বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক
টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি
মহিউদ্দিন আহমদ | তারিখ: ২৯-১২-২০১১
মাঝেমধ্যে শোনা যায় পেঙ্গুইনরা দলবদ্ধভাবে আত্মহত্যা করে। কেন করে, জানি না। জাতি হিসেবে বাঙালিও আত্মহত্যাপ্রবণ। আত্মঘাতী বাঙালি নামে আমার প্রিয় লেখক নীরদ চৌধুরীর একটি বই আছে। শিরোনামটির সঙ্গে আমি একমত।
ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে আমরা বুঝে না-বুঝে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিই, যা আত্মহত্যার শামিল। তেমনি একটি বিষয় নিয়ে আজ লিখব।
আমরা জানি, রাজনীতিবিদেরা অনেক সময় অনেক কিছু বলে থাকেন, যার পেছনে যুক্তি থাকে না। কী বললে মানুষ খুশি হবে, হাততালি দেবে, তা তাঁরা বুঝে নিতে কসুর করেন না। আর কিছু কিছু মানুষ আছে, যারা ওই সব কথা শুনতে পতঙ্গের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে।
‘জনতা’ শব্দটির একটি ইতিবাচক তাৎপর্য থাকলেও এ ধরনের ঝাঁপিয়ে পড়া মানুষকে ‘ক্রাউড’ হিসেবে দেখা হয়। এই ক্রাউড কখনো-সখনো দাঙ্গা বাধাতে পারে, কিন্তু ইতিহাস তৈরি করতে পারে না। আমরা এখন এই ক্রাউড কালচারে আক্রান্ত। আজকের লেখার বিষয় হলো টিপাইমুখ বাঁধ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রাউড মনস্তত্ত্ব।
বছর তিনেক আগে অঙ্গীকার বাংলদেশ নামে একটি এনজিও এবং আসামের রিভার বেসিন ফ্রেন্ডস নামের অনুরূপ আরেকটি এনজিও যৌথভাবে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ঢাকায় একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিল।
তাদের বক্তব্য ছিল এই বাঁধ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। দুটো এনজিওর কর্তাব্যক্তিদের ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। তাঁরা ভালো মানুষ, এককালে বাম রাজনীতি করতেন। ওই সেমিনারে আমি বলেছিলাম, এই বাঁধ তৈরি হলে মণিপুরের অনেক পরিবার উদ্বাস্তু হবে, তাদের জীবনযাত্রা তছনছ হয়ে যাবে, পরিবেশের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষতি হবে, এ কথাটা বেঠিক।
বরং বাংলাদেশ লাভবান হবে। মণিপুরের মানুষ এই বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে, প্রতিরোধ গড়ে তুললে তার প্রতি আমি সংহতি জানাব। কিন্তু তাদের পর্যাপ্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে যদি এই বাঁধ তৈরি করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের উচিত হবে তার বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। আমি এও বলেছিলাম, আপনারা এই ইস্যুটি তুলে এ দেশের ধর্মান্ধ রাজনৈতিক অপশক্তির হাতে একটি মারাত্মক অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন। আজ আমার আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
এই রাজনৈতিক অপশক্তির সঙ্গে জোট বেঁধেছে কিছু নির্বোধ অথবা চতুর ‘সুশীল’, যাঁরা একসঙ্গে রা তুলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি হলে বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাবে, বাংলাদেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি। আমি যেহেতু এই বাঁধের পক্ষে, তাই এই বিষয়ে দু-একটা কথা বলতে চাই। যেহেতু টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী একটা মনস্তত্ত্ব ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে আমাদের জাতীয় পর্যায়ে, আমাকে এ জন্য বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত হাজির করতে হবে।
আমাদের জানা আছে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা দিয়ে যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায় তার শতকরা ৮৭ ভাগ আসে সীমান্তের বাইরে থেকে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্রের অংশ ৫৫ শতাংশ, গঙ্গার অংশ ৩৬ শতাংশ, আর মেঘনার ভাগ ৯ শতাংশ, মেঘনার পানির প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম হলেও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এ অঞ্চলে যে পরিমাণ পানি উজান থেকে এসে মেঘনায় ‘লীন হয়ে যায়’, তার ৩১ শতাংশ আসে মেঘালয় থেকে, ৫ শতাংশ আসে ত্রিপুরা থেকে এবং ১৬ শতাংশ আসে মণিপুর, মিজোরাম ও আসামে বিস্তৃত বরাক অববাহিকা থেকে।
