট্রেন যাত্রার সময় সমস্যায় পড়ে যাত্রীরা, যখন নির্ধারিত সময় ট্রেন ছাড়া হয় না। আরও সমস্যা হয় যখন অনির্ধারিত স্টেশনে ট্রেন থামানো হয়। রাজশাহী থেকে প্রতিদিন তিতুমীর আন্তনগর ট্রেন পার্বতীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সকাল সাড়ে ছয়টায়।

পার্বতীপুর পৌঁছার কথা বেলা ১১টায়, কিন্তু পৌঁছায় বেলা একটায়। ট্রেনটির নিয়মিত অনির্ধারিত স্টপেজ রয়েছে হিলি স্টেশনে। সীমান্তবর্তী এই অনির্ধারিত স্টেশনে নিয়মই হয়েছে অন্তত আধঘণ্টা ট্রেন থামিয়ে রেখে চোরাচালানির মালামাল ওঠানো। রেলের একশ্রেণীর কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মী এই অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। রেল মন্ত্রণালয় সৃষ্টির আগের এই চিত্রের কোনো পরিবর্তন আসেনি।

রেল পরিবহনব্যবস্থা সুষ্ঠু করা গেলে সরকারকে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের অর্থ ভর্তুকি তো দিতেই হবে না, অধিকন্তু লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব। রেল পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন করে, একে দেশের প্রধান পরিবহন, অর্থাৎ ‘গণপরিবহন’ হিসেবে রূপান্তর করা সম্ভব। পাকিস্তান আমলে আমাদের দেশে রেল পরিবহন যে পর্যায়ে ছিল, তা থেকে কোনো উন্নতি হয়নি, অধিকন্তু নানা ক্ষেত্রে অবনতিই হয়েছে। বাংলাদেশ আমলে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা সামান্য কটি বাড়লেও মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা অর্ধেকে নেমেছে। রেলপথের পরিমাণও বাংলাদেশ আমলে কিছু কমে গেছে।

এ অবস্থাকে আরও সংকটে ফেলে দিয়েছে জনবলের অভাব। রেলওয়ের এক তথ্য বিবরণী থেকে জানা গেছে, জনবল সংকটে পড়ে তিন শতাধিক রেলস্টেশনই বন্ধ হয়ে গেছে। খালাসি, ট্রেন কন্ট্রোলার, ট্রাফিক অ্যাপ্রেনটিস, গার্ড, পোর্টার, ওয়েম্যান, স্টেশনমাস্টার, টুলকিপার, ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস ও বুকিং সহকারীসহ অসংখ্য পদে জনবলের অভাব রয়েছে। কারও কারও মতে, বাংলাদেশ রেলে কমপক্ষে আধা লাখ জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। রেল পরিবহনব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং একে গতিশীল করতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বিশেষ আওতায় আনতে হবে।

প্রথম দিকে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলোর বিভিন্ন কৌণিকে উন্নতি বিধান করতে হবে, যাত্রী পরিবহন ও মালামাল পরিবহনের দৃষ্টিকোণ থেকে। প্রয়োজনীয় ডিজেল, ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ সংগ্রহ করতে হবে, যাতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়। বিশ্বের অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও রেল খাতে বেসরকারি অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে হবে। রেল মন্ত্রণালয় অবশ্যই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সহায়তায় লাইনস অব বিজনেসের (এলওবি) মাধ্যমে রেলওয়েকে সংস্কার করতে পারেন। কমিউটার ট্রেনগুলোর দিকে মন্ত্রণালয়ের নজর দিতে হবে।

যানজট নিরসনে এবং স্বল্পপথ অতিক্রমে কমিউটার ট্রেনের ভূমিকা অনেক। আরও দুটি বিষয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এর একটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ক্যারেজ ও ওয়াগন কারখানার আধুনিকায়ন। উনিশ শতকের শেষের দিকে আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের স্টিম লোকোমোটিভ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই কারখানাটি তৈরি করা হয়েছিল। ৩৫ একর জায়গাজুড়ে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানায় যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ির মেরামত ছাড়াও রোলিং স্টকে ব্যবহার্য বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উৎপাদন, বৈদ্যুতিক মেশিনের মেরামত এবং বিভিন্ন নিরাপদ যন্ত্রের (সেফটি আইটেম) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হতো।

এখনো সেসব কাজ কিছু কিছু করা হয়ে থাকে। দুঃখজনক যে পুরোনো এই কারখানার যন্ত্রপাতির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এর আধুনিকায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অনুরূপ সংস্কার ও আধুনিকায়ন জরুরি দেশের অপর বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরের। রেল পরিবহনব্যবস্থায় ব্যয় কম।

