বিএনপির তরফ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কর্মসূচীর আদায়ের লৰ্যেই রবি ও সোমবার সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। ভবিষ্যতে বিএনপির কর্মসূচীতে আরও বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। সরকার পতনের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে প্রয়োজনে বিএনপির মধ্যম সারির দুই-এক নেতাকেও হত্যা করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালেই এমন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত। পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে গোপনে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রশিবিরের প্রশিৰিত সদস্য ও জঙ্গীরা।
এজন্য আরও অস্ত্র গোলাবারুদ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, আগামীতে বিএনপি-জামায়াত জোট ৰমতায় যাচ্ছে বলে জামায়াত দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অনুসারী দলগুলোর মধ্যে এমন প্রচার চালিয়ে আসছে। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই দলের শীর্ষনেতাদের বিচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত দিশেহারা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে নানাভাবে চেষ্টা করছে।
জোরালো কোন ইসু্য তৈরি করতে না পারায় সরকারবিরোধী আন্দোলন বার বার ভেস্তে যাচ্ছে। বিএনপির তরফ থেকেও সরকারবিরোধী তেমন কোন জোরালো আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষিত হচ্ছে না। অন্যদিকে জামায়াত নেতাদের সময় ঘনিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত নেতারা বিএনপির ওপর তেমন আস্থা রাখতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জামায়াত দেশব্যাপী ব্যাপক নাশকতা চালিয়ে সরকারকে অন্যদিকে ব্যসত্ম রাখার চেষ্টা করছে।
এতে একদিকে সরকার যেমন ব্যস্ত থাকবে, পাশাপাশি বিএনপিও সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাপকভাবে নাশকতা চালাতে মাঠে নেমেছে জামায়াত। এজন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করা হচ্ছে।
ইসলামের নাম নিয়ে এ দেশে গঠন করা ৩৬টি দলকে জামায়াত নিয়মিত অর্থ সহায়তা করে আসছে। জামায়াতের টাকায় মাঠে নামানো হয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরকে।
এছাড়া আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ছাত্রশিবির ও জঙ্গী সংগঠনগুলোর সদস্যদের মাঠে নামানোর জন্য সংগঠিত করা হচ্ছে। সরকারের শেষ সময়ে সারাদেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই ছাত্রশিবিরের প্রশিৰিত অনত্মত ৫ হাজার সদস্যকে আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠানো হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা ছাত্রশিবিরের প্রশিৰিত সদস্যরা নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনগুলোকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলাবারম্নদ মজুদের চেষ্টা করছে।
জামায়াতের বর্তমান টার্গেট আগামী এক বছর।
২০১২ সালের পুরো সময় সরকারকে ভিন্ন কাজে ব্যসত্ম রাখা। শেষ এক বছরে সরকার নিজের অবস্থান নিয়েই টানাপোড়েনে থাকবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার সময় পাবে না। সরকারের মেয়াদ শেষ হলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ভেসত্মে যাবে_ এমন ধারণা থেকেই সরকারকে নানাভাবে ব্যসত্ম রাখার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত। এজন্য দেশব্যাপী নানা ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে, যাতে বিএনপির কাছ থেকে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা আদায়ে সহজ হয়।
তারই অংশ হিসেবে রবি ও সোমবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিকল্পিতভাবে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়। সিরিজ বোমা হামলা করে বিএনপির তরফ থেকে সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল।
ভবিষ্যতে বিএনপি সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে বিএনপির দুই-এক মধ্যম সারির নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে, যাতে বিএনপি সরকারবিরোধী কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হয়_ এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত। সম্প্রতি দেশে গুপ্তহত্যা ও খুনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পিছনেও জামায়াতের আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা নেতাকর্মীদের হাত থাকতে পারে। ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ নাশকতা চালাতে জঙ্গী সংগঠনগুলোর আত্মঘাতী সদস্যদের জামিনে মুক্ত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
সুইসাইড স্কোয়াডের কারাবন্দী ১১ জঙ্গীকে মুক্ত করতে প্রায় কোটি টাকার বাজেট রাখা হয়েছে। জামিনে ছাড়া পেলে দেশে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে তাদের ব্যবহার করা হবে। জামায়াতের উন্নয়ন তহবিল থেকে জঙ্গীদের অর্থায়ন করা হচ্ছে। জামায়াতের টাকায় জেএমবি, হুজির একাংশ, আলস্নাহর দল ও হিযবুত তাহ্রীরকে সংগঠিত করা হচ্ছে। জামায়াতের টাকায় ঢাকার আশপাশে বহালতবিয়তে রয়েছে ছাত্রশিবিরের প্রশিৰিত সদস্য ও জঙ্গীরা।
গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে তাদের ঢাকার আশপাশে রাখা হয়েছে, যাতে ঢাকায় বড় ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে। জামায়াতের প্রশক্ষিত সদস্যদের লেবাস পাল্টিয়ে ফেলা হয়েছে। আধুনিক পোশাকে সজ্জিত থাকে ছাত্রশিবির ও জঙ্গীর
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।