নাগাল্যান্ড-মণিপুর সীমান্তে জাভো পর্বতের চূড়া থেকে নেমে আসা বরাক নদীর প্রবাহ ২৫০ কিলোমিটার পেরিয়ে টিপাইমুখ নামের একটা গভীর উপত্যকায় এসে পৌঁছে। তারপর উত্তরে ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফুলেরতল নামক স্থানে এসে আবার বাঁক নিয়ে পশ্চিম দিকে কাছার জেলার ভেতর দিয়ে আরও দূরে অমলশিদে পৌঁছে। অমলশিদ হলো আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। এখানে বরাক দুই ভাগ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে।
একটি কুশিয়ারা এবং অন্যটি সুরমা। এই দুটো নদী আবার দিলালপুর নামক গ্রামে এসে একত্র হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করে।
টিপাইমুখ উপত্যকার গভীর খাদ এবং চারদিকের খাড়া পাহাড়ের জন্য এটা জলাধারের পক্ষে একটা আদর্শ স্থান। প্রথম দিকে ভারত সরকারের চিন্তা ছিল, কাছারের সমতলে সেচ সুবিধা দেওয়া এবং শিলচর শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে বরাক থেকে পানি নিয়ে আসা। এর ফলে টিপাইমুখের আশপাশে বন্যা সমস্যারও একটা সুরাহা হবে।
কিন্তু দেখা গেল, এটা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল কাঠামো। শুরু হলো নতুন করে চিন্তাভাবনা। প্রাক-সমীক্ষায় দেখা গেল এর চেয়ে কম উচ্চতায় বাঁধ তৈরি করে যদি জলবিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তাহলে আর্থিক দিক থেকে তা লাভজনক হবে।
১৯৯২ সালের যৌথ নদী কমিশনের প্রস্তাবনা অনুযায়ী টিপাইমুখ বাঁধের উচ্চতা হবে ১৬১ মিটার এবং দৈর্ঘ্য হবে ৩৯০ মিটার। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১৫০০ মেগাওয়াট।
জলাধারের ধারণক্ষমতা হবে ৯ ঘনকিলোমিটার। এখন দেখা যাক, এই বাঁধ তৈরি হলে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে এর ২২৫ কিলোমিটার ভাটিতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অমলশিদ গ্রামে বরাকের পানিপ্রবাহে কী অভিঘাত হবে।
টিপাইমুখে শুধু যদি জলবিদ্যুৎ তৈরি হয় এবং সেচের জন্য যদি পানি সরিয়ে না নেওয়া হয়, তাহলে অমলশিদে আমরা যে চিত্রটি পাব তা হলো:
জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পানিপ্রবাহ ৪০ শতাংশ কমে যাবে।
জুলাই মাসে নদীতে পানির উচ্চতা হ্রাস পাবে ২.৬ মিটার।
বর্ষা মৌসুমে বন্যার প্রকোপ কমে যাবে ৩১ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি মাসে, যখন পানির প্রবাহ স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়, তখন তা ৭১৩ কিউসেক (ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ডে) বেড়ে যাবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়বে ৩ দশমিক ৫ মিটার।
শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়বে ৯ ঘনকিলোমিটার।
যদি জলবিদ্যুৎ তৈরির সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রত্যাহার করে কাছার সেচ প্রকল্প চালু করা হয়, সেজন্য ফুলেরতল গ্রামে একটা ব্যারাজ তৈরি করতে হবে। খনন করতে হবে দুটো খাল, একটি ৮৯ কিলোমিটার ও অন্যটি ১১০ কিলোমিটার লম্বা।
এই দুটো খাল দিয়ে বরাকের পানি নিয়ে যাওয়া হবে এবং এর ফলে ১৬৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় সেচ সুবিধা দেওয়া যাবে। বিদ্যুৎ এবং সেচ এই উভয় প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে অমলশিদে বরাকের পানিপ্রবাহে তার যে প্রতিক্রিয়া হবে তা হলো:
জুলাই মাসে আগের মতোই ৪০ শতাংশ প্রবাহ হ্রাস পাবে।
তবে ফেব্রুয়ারিতে যেখানে ৭১৩ কিউসেক পানিপ্রবাহ বাড়ার কথা ছিল, তা হ্রাস পেয়ে ৪০৫ কিউসেক বাড়বে।
নদীতে পানির উচ্চতা বাড়বে ২ দশমিক ১ মিটার।
শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়বে ৪ দশমিক ৯১ বর্গকিলোমিটার।
অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে উভয় ক্ষেত্রে পানিপ্রবাহের মাত্রা একই রকম হ্রাস পাবে। সেচ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারটি যেহেতু শুকনো মৌসুমের, ওই সময় পানিপ্রবাহ যেটুকু বাড়ার কথা তার চেয়ে কম বাড়বে। কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই শুকনো মৌসুমে অমলশিদ হয়ে বাংলাদেশে বরাক নদী দিয়ে সুরমা ও কুশিয়ারায় পানিপ্রবাহ বাড়বে।
এখন বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিবেশ নিয়ে আলোচনা করা যাক। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে শতাধিক হাওর।
