পথ্য তো রোগীরও লাগে না ভালো! যদিও এটা তার রোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে,তথাপিও! পবিত্র কোরআনের সূরা (৩৪) সাবা এর ৪৪ নং এবং সূরা (৪৩) যুখরুফ এর ২১ নং আয়াত উল্লেখ্য করে প্রশ্ন করলেন যে, পবিত্র কোরআনে চারখানা কিতাবের নাম উল্লেখ্য রয়েছে এবং মতান্তরে ২৫ থেকে ২৭ জন নবী রাসূলের নামও স্পষ্টতই রয়েছে। তবে যে উক্ত দুটি আয়াতে আল্লাহ বললেন: তিনি এর আগে কোন নবী-রাসূলই পাঠাননি, এমন কি কোন কিতাবও পাঠিননি; তবে কিভাবে এই কোরআনকে সত্য হিসেবে প্রমাণ করবেন, প্রতিষ্ঠা করবেন?
"অথচ না আমি এদেরকে পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছিলাম, যা এরা পড়তো, আর না তোমার পূর্বে এদের কাছে কোন সর্তককারী পাঠিয়েছিলাম। " (সূরা সাবা-আয়াত:৪৪)
"আমি কি এর আগে এদেরকে কোন কিতাব দিয়েছিলাম (নিজেদের এই ফেরেশতা পুজার সপক্ষে) এরা যার সনদ নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করেছে?" (সূরা (৪৩) যুখরুফ এর ২১ নং আয়াত)
৩৪:৪০-৪৫। আর যেদিন তিনি সমস্ত মানুষকে একত্র করবেন তারপর ফেরেশতাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, "এরা কি তোমাদেরকেই পুজা করতো?" তখন তারা জবাব দেবে, "পাক-পবিত্র আপনার সত্তা, আমাদের সম্পর্ক তো আপনার সাথে, এদের সাথে নয়। আসলে এরা আমাদের নয় বরং জিনদের পুজা করতো; এদের অধিকাংশ তাদেরই প্রতি ঈমান এনেছিল।
এদেরকে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত শুনানো হয় তখন এরা বলে, "এ ব্যক্তি তো চায় তোমাদের বাপ-দাদারা যেসব উপাস্যের পুজা করে এসেছে তাদের থেকে তোমাদেরকে দূরে সরিয়ে দিতে। " আর বলে, "এ (কুরআন) নিছক একটি মনগড়া মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। " এ কাফেরদের সামনে যখনই সত্য এসেছে তখনই এরা বলে দিয়েছে, "এ তো সুস্পষ্ট যাদু। "
অথচ না আমি এদেরকে পূর্বে কোন কিতাব দিয়েছিলাম, যা এরা পড়তো, আর না তোমার পূর্বে এদের কাছে কোন সর্তককারী (রাসূল) পাঠিয়েছিলাম।
এদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকেরা মিথ্যা আরোপ করেছিল।
যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তার এক-দশমাংশেও এরা পৌছুতে পারেনি কিন্তু যখন তারা আমার রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো তখন দেখে নাও আমার শাস্তি ছিল কেমন কঠোর।
প্রাচীনকাল থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রত্যেক যুগে মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে দেব-দেবী মনে করে তাদের মূর্তি বানিয়ে পুজা করে আসছে্ বৃষ্টির দেবতা, বিজলীর দেবতা, বায়ুর দেবতা, ধন-সম্পদের দেবী, মৃত্যু ও ধ্বংসের দেবী ইত্যাদি প্রত্যেকটি জিনিসের পৃথক দেবতা বা দেবীর মূর্তি তারা প্রতিষ্ঠিত করেছে। এরই সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, কিয়ামতের দিন এই ফেরেশতাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরাই কি এদের উপাস্য হয়েছিলে? নিছক অবস্থা অনুসন্ধান করা এ প্রশ্নের উদ্দেশ্য নয় বরং এর মধ্যে এই অর্থ নিহিত রয়েছে যে, তোমরা কি তাদের পুজা-আর্চনায় রাজি ছিলে? কিয়িমতে এ প্রশ্ন কেবল ফেরেশতাদেরকেই করা হবে না বরং দুনিয়ায় যাদের ইবাদত ও পুজা করা হয় তাদেরকেও করা হবে। তাই সুরা ফুরকানের ১৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে: "যেদিন আল্লাহ এদেরকে এবং যেসব সত্তার এরা ইবাদত করতো তাদের সবাইকে একত্র করবেন তারপর জিজ্ঞেস করবে, তোমরা কি আমার এ বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলে, না এরা নিজেরাই সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছিল"
আচ্ছা, বলুন তো, মুহাম্মদ (সাঃ) এর পূর্বে উক্ত জাতি (জিন জাতির) কাছে কোন কিতাব বা কোন নবী-রাসূল পাঠানো হয়েছিল কিনা?
