আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যতই উচ্চ মূল্যস্ফীতি হউক হাসিনার গলাবাজি দেশের অর্থনীতিকে ভাল রাখবেই!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ২০০৯ সালে যখন হাসিনার মহাজোট ক্ষমতায় আসে তখন ভেবেছিলাম যে দেশের স্বার্থের পক্ষে শর্ত রেখে আমাদের মূল্যবান খনিজ গ্যাস-কয়লা উত্তোলনের চুক্তি করবে। কিন্তু ঘুষ, র্দূনীতির কারণে ১-২ বছর করে এই ২০১১তে যেয়ে সাগরবক্ষের গ্যাস উত্তোলনে চুক্তি হল যা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ মার্কিন কোম্পানী হতে কয়েক গুণ মূল্যে ডলারে নিজ দেশের সম্পদ পেতে হবে। আর স্থল ভাগের গ্যাসও তিতাসকে না দিয়ে রুশ গ্যাসপ্রমকে দেওয়ার পায়তারা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই সরকারের উচ্চ মহল বড় ধরণের ঘুষ পাবে।

এরই মধ্যে ২০০৯-১০ এবং এই বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রচন্ড লোডশেডিং তথা বিদ্যুতের কষ্ট দিয়ে বর্তমানে বিদ্যুত চাহিদার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কুইক রেন্টাল তথা ডিজেল ভিত্তিক জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল। ফলে পিডিবিকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হতে উচ্চমূল্যে বিদ্যুত কিনে কম মূল্যে জনগণের কাছে সরবারাহ করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রকে এর জন্য বছরে ৫০০০ কোটি টাকা ভর্তূকি দিতে হবে; Click This Link তাই গ্যাস-কয়লা ভিত্তিক তথা স্থায়ী বিদ্যুত প্রকল্প এই তিন বছরে করতে না পেরে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ব্যার্থ। ফলে নতুন শিল্পতো সহজে গড়ে উঠতে পারছেই না বরং বিবদমান বিভিন্ন কলকারখানাকে ব্যাপক র্দূভোগে পড়ে উৎপাদন ব্যাহত হয়। ঐ দিকে রুপপুর পরমাণু চুল্লির জন্য প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর হলেও এটা বাস্তবায়ন হতে আরো ৪-৫ বছর লাগবে।

বিগত তিন বছরে দেশের সড়ক ও রেলপথের কোন উল্লেখযোগ্য উন্নয়নতো হয়ই নি উল্টো এগুলো সময় মত মেরামত না করাতে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়। ফলে কি কৃষি, শিল্প সবাই এর জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ফলে দেশের রপ্তানি পর্যাপ্ত বৃদ্ধি পায় নি। আর ঐ দিকে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর পূর্বেই সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রীর সাকো ইন্টারন্যাশনাল সার্ভে কাজে র্দূনীতির জন্য বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ আটকে দিয়েছে। তাদের কথা পরিস্কার জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও শাস্তি না দিলে এ ঋণ তারা দিবে না।

ফলে এ সরকারের মেয়াদে পদ্মা সেতুর নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। প্রবাসে নতুন চাকুরীরও অগ্রগতি নেই। বরং লিবিয়া বাদেও অন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলিতে যত না নতুন চাকুরী হচ্ছে তারচেয়ে বেশী মানুষ বাংলাদেশে ফিরত আসছে। আমেরিকা ও ইউরোপে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার জন্য রেমিটেন্স কমলেও মধ্যপ্রাচ্যর উপরই বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভরশীল। তাই বলা যায় দেশের আয়ে রপ্তানি ও রেমিটেন্স খাত আশানুরুপ না হওয়া এবং আমদানি ব্যায় বৃদ্ধি দেশের ডলার রিজার্ভকে হ্রাস করছে।

কয়েক মাস আগেও যেখানে ১১০০ কোটি ডলার ছিল এখন তা হাজারের নীচে। আরো নীচে যাবে। পদ্মা সেতুর ঘটনার রেশ ধরে বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি আই.এম.এফ, এডিবি সহ অন্যান্য বিদেশী সংস্থা সরকারকে ঋণ দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এখন সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব বন্ধক দিয়ে হলেও ঋণ নেওয়ার চিন্তা করছে; Click This Link কারণ কোন ভাবে দেশের মার্কিন ডলারের রিজার্ভ ভারসাম্য না রাখতে পারলে দেশের অর্থনীতিই মুখ থুবড়ে পড়বে। সরকার যেভাবে বলেছিল ঘরে ঘরে অন্তত একজনকে চাকুরী দিবে তাও কোন আশানুরুপ অগ্রগতি হয় নি।

