ক্ষেতা পুড়ি তোর ভালবাসার- ফিরিয়ে দে আগের সহজ জীবন আমার। । তো যারা যারা জন্মদিনে আমাকে ইউশ করেন নাই তাড়াতাড়ি করে ফেলেন। আমি লেইট ইউশে মাইন্ড করব না। নেন এইবার নিজ দায়িত্বে কেক খেয়ে নেন।
আমার জন্মদিন পালনের একটা পার্ট হচ্ছে প্রতিবারই আব্বু-আম্মু মিলাদ দিবে। এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যারা চান সেই মিলাদের জিলেপি, আমির্তিও খেতে পারেন।
প্রথম ঘটনা
গত ২০০২-০৮ পর্যন্ত আমাদের মসজিদের ইমাম ছিলেন ফারুক হুজুর। আমার একজন অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তি।
তার বাড়ী ছিল বাগেরহাটে। উনি আগে নিজ এলাকায়র মসজিদে ইমামতি করতেন আর নিজের ছিল চিংড়ির ঘের। কিন্তু কি অলুক্ষনে যেন তিনি রাজনীতি করতে গিয়েছিয়েন। করতেন আওয়ামী লীগ। ২০০১ এ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে তার চিংড়ি ঘের দখল হয়ে যায়।
জীবন বাচাতে তিনি এলাকা ছেড়ে চলে আসেন। তারপর নানা ঘাটের পানি খেয়ে ২০০২ এর মাঝের দিকে আমাদের মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান। তার সহজ সরল ও ভন্ডামি মুক্ত কথা বলার জন্য তিনি আমাদের কাছে অনেক প্রিয় হয়ে যান। আমাদের এলাকায় মাজার নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হত, তিনি ছিলেন এর বিরুদ্ধে সোত্তচার কন্ঠ। হুজুর খালি বলতেন, তার এলাকায় গল্প।
বলতেন আমি দিন লেবারদের তিন হাজার টাকা মুজুরি দিতাম আর দেখ ভাগ্যের কি ফের আমার এখন ১৮০০ টাকা বেতনে কাজ করতে হচ্ছে। হুজুর বেশি একটা দেশে যেতেন না। জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, যাব একবারেই যাব। যেদিন সব উদ্ধার করতে পারি। আওয়ামি সরকার ক্ষমতায় আসুক।
আর নিজের সম্পত্তি অন্যের দিখলে দেখলে খুব খারাপ লাগে মাথা ঠিক থাকে না। তো এইবার দেশে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার বছর পর মিলাদে তার সাথে দেখা। জিজ্ঞাসা করলাম কেমন আছে??? কোথায় থাকেন??????? তিনি ভালো আছেন আর গাজীপুরে থাকেন বলে জানালেন। আমি বললাম কেন আপনার সম্পত্তি উদ্ধার করেন নাই। তিনি জানালেন আরো বড় ভুতে তার সব আকড়ে ধরে আছে।
তিনি আগের মতই ভ্যাগাভন্ড।
তারপর জিজ্ঞাসা করলাম তা কি মনে করে এতদিন পরে এইদিকে আসলেন। তারপর হুজুর বললেন সব ছাত্রদের দেখতে বেরিয়েছেন। ছাত্রদের দেখলে তার মন জুড়ায়। তিনি তার হারানো ছেলের কথা ভূলে থাকতে পারেন।
আমি বললাম কি হয়েছে আপনার ছেলের। তিনি বললেন যে, ৫ই মের রাত্রে মতিঝিলে শহীদ হয়েছেন, বলেই কাদতে শুরু করেলন। আমি এই বুড়ো মানুষটাকে আর কি প্রবোধ দিব।
অনেকক্ষণ পরে জিজ্ঞাসা করলাম আপনে তো আওয়ামী লীগ করেন। নিজের ছেলেকে কেন যেতে দিলেন হেফাজত এর আন্দোলনে, তিনি বললেন মিয়া দিল পরে আগে আমার নবীর ভালোবাসা।
আমি বললাম আপ্নিতো নেট চালান না। তবে জানলেন কি করে। তিনি বললেন শফি হুজুর বলেছেন। আমি বললাম শফি হুজুর মিথ্যাও তো বলতে পারে???? তিনি আমার দিকে এমন করে তাকালেন যেন এখনি আমার উপর যাপিয়ে পড়বেন। আমি তাকে ঠান্ডা করার জন্য প্রসজ্ঞ অন্য দিকে ফিরাই।
তারপর তিনি নিজ থেকে বলেন, আমি জানি তোমরা নেত্রিকে অনেক দোষারোপ করতাছ, আসলে তার কিছু করার নাই। তিনি কিন্তু শফি হুজুরের কথা অনেকটা মেনেই নিয়েছিলেন, কিন্তু মেনন আর ইনুই প্যাচ লাগাইছে।
বোঝলাম তৃনমূল আওয়ামী লীগ আর হাই কমান্ডের আওয়ামী লীগ এক না। বাম-রামরা আওয়ামী লীগকে ডুবাবে।
ঘটনা দুই
আমার এলাকায় আওয়ামী লীগ টিকে আছে মুলত ৫/৬ কে কেন্দ্র করে।
বুর্তমান উনিয়ন সভাপতি অনেক আর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এইবারএলাকায় গিয়ে দেখি সারা এলাকায় পোস্টারে ছেয়ে গেছে, আওয়ামি লীগের কাঊন্সিল। ভোটের মাধ্যমে উনিয়ন কমিটি করা হবে। সভাপতি পদ প্রার্থি দের একজন হলো আমারদের গ্রামের এক বড় ভাই। তিনি জাহাজ্ঞীর নগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
অস্র সহ ধরা পড়ে জেল খেটে বিদেশ যান। ৪ বছর ধরে এলাকায়। তাকে আমি বর্তঅমান সভাপতির অনুগত বলেই জানতাম। তাকে জিজ্ঞসা করালাম কেন বিদ্রোহি হলেন। তিনি বলেন আমাদের এলাকায় আগে মাদকের ব্যবসা হত না, তাই না????? আমি বলি হ্যা।
কিন্তু তিনি জানালেন বর্তমান সভাপতি এই ব্যবসা চালু করেছেন। জুয়ার কোর্ট চালু করেছেন। তাই তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম আর কি?????? নামি বলি জিততে পারবেন। তিনি বলেন ভোট হলে পারব, আমি বলি ভোট কি হবে। তিনি বললেন মনে হয় না।
আমি বলি কেন???? জানালেন গাজীপুর কিশোরগঞ্জ দেখে বোঝ না। আর বর্তমান সভাপতি এখন অঢেল টাকার মালিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।