ঊষর মরুর ধূষর বুকে একটি যদি শহর গড় , একটি হৃদয় সুখী করা তাহার চাইতে অনেক বড় । ছোট্ট গায়ের পারুল ছিল
শ্যামল বরন গা ,
মনটি ছিল পাখির মতো
চঞ্চলতায় ভরা ।
একি গায়ের আনু ছিল
সহজ সরল ছেলে,
লোকে দিতো হাজার দুর্নাম
কোন ছুতো পেলে ।
বলতে পারো, আনু পারুল
এদের কথা কেনো ?
এরাই গায়ের বিরল প্রেমের
ইতিহাস জেনো !
পারুল আনুর প্রথম দেখায়
অন্তরের ডাক সোনা ,
পরের দিনে দুজনাতেই
চিঠির লেনা দেনা ।
আনুর ছিল একটি চাওয়া
মরণে থেকো পাশে
পারুল বলল চাইলে মরন
মরব হেসে হেসে।
সেদিন থেকে আনু পারুল
এক বাধনে বাধা
দুজন যেন ছোট্ট গায়ের
কৃষ্ণ আর রাধা ।
সপ্তাহ জুড়ে সেই অপেক্ষার
ছয়টি দিনের শেষে ,
সপ্তম দিনের সাত সকালে
দুজন উঠতো হেসে ।
পারুল নিতো একটি বেলি
চুলের খোপায় গুজে
আনু যাতে এসেই প্রথম
উপস্থিতি বুঝে ।
রাত পোহাতেই আনু যেতো
সেই পুকুরের ধারে ,
ভালোবাসার হাজার কথা
বলবে প্রেয়সীরে ।
কতো রাত যে কাটায় আনু
শুধুই চোখের জলে !
একটু কাছে থেকে পাওয়ার
স্বপ্ন গড়ে তোলে ।
পারুল শুধু কাঁদতো তখন
আজ ও হবেনা দেখা ,
লোকলজ্জা কলঙ্কের
ভয়ে ভয়ে থাকা ।
ভেবে ভেবে দুজন আবার
বিমুখ পথে যায় ,
যাওয়ার আগে শিমুল তলায়
চিঠি রেখে যায় ।
দুই চিঠিতে একি আবেগ
বড্ড ভালোবাসি ,
তোমায় যদি না পাই আমি
গলায় দিবো ফাঁসি ।
এমনি করে হাজার সময়
গেছে চোখের জলে ,
পারুল আনুর হয়নি দেখা
মিলন হল মরন কালে ।
বধু বেশে পারুল ছিল
আনুর বুকের পরে
পারবোনা না গোঁ কারো হতে
তোমার মনটি ছেঁড়ে ।
যাচ্ছি আমি পরলোকে
তোমার অপেক্ষায় ,
সেইখানেতেই মিলন মোদের
অনিবার্য তাই ।
বলেই পারুল দম হারালো
আনুর বুকের পড়ে ,
বিষের শিশি পড়ল শেষে
আনুর চখের পরে ।
আনু তখন পাগল হয়ে
বুক ফাটিয়ে কাঁদে ,
করলি কি তুই পারুল আমার
আমিও যাব সাথে ।
সকাল হতেই হাযার মানুষ
জোড়া লাশের ধারে ,
আক্ষেপে আর কান্নাতে
আকাশ ভারি করে ।
এখনো গায়ের অনেক মানুষ
তাঁদের কথা কয়,
সত্য প্রেমের অমর কথা
আনু পারুলি হয়।
এখনো সেই জোড়া কবর
দাড়িয়ে আছে ঠায়,
মরলো দুজন প্রেমের কারণ
এমন প্রেম আর হয় !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।