অন্যান্য পরিবহনে, বিশেষ করে, সড়কপথ ও নৌপথ থেকে এই পথের দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কম। কাজেই দেশের মানুষ নিরাপদ যাত্রার জন্য রেলপথকেই বেছে নিচ্ছে। সরকার ট্রান্স এশিয়ান রেলপথ চালু করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত হয়ে পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে ওই রেলপথ। আধুনিক ওই রেলপথের সঙ্গে বাংলাদেশের রেলব্যবস্থাকে মেলাতে চাইলে রেল পরিবহনের আধুনিকায়ন ছাড়া গত্যন্তর কী? দুষ্টচক্রের হাত থেকে রেলকে বাঁচাতে হবে।

রেলমন্ত্রী এ জন্যই বোধকরি রেলের ‘কালো বিড়াল’ ধরতে চেয়েছেন। তিনি শুধু কথায় নাকি আদতেও কাজ করে দেখাতে পারেন, মানুষ সেই প্রতীক্ষায় আছে। ড. সাইফুদ্দীন চৌধুরী: গবেষক, অধ্যাপক, ফোকলোর বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। study.international.mq.edu.au modammed D islam modammed D islam ২০১২.০১.০২ ০৩:৫৯ Rat can`t catch cat. ২০১২.০১.০২ ০৯:২৮ দু'বছর পার হতে দেন না ভাই তারপরে কালো বিড়াল ধরবে তখন অন্য দলের লোক পাওয়া যাবে আর এখন ধরতে গেলে যে দলীয় বিড়াল------ (কথা বললেই পালন করতে হবে এমন কোন আইন নেই) Hossain Joki Hossain Joki ২০১২.০১.০২ ০৯:৫৩ Hope new minister will take some effective initiatives... ....all the best! imtiaz ahmed chowdhury imtiaz ahmed chowdhury ২০১২.০১.০২ ০৯:৫৭ কালো বিড়াল ধরবেন উনি বলেছেন । কোনো কছু বললেই কি তা করতে হবে ? sikder sikder ২০১২.০১.০২ ১০:০৪ Ticketing system should be modern and easy access to buy. In fact passenger who wants to buy ticket but can't due to time limitation, long queue and limited scope to buy. So, ticket should be software based, so that any body can buy from anywhere like dept store, post office where there is online system and when it would be bought that will be shown the figure of ticket selling and it will be automated system. Train fair should be uniform for all train and one ticket should be used for every train particularly for short distance traveling like kamalapur to airport and narayanganj. Short distance train management should be privatized otherwise taka 10 bribe to TT for short distance may not be stopped. Express way should be in downtown area instead of uttara to dhaka. Following Melbourne train network system we can think uttara to hirajheel, manikgang to hirajheel, sonargaon to dhaka and manikgank to dhaka and mawa to dhaka train network. That will save human life, time, money energy, traffic jam and overall pollution. It will be sustainable as it has no earthquake risk and costing will be much lesser then present express way concept. ২০১২.০১.০২ ১০:১২ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কপথে ভাড়া ২৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া ৩৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৮ টাকা করা হয়েছে।

আর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলের ভাড়া হচ্ছে ৮ টাকা। গাড়ীর কোন টাইম টেবিল নাই। যখন খুশি তখন আসছে যাচ্ছে, তারপরও রেলের প্রতিটি বগি ১০০% সিট ভর্তি হয়ে আর ১০০% যাত্রী দাড়ীয়ে যাতায়ত করে। সবাই বিনা টিকেটে। এই হচ্ছে রেলের ব্যবস্থাপনা।

২০১২.০১.০২ ১০:১২ চাই রেল ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন। বর্তমান অপারেশন সিষ্টেম পরিবর্তন করে অনলাইন আরেশন সিষ্টেমে স্থাপন। কম্পিউটার দ্বারা সিগনাল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ। সর্বপরি রেল অপারেশন ডিজিটালাইজন করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কারণ অনলাইন অপারেশন সিষ্টেমে কখনো একটি রেল গাড়ী আর একটি রেল গাড়ী মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে না।

নারায়ণগঞ্জ রেলের ভাড়া হচ্ছে ১০ টাকা। গাড়ীর কোন টাইম টেবিল নাই। যখন খুশি তখন আসছে যাচ্ছে, তারপরও রেলের প্রতিটি বগি ১০০% সিট ভর্তি হয়ে আর ১০০% যাত্রী দাড়ীয়ে যাতায়ত করে। সবাই বিনা টিকেটে। এই হচ্ছে রেলের ব্যবস্থাপনা।

Nanak Kanti Sen Nanak Kanti Sen ২০১২.০১.০২ ১২:৩০ [ আপনার মন্তব্য বিবেচনার জন্য অপেক্ষমান এবং সকলের নিকট প্রদর্শিত নয় ] সুরঞ্জিত বাবু, এক্ষুণি নজর দিন নতুবা কলঙ্কের বো ঝা অাপনাকেো বইতে হবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।