আমি নতুন কিছু লিখবো যেভাবে জামায়াত_শিবিরের ক্যাডাররা বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে বাসে আগুন, ভাংচুর, বোমাবাজি করে হতাহত করেছে তার নেপথ্য কাহিনী জানা গেছে। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামায়েতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম গ্রেফতার হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে জামায়াত_শিবির। গুজব ছড়িয়ে দিয়ে তাদের কর্মী-ক্যাডারদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানো হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে যেদিন গ্রেফতার করা হবে সেদিনও অনুরূপভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির জন্য নাশকতা চালানো হতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে এই ধরনের তথ্য মিলেছে।
গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপি আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার অনুষ্ঠানটিকে সামনে রেখে জামায়াত_শিবির যুদ্ধাপরাধী অধ্যাপক গোলাম আযম গ্রেফতার হয়েছে এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেয়। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানুষজন বিৰুব্ধ হয়ে উঠেছে তা দেখানোর জন্য চোরাগোপ্তা হামলার জন্য জামায়াত_শিবিরের কর্মী ও ক্যাডারদের মাঠে নামানো হয়। বিশেষ করে বিএনপির উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিনে কোন সহিংস ঘটনার দায়ভার বিএনপির কাঁধে চাপানো সহজ হবে।
এই সুযোগটি নিয়ে গুজব ছড়িয়ে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলার জন্য জামায়াত_শিবিরের কর্মী ও ক্যাডারদের মাঠে নামানো হয়। যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল করতে তারা এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটিয়েছে।
জামায়াত_শিবিরের দুর্গ বলে পরিচিত রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকা। মতিঝিল, কাকরাইল ও পল্টন এলাকায় এর আগেও তারা চোরাগোপ্তা হামলাসহ সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে। এবারও রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকাসহ অন্তত ১২টি স্থানে তারা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে বাসে আগুন ও বোমাবাজি করেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বরও জামায়াত_শিবির রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের গলির ভেতর থেকে পথচারীর বেশে এসে পুলিশের ওপর আচমকা আক্রমণ করেছে। তখনও চারদলীয় জেটের ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির কাঁধে দায়ভার চাপানোর জন্য চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে জামায়াত_শিবির।
তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে পুলিশের গাড়িসহ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে অগি্নসংযোগ, ভাংচুর করে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে জামায়াত-শিবির মরিয়া হয়ে মাঠে নামার নীলনকশা হিসেবে পুলিশ সদস্যদের বেছে নিয়েছে। সে সময় পুলিশের ওপর আক্রমণ, পুলিশের গাড়িসহ রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ভাংচুর, অগি্নসংযোগের ঘটনায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটেরি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি তাসনীম আলমসহ ৭১ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে সময়ে মতিঝিল দিলকুশার ইউনুস সেন্টার এলাকার গলির ভেতরে থেকে এসে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। এই ঘটনায় মতিঝিল পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর আবু হাজজাজ দুই শিবির পিকেটারকে ধরে ফেলার পর এক শিবির প্যাকেটার মাটিতে পড়ে যায়।
মাটিতে পড়ে যাওয়া শিবির পিকেটারের বুকে বুট দিয়ে চাপা দেয়ার ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে পুলিশের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হয়। এর আগে গত আগস্ট পল্টনে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহরীর সদস্যরা পল্টনে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। মতিঝিল পুলিশের প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর আবু হাজজাজের মাথা ফাটিয়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় আরও কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে কর্মী, ক্যাডাররা পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধাদান, ভাংচুরসহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাতে জঙ্গীদেরও মাঠে নামানো হয়েছে।
সে সময় জামায়াত-শিবির ভাংচুর, অগি্নসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে তদন্তে পল্টন থানায় দায়েরকৃত ৩টি মামলায় পল্টন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জামায়েতের সেক্রেটারি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসে হরতালের দিনে ফারুক হোসেনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে জামায়াত_শিবিরের ক্যাডাররা। মগবাজারের টঙ্গী ডাইভারশন রোডের রেলগেট এলাকায় ফারম্নক হোসেনকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি পৌঁছার পর গলির ভেতর থেকে বের হয়ে আসে জামায়াত_শিবিরের ক্যাডাররা। তারা গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে দিয়াশলাইয়ের আগুন ছুড়ে মারার পর ফারম্নক হোসেনসহ তার এক বন্ধুও অগি্নদগ্ধ হয়।
ফারুক হোসেন তার শরীরের আগুন নেভানোর জন্য রাস্তায় জমা বৃষ্টির পানিতে গড়াগড়ি দিয়ে আগুন নেভায়। একই সময়ে জামায়াত-শিবিরে ক্যাডাররা প্রকৌশলী আবুল কাসেমকেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ততক্ষণে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গেছে। জামায়াত_শিবিরের এসব ক্যাডার অনেকেই এখনও গ্রেফতার হয়নি
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।