প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেটের অনাগত সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই তাঁর বংশলতিকা নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত হয়েছেন এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা পাঁজিপুঁথি ঘেঁটে এমন সব তথ্য বের করছেন, যা রীতিমতো চমকপ্রদ।
প্যারিসের এক সাধারণ অভিনেত্রী থেকে শুরু করে রুমানিয়ার ‘ড্রাকুলা’ প্রিন্স এবং স্পেনের সেভিলের এক সুলতানের রক্ত নাকি রয়েছে উইলিয়াম-কেটের সন্তানের শরীরে।
ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী উইলিয়ামের বংশলতিকা ইউরোপের গথা বংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যুক্তরাজ্যের সব রাজা ছাড়াও গ্রিস, ডেনমার্ক, সুইডেন, রাশিয়া, অস্ট্রিয়া, স্পেন ও বেশ কয়েকজন জার্মান রাজা-রানির সঙ্গে গথা বংশের যোগসূত্র রয়েছে।
১৯১৭ সালের আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারকে তাই স্যাক্সে-কোবার্গ-গথা বলেই ডাকা হতো। সে বছর জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর উইন্ডসর নাম বেছে নেয় ব্রিটিশ রাজপরিবার।
অন্যদিকে হবু মা কেট মিডলটনের পূর্বপুরুষদের মধ্যে বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ। প্রয়াত রানিমাতা (রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা) ও প্রিন্সেস ডায়ানাও (উইলিয়ামের মা) জন্মসূত্রে রাজকুমারী ছিলেন না।
কেট মিডলটনের বাবার দিকের পূর্বপুরুষেরা অপেক্ষাকৃত ধনাঢ্য ছিলেন।
তবে তাঁর মায়ের পূর্বপুরুষদের বেশির ভাগই কর্মজীবী শ্রেণীর মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কয়লাখনির কর্মী, পাউরুটি প্রস্তুতকারী, এমনকি লন্ডনের রাস্তার ঝাড়ুদারও। আবার তাঁদের মধ্যে ছিলেন আর্থার লুপটন নামের একজন, যিনি কিনা অমর জার্মান কবি ও নাট্যকার গ্যেটেকে ইংরেজি শিখিয়েছিলেন। এই তালিকায় আছেন ১৮৮১ সালে লন্ডনের হলওয়ে কারাগারে বন্দী হওয়া এডওয়ার্ড টমাস গ্লাসবরো। আজ পর্যন্ত তাঁর কারাবন্দী হওয়ার কারণ রহস্যে ঘেরা।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের বংশলতিকায় আরও বিস্ময় আছে। ১৯১০ থেকে ১৯৩৬ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করা পঞ্চম জর্জের স্ত্রী রানি মেরি ছিলেন রুমানিয়ার ট্রান্সসিলভানিয়া ও ওয়ালাচিয়ার প্রিন্সদের বংশধর।
এক ফরাসি নারীর সূত্রে কেটের সন্তান হবে প্রয়াত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁর জ্ঞাতিভাই। ওই নারী আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের বংশধর। এএফপি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।