কোটি কোটি মানুষ বেকার। ইতিমধ্যে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেল সহ, কৃষিপণ্য ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ডলারের দাম ৬৮ টাকা হতে ৭৫ টাকা হয়েছে (সরকারী ভাবে)। সরকারের আভ্যন্তরীন বিভিন্ন আর্থিক খাতে ব্যায় নির্বাহের জন্য কি রাষ্ট্রীয় কি বেসরকারী ব্যাংক হতে বেপরোয়া ভাবে ঋণ নিয়ে তাদেরকে অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। ফলে বেসরকারী খাতে যেখানে ১০০ টাকা ঋণ প্রয়োজন সেখানে তারা ৩০ টাকা দিচ্ছে। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা নেই।

ফলে বেসরকারি শিল্প ও ব্যাবসা খাতকেও চলতে কঠিন সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে বেসরকারী ব্যাবসা ও চাকুরীও মন্দা। উপরন্ত শেয়ার বাজারে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি তথা কারসাজি করে ৩০ লক্ষেরও বেশী সাধারণ বিনিয়োগকারীকে সর্বসান্ত করা হয়েছে। এর সাথে সরকারের মন্ত্রীরা সহ বিভিন্ন নেতারা জড়িত। দেশের সর্বত্রই হাহাকার ও চরম অনিশ্চয়তার অবস্থা।

খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। সরকারের সীমাহীন র্দূনীতি, অনিয়ম, সময় মত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যার্থ হওয়া, অব্যাবস্থাপনার জন্য দেশের অর্থনৈতিক খাতকে দারুণ বিপদে ঠেলে দিছে। এতদিন মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রী মুহিত সাধারণ শেয়ার ব্যাবসায়ীদের ফটকা, দেশের আর্থিক খাতে কোন সমস্যা নেই ইত্যাদি হাসি ভরা গালে সাফাই গাইলেও এখন বলছেন; উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনীতি চাপের মুখে Click This Link মহাজোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পরই যার শক্তিশালী অবস্থান সে হলেন মুহিত। আগাচৌ ২০০১-০৬ মেয়াদে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় গর্ব ভরে বলতেন যে সাইফুর রহমান হলেন একাউন্টেট কিন্তু মুহিত প্রকৃত অর্থনীতিবিদ। সেটাই অবাক হই ২০০৯ সাল হতে মুহিত সাহেব তার একাডেমিক, আমলা ও এরশাদের সময় মন্ত্রী থেকেও বিগত তিন বছরে কি করলেন যে দেশের অর্থনীতিকে এখন চরম সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন? এ নিয়ে সিপিডির দেবপ্রিয়র ভাষ্য হল; বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, চটজলদি সাগেমাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত সব সময় ঠিক না।

নিজেদের দুর্বলতার কারণে বৈদেশিক সাহায্যই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাতে লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, মজুদ কমে যাচ্ছে। এ রকম অবস্থায় আবার বাণিজ্যিক ঋণ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ আরও বাড়বে। দেবপ্রিয় বলেন, ‘বাণিজ্যিক ঋণের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া কোনো সমস্যা নয়।

কোথায় কীভাবে তা খরচ করছি সেটা দেখা দরকার। এ জাতীয় ঋণের ফলাফল কী হতে পারে তা আমাদের সামনে আর্জেন্টিনা বড় উদাহরণ হিসেবে রয়েছে। ’ কেউ যদি বলে মুহিত এই অবস্থা আরো আগেই এই ধরণের সংকট আচ করতে পারেন নি সে একটা মহামিথ্যুক ও বিশ্ব বাটপার। মুহিতও দেবপ্রিয় হতে কম অর্থনীতি বুঝেন না। বরং আমলা ও মন্ত্রী হিসেবে তার অভিজ্ঞতা অনেক বেশী।

২০০৯ শুরু হতে এখন পর্যন্ত দেশের কি অবস্থান তিনি তার নাড়ী নক্ষত্র জানেন। স্বল্প উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে তথা আমাদের প্রতিদ্বন্দী ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ২০০৯-১১ এই বিগত তিন বছরে অর্থনৈতিক ভাবে যতদূর এগিয়েছে তাতে বাংলাদেশের আহামরি উন্নত অবস্থা না হলেও এই ধরণের চরম সংকটে যাওয়ার কথা নয়। থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকায় রাজনৈতিক এবং গৃহযুদ্ধ আছে তাদের কথা ভিন্ন। তারপরেও তাদের দেশে এত র্দূনীতি ও অনিয়ম নেই। কোন গুরুত্বপূর্ণ আভ্যন্তরীন সিদ্ধান্ত নিতে দেড়ী হয় না।

