আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক মিনিটের গল্প-একজন অনুগত লক্ষী স্ত্রী, যে তার স্বামীর প্রতি ওয়াদা পালন করেছিলো

ঘাটের এই পারে বসে আছি ঐ পারে যাওয়ার অপেক্ষা। এক যে ছিলো শহর। সেই শহরে ছিলো খুব ধনী কিন্তু বেজায় কৃপণ এক লোক। একদিন সময়ের স্বাভাবিক নিয়মে লোকটি বুড়ো হলো, অসুস্থ হলো। কিন্তু তারপরও কাউকে এতটুকু দয়া দাক্ষিণ্য করতোনা।

একদিন লোকটি বুঝতে পারলো- পৃথিবীতে আর আর বেশীদিন নেই। চির বিদায়ের দিন গনিয়ে আসছে। তাই সে তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে বললো- আমার এতো পরিশ্রমের ধন-সম্পদ রয়ে যাবো, কিন্তু আমি চলে যাবো,তাতো হতে পারেনা, তাই আমি চাই সব সম্পত্তি টাকা পয়সা আমার সাথে আমি কবরে নিয়ে যাবো। স্ত্রী বললো, তা কেমন করে সম্ভব? লোকটি বললো, খুবই সম্ভব। তুমি আমার সব ধন সম্পদ বিক্রি করে টাকা গুলো আমার কবরে দিয়ে দিলেই হয়।

স্ত্রী বললো, ঠিক আছে। আমি তাই করবো। কোনোদিন তোমার কথার এতটুকু বরখেলাপ করিনি, আজো করবোনা। তোমার প্রতি আমার ওয়াদা পালন করবো। যথারীতি , লোকটি মারা গেল।

সমস্ত আনুষংগিক কাজ সমাপ্ত হলো। এখন কবরের ওপরে মাটি চাপা দেয়া হবে। এমন সময় লোকটির স্ত্রী দৌড়ে এসে বললো- একটু অপেক্ষা করুন। আমার স্বামীর ওয়াদা অনুযায়ি,উনার কবরে এই টাকার বাক্সটি রাখতে হবে। এবং মহিলাটি বাক্সটি মৃত স্বামীর কবরে রেখে বাসায় ফিরলো।

এবার মহিলার পু্ত্র-কন্যা, পাড়া- প্রতিবেশিরা জিগ্গাসা করলো- আপনি এত বিদুষী আর গ্যানি মহিলা হয়ে এ কাজটি কেমন করে করলেন। এই টাকা গুলো কি উনার কোনো কাজে লাগবে। পোকায় খাবে, নষ্ট হয়ে যাবে, পঁচে যাবে। মহিলা বললো, স্বামীর প্রতি আমার ওয়াদা পালন করলাম। উনার সমস্ত টাকা ব্যাংকে রেখে, উনার নামে একটা চেক লিখে বাক্সে রেখে দিয়েছি।

উনি উনার প্রয়োজন মতো চেক ক্যাশ করে খরচ করতে পারবে যদি উনার দরকার হয়। আর উনি এতিম ছিলেনতো, তাই উনার নামে আমি একটা এতিম খানার কাজ শুরু করে দিয়েছি। চৈনিক উপকথা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।