আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতি কচলানো লেবু ও যুদ্ধাপরাধের বিচার

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়... অনেকদিন আগে শাহরিয়ার কবিরের একটা সাক্ষাৎকার দেখেছিলাম। উনি যেটা বলেছিলেন তা ছিলো মোটামুটি এরকম যে অভিযুক্ত যুদধাপরাধীদের যদি সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার হয় তাহলে সমস্যা তো নাই;বিচারে যদি উনারা দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে শাস্তি-অপমান হবে,আর প্রমানিত না হলে তো অভিযুক্তরা শুধু রেহাই-ই পাবেন না,তাদের জয় হবে আর শাহরিয়াররাও আর এধরনের কথা বলবেন না। খুবই ভালো ও যুক্তিযুক্ত কথা। আর যারা অভিযুক্ত তারা দাবী করছেন তারা যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত নয়। তাদের জড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক কারণে।

লক্ষণীয় যে,সব পক্ষই মনে না হোক অন্তত মুখে সঠিক,নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচারের কথা বলছে। এখন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়,ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ চলছে। এখন সবার কী করা উচিৎ?বিচারকাজ সঠিক,নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা এবং সাধ্যমত তাতে সহায়তা করা,তাই নয় কি? কিন্তু দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত সব ব্যাপার। রাস্তায় একটা টায়ার ফাটলেও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন এটা যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের ষড়যণ্ত্র,এই একই বুলি বারবার কপচানো হচ্ছে। মণ্ত্রী পর্যায়ের লোকজোন বলছেন বিচারের দরকার কী,সরাসরি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া হোক।

আরে ভাই তাহলে আর দেশে বিচার বিভাগ রেখে লাভ কী,আর মানবাধিকার শব্দটা মুখে আনার ই বা দরকার কী?এসব মন্তব্য বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই করবেনা। লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়। যুদ্ধাপরাধের ইস্যু নিয়ে এরকম হাস্যকর ও অতি উৎসাহী কার্যকলাপ দিনরাত চালিয়ে গেলে পুরো বেপারটাই একসময় আবেদন হারাবে। এটা ছাড়াও দেশে অনেক সমস্যা আছে। সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাব্যী।

তাই সঠিক,নিরপেক্ষ ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচারের প্রত্যাশা্য়.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।