কিন্তু বাংলাদেশের এর মূলে দায়ী কে? কথায় বলে বৃক্ষ তোমার পরিচয় কি? দেশের সংকটও মূলত একজনই দায়ী যার দ্বারা সরকারের সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। মুহিত সাহেব যতই সু ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ-উদ্যোগ নিন না কেন শেখ হাসিনা এটাকে আমলে না নিয়ে কিভাবে র্দূনীতি করে আয় করবেন তাহলে কিভাবে একজন অর্থনীতিবিদ তার কর্ম করবে? গ্যাস-কয়লা উত্তোলন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সময়মত সিদ্ধান্ত না দিলে ও দেশের পক্ষে চুক্তি না করলে স্বাভাবিক বিদ্যুত উৎপাদন(ন্যায্য মূল্যে) কিভাবে সম্ভব? রাস্তা, রেল ও সেতুতে কাজ শুরুর আগেই নিজেদের পকেটের কথা চিন্তা করলে এগুলোর বাস্তবায়ন কিভাবে হবে। রাষ্ট্রের অর্থ আত্নসাতের জন্য স্রেফ বেপরোয়া ব্যায় করে স্থায়ী সমাধান না করে কিভাবে সরকারী ব্যায় সংযত রাখা যায়? এ কারণেই সরকারের নিজস্ব রাজস্ব আয় দিয়ে ব্যায় না মিটাতে পেরে রাষ্ট্রীয়-বেসরকারী ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার অবস্থা। রাস্তা মেরামতের ৩-৪ মাসেই ভেঙে যায়, নদীর বাধেরও একই অবস্থা। এ রকম সরকারের ডজন ডজন ক্ষেত্র আছে যেখানে টাকা ঢালা হচ্ছে কিন্তু ফল হচ্ছে না।

অবস্থা এমন কেউ পাত্রের ফুটো না বন্ধ করে স্রেফ পানিই ঢেলে যাচ্ছে। তারপরেও শেখ হাসিনা ঋণ নেওয়ার জন্য অস্থির। এর জন্য সাফাই গেয়ে বলছেন; ঘি-মাখন খাওয়ার জন্য ঋণ নিচ্ছি না: প্রধানমন্ত্রী Click This Link তার ভাবখানা এমন যে বিগত তিন বছরে তীর ছুড়ে হাতি মেরেছেন। তাই ১০টাকায় ওয়াদা করা চালের কেজি ৪০ টাকা হলেও তিনি বলছেন মানুষের আয় নাকি ৩গুণ বেড়েছে! সবাই নাকি ৪ বেলা পেট ভরে খাওয়া খায়। বাংলাদেশের সব মানুষ এই কথা বললেও হাসিনা তা মানবেন না; nazim ২০১১.১২.২০ ১৮:৩২ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার কথায় আমি একমত হতে পারলাম।

শতকরা ২-১ জন ঘি মাখন খায় আর ৯৯ জনই না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এই শীতে কেউ রাজ প্রসাদে আর কেউ রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে। বেতন পাই যা তা দিয়ে নিজেরই হয় না আর গরীবকে কি ভাবে হেলফ করব। মন আছে কিন্তু করার কিছু নাই। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর প্রতি আমার অনুরোধ, আপনি একটা আইন করুন যে কেউ না খেয়ে থাকলে ঐ এলাকার গন্য মান্য লোকদের জরিমানা করা হবে।

। আর বে সরকারী কোম্পানীর প্রতি একটু নজর দেই, তারা যা বেতন দেয় তা দিয়ে একাই চলা যায় না। । । কিন্তু হাসিনা বিশাল একজন রাজনৈতিক মাইন্ড গেম প্লেয়ার।

সেই ১৯৮৬ সালের জাতীয় বেঈমান দিয়েই তার শুরু। তিনি ওয়াদা ও মিথ্যা কথা এর জন্যই বলেন যাতে মানুষ তাকে নিয়ে বেশী করে আলোচনা করে মনে রাখে। তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট, র্দূদশা নিয়ে তামাশা করতে ভালবাসেন। দেশের ঝানু অর্থনীতিবিদরা এখন ১১ বছর আগে আর্জেন্টিনার করুণ অবস্থার আশংকা করছেন সেখানে হাসিনা কোন বাছ-বিচার না করে ঋণ নেওয়া অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। ভাবখানা এমন যে ডুবন্ত মানুষ যেমন শ্যাওলা ধরে হলেও ভেসে বেচে থাকতে চায়।

মুহিত যেখানে স্বীকার করছেন সেখানে হাসিনা চুটকি বাজিয়ে ও গলাবাজি করে দেশে কোন আর্থিক সংকট আছে মানতে নারাজ। তাই মুহিত এখন একটু কাচু-মাচু করলেও হাসিনার প্রভাবের জন্যই ভয়ে কোন ভাল পদক্ষেপই নিতে পারবেন না। কারণ সুরঞ্জিত বাবু বলেই দিসেন "বাঘে ধরলে হয়ত ছেড়ে দেয়, কিন্তু হাসিনা ধরলে ছাড়ে না" হাসিনার গর্জনের জোর তথা গলাবাজি এতই শক্তিশালী যে আফ্রিকান সোমালিয়ার মত র্দূদশাগ্রস্থ দেশকেও ডিজিটাল-সোনার রাষ্ট্র মনে হবে। Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।