নিজের কোনো ক্রিয়েটিভিটি নাই। বেশীর ভাগ ছবি ব্লগ। আরেকজনের ব্লগ থেইকা কপি-পেস্ট করি,ট্রান্সলেট করি। আপডেট ২
আজ রাতে আমরা বস্তা সহ পঞ্চগড় যাচ্ছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
আপডেট ১
এত দ্বারা ঢাকা সহ তার আশে পাশের এলাকার সবাইকে জানানো যাইতেছে যে, আসছে ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ (শুক্রবার) বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা খাঁটি গরিব গ্রুপ ধানমন্ডি ৮নং এর লেক সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে শীত বস্ত্র ও আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করবে। সেই সাথে হবে সকল গরিবরে এক মিলন মেলা। যারা আমরা খাঁটি গরিবের হয়ে এইবার পঞ্চগড়ের অসহায় শীতার্ত মানুষদের সাহায্য করতে চান তারা চলে আসুন। যারা গরিব গ্রুপ সম্পর্কে জানতে চান তারাও চলে আসুন। যারা আমাদের বিগত শীত বস্ত্রের গল্প শুনতে চান তারাও চলে আসুন।
এছাড়াও বস্ত্র বিতরণ নিয়ে কারো কোন যুগান্তকারি আইডিয়া থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসুন। আমরা খাঁটি গরিব থাকবো আপনাদেরই অপেক্ষায়।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন---
Rohit Hasan Kislu --- 01716613707
Rakib Kishore ----- 01190137283
জানি লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল। কিন্তু গতবারের অভিজ্ঞতা যে কোনদিন ভুলবার নয়...
ভোর ৫টা। আমাদের ট্রাক ছুটে চলছে লালমনিরহাটের উদেশ্য।
৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আমরা ক'জন ট্রাকের ছাদের উপরে বসে যাচ্ছিলাম। অসহ্য ঠাণ্ডা যেন আমাদের ছিরে ফুরে খাচ্ছে। সমগ্র বাংলাদেশ ১৬ টন ট্রাকটির সামনের ২ফুটও দেখা যাচ্ছিল না ঘন কুয়াশার কারনে। ট্রাকের একপাশে বস্তাগুলো রেখে আরেক পাশে ত্রিপল বিছিয়ে আমারা কয়েকজন বসে ছিলাম জড়সড় হয়ে, এতে যদি শীতটা একটু কম অনুভুত হয়। শুধু মনে হচ্ছিল রাস্তার দুইপাশে কুড়ে ঘরগুলোতে মানুষ এই শীতে বেচে থাকে কীভাবে!
আজ ব্লগ লিখতে বসে ভাবছি কাল রাতেও তো বাসায় এসে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলাম।
কিন্তু সেদিনের মত এত অসহ্য মনে হল না! আসলে সেই ট্রাক ভ্রমণের পর থেকে ঢাকার এই ঠাণ্ডাকে আর ঠাণ্ডা মনে হয় না। বাসা থেকে নিচে গিয়ে সিগেরেট এর প্যাকেট কিনতে যাব। চাদরটা গায়ে দিতে গিয়ে মনে হল, ধুর এর থেকে কত ঠাণ্ডায় কত মানুষ শুধু একটা গেঞ্জি পড়ে কাটায় আর ঢাকায় বসে আমাদের কত বিলাসিতা। এই শীতে দরজা জানলা বন্ধ করে ধুয়ায় উরা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে হালকা মুডের গান ছেড়ে দিয়ে বসে বসে ভাবছি গতবারের শীতবস্ত্র বিতরণের অভিজ্ঞতার কথা।
আমার মনে আছে, আমাদের চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল একটি খাল (শীতকালে শুকিয়ে যাওয়া এক নদী)।
ট্রাক তো আর খালের উপর দিয়ে চলতে পারে না। আমরা তখন বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি করব। ওইদিকে তখন সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে স্থানীয় স্কুল মাঠে। হঠাৎ একটি ট্রাক্টর ম্যানেজ হয়ে গেল। ৭০ বস্তা শীতের কাপড় সহ আমাদের খাল পার করে দিল এই ট্রাক্টরটি।
অদম্য ইচ্ছা যে কোন বাধ ভেঙ্গে ফেলতে পারে সেটাই তার বড় প্রমান।
মাঠে পৌঁছালে শত শত মানুষ আমাদেরকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়। মাঠে আমরা বেশ কয়েকটা লাইন করি। এক লাইনে থাকবে মহিলারা, আরেক লাইনে থাকবে বৃদ্ধরা, বাকি দুই লাইনে থাকবে শিশুরা। স্কুলের কয়েকটি রুম আমাদের জন্য খুলে দেওয়া হল।
আমাদের গ্রুপের সদেস্যরা নিজেই সব বস্তা নিয়ে রুমের ভিতরে রাখলেন। রুমের সামনে থেকে সবাইকে লাইন করে জামা দেওয়া হল।
গ্রামের স্থানিয় একজন আমাদের জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করল। দুপুরে খাবার খেয়ে বিকালে আমরা ফিরে আসছিলাম। হঠাৎ একটি ছোট মেয়ের সাথে দেখা হল।
মেয়েটি গায়ে ছিল আমাদের দেওয়া একটি সোয়েটার যেটি আমিই তার হাতে দিয়েছিলাম। আমার এখনও স্পষ্ট মনে পড়ে আমার দিকে তাকিয়ে মেয়েটির হাসিমুখ।
২০১০-এ কুড়িগ্রামের বকুলতলা, ২০১১-তে লালমনিরহাটের ইটাপোতা, বুমকা ও বনগ্রাম এর শীত দূর করে আমরা ফিরে এসেছিলাম। এবার যাচ্ছি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাজনি এবং চাতুরিডাঙ্গা নামের দুটি গ্রামের শীত দূর করতে। শীতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হতে আপনাদেরকেও পাশে চাচ্ছি।
আপনারা সাহায্য পাঠাতে পারেনঃ
Rohit Hasan Kislu
A/C no : 110.101.97783
Dutch-Bangla Bank Ltd.
আমাদের ফেসবুক গ্রুপঃ Amra Khati Gorib...
ফেসবুক পেইজঃ Amra Khati Gorib.
গ্রুপটি নিয়ে এই ব্লগে কিছু লিখা পড়তে পারেনঃ
"পথশিশুদের আম উৎসব-২০১১" এর ছবি ব্লগ।
আপনিও এগিয়ে আসুন !! শীতার্তদের জন্য আমাদের খুব ক্ষুদ্র একটি উদ্যোগে আপনিও অংশ নিন !
ফেসবুক গ্রুপ আমরা খাটি গরীব এর উদ্যোগে পথ শিশুদের জন্য আম উৎসব
গত বছর কষ্ট হইছে, এবার হবে কি ? একটি ফেসবুক গ্রুপের আবেদন।
একটি ফেসবুক গ্রুপ ...........................
ইউটিউবের এই ভিডিওটি দেখতে ভুলবেন না।
গতবারের শীতবস্ত্র বিতরণের একটি ভিডিও
"কবরস্থানে সবচে ধনী লোক হওয়াটা আমার কিছু আসে যায় না .... রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যদি মনে হয়, আমরা চমৎকার কিছু করেছি, সেটাই আমাকে চালিত করে। "
- ষ্টিভ জবস
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।