আমি মানুষের শারীরিক বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী নয় ,তবে চারিত্রিক বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী । অনেকদিন পর লিখতে বসেছি । শুরুতেই
বলে রাখছি ,আমি আনাড়ি লেখক । আমার লেখার হাত
অতটা ভাল নয় । তবু এখানে আমার বিচ্ছিন্ন
ভাবনাগুলোকে একি সূতায় গাঁথার চেষ্টা করলাম ।
আবেগ এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত । ভাবের দিক
দিয়ে না হলেও শাব্দিক দিক দিয়ে । এই আবেগের জন্ম
মন । আবেগের জন্ম হঠাত্ না হলেও এর প্রকাশ
হঠাত্ হয় । সব ভালবাসা ,মায়া-মমতার উত্স এই
আবেগ ।
এই আবেগের শক্তি যদি মাপা যেত
তবে হয়ত আমরা চমকে যেতাম । এই
শক্তি মাপতে না পারলেও এর প্রভাব অজানা নয় ।
যেখানে সকল প্রকার যুক্তি একটি নির্দিষ্ট সীমানায়
বন্ধি ,আবেগ সেখানে সীমাহীন ।
সীমারেখা সে মানে না ।
একটি মানুষের জীবনের প্রতিটি ধাপে আবেগের
প্রভাব এক এক রকম ।
এই আবেগ
বয়ঃসন্ধিকালে প্রবল থাকে । তাই হয়ত আমরা এই
সময়টাতে যা গ্রহণ করি মন দিয়ে করি । স্মৃতির
ভান্ডার নানা ছেলেমানুষী প্রবাহচিত্র দিয়ে পরিপূর্ণ
করি । এ সময়টাতে আবেগ যেমন ভাল
কিছুকে আঁকড়ে ধরতে শিখায় তেমনি সেই আবেগ
আমাদের ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । যখন এই
আবেগই আমাদের বাধ্য করে আমাদের জন্য
ক্ষতিকর পথে চলতে ,তখন
আমরা হারিয়ে ফেলি নিজেদের অসিত্বকে ।
আবেগ
আমাদের বাস্তবতা থেকে দূরে সরিয়ে নেয় । আমাদের
বোধ শক্তিকে নষ্ট করে ফেলে । আমি ভ্রান্ত
আবেগের কথাই বলছি ।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে মেয়ে উভয়ই আবেগপ্রবণ হয় ।
তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে তা বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত
হয় ।
সম্প্রতি মানসিক বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ
করেন যে ,বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের
আত্মহনণের ,নিজেকে শারীরিকভাবে আঘাত করার
প্রবণতা বেশি দেখা যায় ,এবং এর কারণগুলোর
অন্যতম একটি ,ভ্রান্ত আবেগ । আবেগের
বশে যুক্তিকে হারিয়ে ফেলে । হিতাহিত জ্ঞানটুকুও
লোপ পায় ।
এ কথা অনস্বীকার্য যে,একটা মানুষ আর
একটা রোবটের মধ্যকার পার্থক্য এই আবেগ ।
আবেগহীন মানুষ অকল্পনীয় ।
তবু ভ্রান্ত আবেগ
থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে নিজেদের স্বার্থে ।
আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে জীবনকে আঘাত
থেকে রক্ষার নিমিত্তে । কাল না হয়ে আবেগ হোক
পথচলায় কল্যাণময় । . . .(সংক্ষেপিত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।