বর্ষাকালে হাওরগুলো জলে টইটুম্বর থাকে, কোনো ফসল হয় না। শীতকালে হাওরের পানি শুকিয়ে যায়, কৃষকেরা বোরো ধান চাষ করেন। হাওর অঞ্চলের এখনকার প্রধান সমস্যা দুটো। আগাম বন্যা, যার ফলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে উঠতি ফসল মাঠেই তলিয়ে যায়। আর আছে দেরিতে পানি নিষ্কাশন, যার ফলে বোরো ধান রোপণ করতে দেরি হয়ে যায় এবং তা আগাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়ে।
বর্ষাকালে বরাক দিয়ে পানিপ্রবাহ হ্রাস পেলে এই দুটো সমস্যার কারণে কৃষকেরা যে ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, তা অনেকটা কমে যাবে। পক্ষান্তরে শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়লে তা সেচের জন্য সুফল বয়ে আনবে। অর্থাৎ উভয় মৌসুমেই বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের মানুষ লাভবান হবে। হাওর প্রতিবেশ যাঁরা জানেন, তাঁরা এ বিষয়টি বুঝবেন। না বুঝলে বলতে হবে তাঁরা আসলে যা করছেন, তা হলো ‘ভাবের ঘরে চুরি’।
নদীর উজানে বাঁধ তৈরি ও জলাধার নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়ানোর প্রস্তাব আমাদের পানি বিশেষজ্ঞরা অনেক বছর যাবৎ দিয়ে আসছেন। এ ধরনের জলাধার নেপাল কিংবা ভুটানে হলে আপত্তি নেই কিন্তু ভারতে হলেই অনেকের আপত্তি। কারণ, ‘ভারত শত্রু রাষ্ট্র এবং তারা সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ’ সুতরাং দাবি উঠেছে, টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা যাবে না। এটা হলো ‘নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ’ করার মতো।
আমার প্রস্তাব অত্যন্ত স্পষ্ট। এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়। আর বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারত সরকারের কাছে কো-ফাইনান্সিংয়ের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া, যাতে আমরা ওখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ আনতে পারি।
আমাদের দেশের একশ্রেণীর রাজনীতিক, আমলা এবং বুদ্ধিজীবী ভারতের সঙ্গে শত্রু-শত্রু খেলার ফলে প্রতারিত হচ্ছে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ। এখন মানুষকে সত্যটা জানাতে হবে।
কেউ কেউ আছেন সরাসরি বাঁধের বিরুদ্ধে বলেন না, কিন্তু ভূমিকম্পের জুজুর ভয় দেখান। মানুষ এদের চালাকিটা ধরে ফেলছে। ভারতকেন্দ্রিক আমাদের যে অপরাজনীতি, পারস্পরিক লেনদেন এবং সহযোগিতা বাড়লে এদের রাজনীতির পুঁজি নিঃশেষিত হয়ে যাবে। তাই তাঁরা নানা রকম খোঁড়া যুক্তি তুলে এসব প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন সচেতনভাবেই।
আমাদের দেশে অনেকেই ড্যাম আর ব্যারাজের পার্থক্য বোঝেন না।
কাপ্তাই বাঁধ তৈরির ফলে মরুভূমিটা কোথায় তৈরি হয়েছে, সেটা তাদের খুঁজে দেখার অনুরোধ করছি।
আমি এই লেখায় যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছি, তা আমি কোথায় পেলাম এই প্রশ্ন উঠতে পারে। কানাডীয় উন্নয়ন সংস্থার (সিডা) সাহায্যে বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। প্রতিবেদনটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ফ্লাড প্ল্যান কো-অর্ডিনেশন অর্গানাইজেশন প্রকাশ করে ১৯৯৫ সালের জুন মাসে। ওই সময় এই অর্গানাইজেশনের প্রধান ছিলেন প্রকৌশলী এম এইচ সিদ্দিকি বীর উত্তম।
ওই সমীক্ষা ও প্রতিবেদন তৈরির কাজে যে কয়েকজন যুক্ত ছিলেন, আমি ছিলাম তাদের একজন। এর চেয়ে মানসম্মত তথ্য ও উপাত্ত যদি আর কারও কাছে থেকে থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে আমাদের উচিত হবে, দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো। ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
ভারত এই বাঁধ তৈরি করবেই।
আমাদের কৌশল হওয়া উচিত এ থেকে আমরা কী সুবিধা নিতে পারব, সেই চেষ্টা করা। বিরোধিতা করে এই বাঁধ তৈরি আমরা ঠেকাতে পারব না। আর বিরোধিতা করবই বা কেন?
এ বিষয়ে ভিন্নমত এলে তাও প্রকাশ করা হবে। বি.স.
মহিউদ্দিন আহমদ: লেখক ও গবেষক।
আমার মনে হয় এই শুয়োরের বাচ্চাকে সবাই মিলে মেইল করে গালি দেয়া উচিত।
দেশদ্রোহী মনে হয় একেই বলে...।
এক লোকের কমেন্ট দেখুন এই লেখার নিচে।
"মহিউদ্দিন সাহেব, বিশ্বাস করেন যদি ক্ষমতা থাকতো আপনার নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ঠুকে দিতাম। "
আমিও তাই করতাম
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।