আসুন আমরা ২টি ভারী বস্তু আল্লাহর কুরান ও রাসুলের(সাঃ) পরিবারকে(আঃ) অনুসরন করি।
সুরা নুর,আয়াত# ৫৫
“আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন তাহাদেরকে যাহারা তোমাদের মধ্যে ঈমান আনিয়াছে এবং সৎ কর্ম করিয়াছে। অবশ্যই তাহাদেরকে পৃথিবীতে খিলাফাত প্রদান করিবেন”।
এই আয়াতের উদ্দেশ্য আল্লাহর রাসুলের(সাঃ) বংশধর। আর এক রেওয়ায়েতে যুগের ইমামকে বুঝান হয়াছে।
অন্য রেওয়ায়েতে বলা হইয়াছে যে,হযরত ইমাম মাহদী(আঃ) এবং তাঁহার সঙ্গীদের শানে এই আয়াত নাজিল হইয়াছে।
(সুত্রঃ কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ২৪০; মাজমাউল বায়ান,৭ম খন্ড,পৃঃ১৫২;মেহদী মাউদ,পৃঃ২৫৯;বয়ানুস সায়াদাহ,৩য় খন্ড,পৃঃ১২৯; ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃঃ৪২৫ দালায়েলুল ইমামাত,পৃঃ৪৫; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,১ম খন্ড,পৃঃ৪১২;তাফসীরে ফরাত,পৃঃ১০৩)।
সুরা ফুরকান,আয়াত# ৫৪
“ এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হইতে;অতঃপর তিনি তাহার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ্ব স্থাপন করিয়াছেন। “
ইবনে শিরিন বর্ননা করিয়াছেন যে, এই আয়াতে আল্লাহর রাসুল(সাঃ) হযরত আলী বিন আবি তালিবের শানে নাজিল হইয়াছে,যখন তিনি হযরত ফাতিমাকে(আঃ) হযরত আলীর(আঃ) সাথে বিবাহ দিলেন। আবু আহমদ বিন সুলাইমান হযরত আলী বিন মুসা রেজা(আঃ) হইতে বর্ননা করিয়াছেন এবং তিনি নিজের পবিত্র পুর্ব পুরুষগন হইতে এইভাবে বর্ননা করিয়াছেনঃআমি তাহাদের নিকট হইতে শুনিয়াছি হযরত আলী ফরমাইয়াছেন যে, একদিন আল্লাহর রাসুল(সাঃ) আমাকে ফরমাইলেনঃ হে আলী! আল্লাহ পাক তোমাকে ৩ ধরনের এমন মরযাদা প্রদান করিয়াছেন যাহা আমাকেও প্রদান করেন নাই।
১/আমার মত একজন শ্বশুর তুমি পাইয়াছ,২/তোমার স্ত্রী ফাতিমা জান্নাতবাসী সমস্ত রমনীর নেত্রী এবং ৩/তোমার ২পুত্র হাসান এবং হোসাইন শহীদগনের নেতা এবং জান্নাতবাসীদের সর্দার।
(সুত্রঃ মাজমাউল বায়ান,৭ম খন্ড,পৃঃ১৫৭; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,১ম খন্ড,পৃঃ৪১৪;গায়াতুল মোরাম,পৃঃ৩৭৫;জাজবায়ে বেলায়েত,পৃঃ১৫৬;বয়ানুস সায়াদাহ,৩য় খন্ড,পৃঃ১৪৫;জাখায়েরুল উকবা,পৃঃ৩০;ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ,পৃঃ৪৬;শাওয়াহেদুত তানজিল,১ম খন্ড,পৃঃ৪১৪;নুরুল আবসার,পৃঃ১০২। )
সুরা ফুরকান,আয়াত# ৭৪
“ এবং যাহারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক!আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যাহারা আমাদিগের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদিগকে মুত্তাকীদিগের জন্য নেতা ও ইমাম কর”।
যাহারা আরজ করে হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দান কর আমাদের স্ত্রীগন হইতে[অর্থাত খাদিজা এবং আমাদের সন্তান-সন্ততি অর্থাৎ হযরত ফাতিমা থেকে],চক্ষু সমূহের শান্তি অর্থাত হাসান-হোসাইন এবং আমাদেরকে পরহেযগারদের আদর্শ করুন।
অর্থাৎ নবী পাক(সাঃ) ও হযরত আলী(আঃ) এবং নবী পাকের(সাঃ) বংশধর সম্বন্ধ্বে অবতীর্ন হইয়াছে।
তাঁহাদের ছাড়া আর কাউকেও উদ্দেশ্য করা হয় নাই।
(সুত্রঃ কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, ২য় খন্ড,পৃঃ৬৬২; মেহদী মাউদ,পৃঃ২৫৯;বয়ানুস সায়াদাহ,৩য় খন্ড,পৃঃ১৫০;দালায়েলে ইমামাত,পৃঃ৪৭; শাওয়াহেদুত তাঞ্জিল,১ম খন্ড,পৃঃ৪১৬;তাফসীরে ফুরাত,পৃঃ১০৬;তাফসীরে কুমী,২য় খন্ড,পৃঃ১১৭।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।