আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৪৩ হাজার বৈধ অস্ত্রের হদিস নেই

লাইসেন্সকৃত ৪৩ হাজারেরও বেশি 'আগ্নেয়াস্ত্রের' হদিশ মিলছে না। শুধু অস্ত্র নয়, সাত-আট বছর ধরে এসব অস্ত্রমালিকেরও কোনো খোঁজ নেই। পুলিশ, ডিবি, র‌্যাবের অভিযানেও পাওয়া যাচ্ছে না অস্ত্রগুলো। দীর্ঘদিন ধরে এসব অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নও হচ্ছে না। ফলে একসময়কার বৈধ অস্ত্রগুলো এখন পুরোপুরি অবৈধ হিসেবে দেশের সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে, খাটছে ভাড়ায়।

সরকারি এ হিসাবের বাইরেও অপরাধীদের কাছে আরও অসংখ্য ঝকঝকে-চকচকে অস্ত্র রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাইসেন্স করা ৪৩ হাজার ১৭৬টি অস্ত্রের হদিশ নেই। এর মধ্যে খোদ ঢাকাতেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না প্রায় ৩৮ হাজার অস্ত্রের। ঢাকার বাইরে হদিশহীন রয়েছে আরও ছয় হাজার আগ্নেয়াস্ত্র। এগুলো এখন ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র অস্ত্রের ব্যাপক বিস্তার এবং তা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে পুলিশের মহাপরিদর্শক পর্যন্ত সবাই স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ কারণে দুই বছর ধরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানকে সর্বোচ্চ গুরুত্বও দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ক্ষেত্রে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিটের প্রতি বিশেষ নির্দেশ রয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে মোট লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা দুই লাখ তিন হাজার।

এর মধ্যে ঢাকাতেই আছে ৭০ হাজার ৮৫৭টি। ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীরগুলো ছাড়া সব লাইসেন্স করা অস্ত্র জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় প্রথম দফায় ঢাকায় ১২ হাজার ৯১৫টি, দ্বিতীয় দফায় ১১ হাজার ২২১টি ও তৃতীয় দফায় ৯ হাজার ৫৪৫টি অস্ত্র জমা পড়ে। তিন দফায় মোট ৩৩ হাজার ৬৮১টি অস্ত্র জমা পড়লেও শুধু রাজধানীতেই বাকি ৩৭ হাজার ১৭৬টি অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। ঢাকার বাইরে জমা হয়নি আরও ছয় হাজার অস্ত্র।

মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মাহবুব আলম বলেন, 'বেআইনি ৩৭ হাজার ১৭৬টি অস্ত্রের মালিকদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শুধু ভাড়ায় খাটাতে অনেক ভিআইপি-সিআইপি ব্যক্তি লাইসেন্সসহ অস্ত্র নিয়ে থাকেন বলেও গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানও চালানো হচ্ছে। ' সরকারি রেকর্ডে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত বেশ কিছু অস্ত্র ডিবির অভিযানে উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি করেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।