আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা কি ভুল ও অন্যায়ের পার্থক্য বুঝি

অনেক দেখলাম ইচ্ছাকৃত(জেনে বা বুঝে করা) ভুল করার নাম অন্যায়, অনিচ্ছাকৃত(না জেনে/না বুঝে করা) অন্যায় করার নাম ভুল। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদগণ অন্যায় করেন ভুল করেন না। কারন বেশির ভাগ রাজনীতি বিদ মেধাশুন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কিছু ছাত্র নেতা রাজনীতিতে আসেন কিন্তু তারা নকল নির্ভর পাস করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সারাদিন ব্যস্ত থাকেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী, আর প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র নিয়ে।

তাদের হাতে কলমের বদলে থাকে অস্ত্র, বই খাতার বদলে দেখ যায় টেন্ডারের সিডিউল ও চাঁদাবাজীর নামের তালিকা। এরা রাজনিতিকে পেশা বলে। আমার বোধগম্য হয় না রাজনীতি পেশ হয় কি করে? রাজনীতি হতে পারে সেবা। পেশার বিনিময় মূল্য আছে কিন্তু রাজনীতি করে কিভাবে জীবন বাঁচানোর জন্য উপার্জন করা যায় তা আমি জানিনা। রাজনীতিবিদরা অবৈধ তদ্বীর, চাঁদার টাকার ভাগ, টেণ্ডারবাজী করে বেনামিতে কাজ ধরে তাতে ফাঁকি দিয়ে লুটপাট করা, জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করেন।

এগুলো আইনে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য। কিন্ত পেশা তো অবৈধ হয় না, পেশাতো শাস্তিযোগ্য হতে পারেনা। চরম সত্য কথা হল মেধাহীন রাজনীতিবিদের দলে দু’এক জন সৎ নেতা থাকলেও তারা লেখা-পড়া কম জানার কারনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারেনা, যে সিধান্ত সে নেয় তাতে কি উপকার হবে তা বোঝেনা । জানার জন্য বুঝার জন্য আমলাদের সাহায্য নেয়। আমলারা ভুল বোঝায় (আমলাদের স্বার্থে)।

ফলে জাতি কোনভাবে আলর মুখ দেখে না। যে মেধাবী ছাত্র রাজনীতি করেনা, সেই ছাত্রই কর্মজীবনে দূর্নিতীতে মেতে উঠে, আমলা হয়ে। তাই সবার(রাজনীতিবিদ ও আমলা) কাছে আবেদন বিবেকের দ্বারা চালিত হন। মনে রাখবেন, ‘নগরে আগুন লাগলে দেবালয় রক্ষা পায় না’। বাংলাদেশ নামক দেশটা আছে বলেই নিজেকে স্বাধীন দেশের নাগরিক পরিচয় দিতে পারছেন।

এক সময় ইংরেজ, এক সময় পাকিস্তানীরা এই দেশ শাসন ও শোষণ করেছে। ‘বিদেশীরা নয় আমরাই আমাদের দেশ শোষন করব’ এই মন নিয়ে কি দেশ স্বাধীন করেছিলেন? যদি তাই করেন তবে আবার বিদেশীরা আসার সুযোগ পাবে। যে ভাবে সুযোগ পেয়েছিল ইংরেজরা। দিল্লীর প্রজাবিমুখ মদ্যপ শাসকদের সাথে সাধারণ মানুষ ছিলনা। কি নির্মম পরিনতি হয়েছিল তাদের একবার স্বরণ করেন।

হারিয়েগেছে সেই শাসকদের বিলাসী জীবন, ফাঁকা পড়েছিল বিলাসী প্রাসাদ বা কখনও অন্যে ব্যবহার করেছে সেই প্রাসাদ। ‘কোহিনূর’ আজ ব্রিটিশের হাতে, ময়ূর সিংহাসনও তাদের কাছে। না সেই বিবেকহীন বিলাসী শাসকরা থাকতে পেরেছে, না পেরেছে অপরিনামদর্শী বে-ঈমান মীর জাফর- জগতশেঠের দল যারা বিদেশীদের সাহায্যে ক্ষমতাই যেতে চেয়েছিল। আবারো অনুরোধ করে বলছি এই দেশের কথা ভাবুন। খারাপের সাথে তুলনা করে ভালো হবেন না, ভালোর সাথে তুলনা করে ভালো হন।

দেশবাসীকে অনুরোধ করছি নিজে সৎ হন এবং নিজের সন্তানদের সৎ হওয়ার শিক্ষাদেন। শুধু মুখে মুখে ভালো কথা বলে দেশপ্রেমিক হবেন না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।