শাফিক আফতাব-----------
গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহে গ্রীনরোডে এক নামকরা সাহিত্যিকের বাসায় যেতেই বিশাল এক সাইনবোর্ডে জেসিকার নামের আগে দেখলাম ডা. লেখা। এবং নামের শেষে উঠতি মধ্যবিত্তের বধুঁর কানের মতো একগুচ্ছ ঝুমকা। ডিগ্রির ভারে নেতিয়ে পড়েছে তার ছোট্ট নামটি, সাড়ে ন’মাসের গর্ভবতী নারীর স্তন যেন রসালো হয়, ঝোলে, অবিকল যেন। মনে হলো এই ডাক্তারনীর সাথে ঘর বাঁধলে আমার ডাক্তারী পরীক্ষাটা ঠিকঠিক হতো হয়তো, টেস্টের জন্যও এত টাকা বাণিজ্যিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টোরকে দেয়া লাগতো না। তাছাড়া আমার থার্মোমিটারে কত পারদ ওঠে, কত ডিগ্রি সেলিসিয়াস সহবাসের জন্য উপযুক্ত সব ঠিকঠাক চলতো।
কেনো যে আফ্রিকান মেয়ে ভেবে কেটে পড়লাম, আজ আমার স্বাস্থ্যটাও হতো বেশ নাদুসনুদুস। উত্তেজক ওষুদ সব খেয়ে খেয়ে রাত্রিবেলা সমুদ্রভ্রমণে যেতে পারতাম। তারপর পৃথিবীর সবচে অনুভবের বেলাভুমি ঘিরে ঘুরেফিরে বীচে এসে ক্লান্ত দেহে ইনজেকশন ফুরতাম ডাক্তারনীর উপকূলবর্তী এলাকায়।
জেসিকা আমর কী না হতে পারতো। অথচ আজ এক আলাদা পুথিবীর অধিবাসী।
......... যার সাথে আমার দুরত্ব পৃথিবী থেকে মঙ্গর গ্রহের দুরত্ব যতটুকু।
৩১.০৩.২০১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।