আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, কাদের সিদ্দিকী আসল রাজাকার কে?

হট নিউজ বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় রাজাকার। এজন্য সরকার সতর্ক অবস্থানে সবসময়। তারা রাজাকার খুঁজতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধের ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম কেও রাজাকার বলছে। শুধু রাজাকার নয় পাকিস্থা্নের গুপ্তচর বলেও মন্তব্য করেছেন মাথা মোটা হাফমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। শুধু তিনি নয় আরো অনেকমন্ত্রীও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।

কিছুদিন শাজেদা চৌধুরী জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্বীকার করেছেন। যা হোক বিরোধীদল কে ঘায়েল করার জন্য হয়তো মাত্রাতিরিক্ত অপপ্রচারে ব্যস্ত বলে ধরা যাক। কিন্তু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম কে ও রাজাকার বলে মন্তব্য করা শুরু করেছেন তারা। কারণ তিনি তথাকথিত ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে অবন্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন ট্রাইবুনালের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধীদলকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দেয়া।

যা সাধারণ মানুষ ও অনুধাবন করছে। বর্তমান সরকারের ছেলা-পোলাদের সামনে কিছু বল্লে নির্ঘাত মামলা মকদ্দমা ঢুকতে হবে। যেভাবে ঝাকে ঝাকে ডুকানো হচ্ছে। কিছুদিন আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এক অনুষ্টানে বলেছেন আমি যদি রাজাকার হই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বড় রাজাকার। সরকারের চামচার রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধাদের একপাল্লায় তুলে তাদের মনের খায়েশ পুর্ণ করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু ফল বিপরীতে যাচ্ছে। জনগন বিব্রত হচ্ছেন এসব বক্তব্যে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব বলার কারণ কি? বিশেষজ্ঞদের মতে সরকার তাদের ব্যর্থতা ডাকতে এই সাত-পাচ করছে। তারা সবদিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘অগ্রাধিকারের পাঁচটি বিষয়' উপ-শিরোনামে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা থেকে দারিদ্র্য ঘোঁচানো এবং বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান পর্যন্ত অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ে অঙ্গিকার করা হয়েছিল।

কিন্তু এক্ষেত্রে অঙ্গিকার পূরণের ধারে-কাছে যায়নি সরকার। উদাহরণ হিসেবে দ্রব্যমূল্য থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম পর্যন্ত যে কোনো বিষয়কে সামনে আনা হলে দেখা যাবে, লম্বা কথা আর আশ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয়ার বাইরে এক ইঞ্চি পরিমাণ কৃতিত্বও নেই আওয়ামী লীগ সরকারের। কারণ, এমন কোনো একটি পণ্যের নাম বলা সম্ভব নয় যার দাম বাড়েনি দলটি ক্ষমতায় আসার পর। শুধু যে বেড়েছে তা নয়, প্রায় ক্ষেত্রে বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এখনো বেড়েই চলেছে।

সদ্য প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খানের একটি ‘ঐতিহাসিক' পরামর্শের কথা পাঠকদেরও মনে পড়তে পারে। শেখ হাসিনার বন্দুকধারী পূর্বসুরি জেনারেল মইন উ যেখানে ‘আলু' তথা কিছু একটা ‘বেশি করে' খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, সেখানে এই কর্নেল খান জনগণকে বলেছেন ‘কম' খেতে। বলেছেনও আবার এমন এক কঠিন সময়ে যখন পণ্যের আকাশমুখী দামের ঠেলায় মানুষের জিহবা বেরিয়ে পড়ি পড়ি করছিল। দাম যে কমবে না সে ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীও তখন ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছিলেন। মিস্টার মুহিত সপ্তাহে একদিন বাজারে না যাওয়ার উপদেশ বর্ষণ করেছিলেন।

অর্থাৎ দাম কমানোর চেষ্টার পরিবর্তে মন্ত্রীরা বেড়ে চলা দামের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য নসিহত করেছেন, যাকে বিপন্ন মানুষের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। আর সবকিছু ডাকতে রাজাকার তেলেসমাতি নিয়ে দেশবাসী কে ব্যস্থ রাখার চেষ্টা। বীর উত্তমদেরও সেই তেলেসমাতিতে নিমজ্জিত হতে হচ্ছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।