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), মুজাহিদ (রহঃ), হযরত কালুবী (রহঃ) এবং হযরত আবূ উবাইদ (রহঃ) প্রমুখের মতে জ্বীনদের মধ্যে থেকে কোন নবী আসেননি। বরং নবী এসেছেন মানুষের মধ্যে থেকে এবং তাদের মধ্যে যারা নবীদের কাছ থেকে বার্তা বহন করে তাদের জাতির জন্য সকর্তকরী রুপে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে-
"যখন কোরআন পাঠ সমাপ্ত হল ওরা (জি্নরা) ওদের সমপ্রদায়ের কাছে সতর্ককারীরুপে ফিরে গেল। " (সূরা আহক্বাফ-২৯)
এই আয়াতের তাফসীরে হযরত মুজাহিদ (রহঃ) বলেছেন- জি্নদের মধ্যে থেকে কেউ রাসূল হননি, রাসূল তো হয়েছে মানুষের মধ্যে থেকে আর জি্নদের মধ্যে থেকে হয়েছে ভীতিপ্রদর্শনকারী বা সতর্ককারী।
সুতরাং তারা তাদের সমপ্রদায়ের জন্য সতর্ককারী রুপে ফিরে গেল, তাদের মধ্যে কোন নবী বা রাসূল আসেননি বরং তারা মানুষদের নবী-রাসূলের কাছ থেকে আল্লাহ প্রদত্ত আদেশ জেনে নিয়ে তাদের সমপ্রদায়ের জন্য ভীতিপ্রদর্শনকারী হয়ে গেল।
এমনি ফেরেশতাদেরকেও মানুষের জন্য নবী হিসেবে পাঠানো হয়নি, কেননা তারা মানুষের মাঝে বসবাসকারী নয় আবার মানুষের মাঝে সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোন বিষয় সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতার দাবিদারও নয় । একজন মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো, সামাজিক সমস্যা আর উহার সমাধানগুলো, একজন মানুষরুপী নবী’র চাইতে কেইবা বেশী বুঝবে? তাছাড়া, সম্মানের দিক থেকেও ফেরেস্তারা মানুষের চাইতে উত্তম নয় ( এই ফেরেস্তারাই মানুষকে সিজদা করেছে)।
সূতরাং উক্ত আয়াতে যাদের নিকট পূর্বে কোন কিতাব বা সর্তককারী পাঠানো হয়নি; উক্ত জাতিটি হল জিন। তাদের কাছে কোন কিতাব বা রাসূল পাঠানো হয়নি। আর এর পূর্বের আয়াতেগুলোতেই এর জবাব স্বয়ং আল্লাহ পাক কোরআনেই দিয়ে দিয়েছেন। (তখন তারা (ফেরেস্তারা) জবাব দেবে,"পাক-পবিত্র আপনার সত্তা,আমাদের সম্পর্ক তো আপনার সাথে, এদের সাথে নয়। আসলে এরা আমাদের নয় বরং জিনদের পুজা করতো;এদের অধিকাংশ তাদেরই প্রতি ঈমান এনেছিল।
এদেরকে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত শুনানো হয় তখন এরা বলে, "এ ব্যক্তি তো চায় তোমাদের বাপ-দাদারা যেসব উপাস্যের পুজা করে এসেছে তাদের থেকে তোমাদেরকে দূরে সরিয়ে দিতে। " আর বলে, "এ (কুরআন) নিছক একটি মনগড়া মিথ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। " এ কাফেরদের সামনে যখনই সত্য এসেছে তখনই এরা বলে দিয়েছে, "এ তো সুস্পষ্ট যাদু। ") এই আয়াত গুলোতে ফেরেস্তা, জিন আর মূর্তিপুজকদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে। যারা এই শয়তান জিনদের উপর ঈমান এনেছিল (মুশরিক) এবং তাদেরকেই উপাস্য হিসেবে পুজা করে আসছিল; ঐসমস্ত জিনদের এবং তাদের জাতিকে কোন কিতাব বা রাসূল পাঠানো হয়নি।
আর পরের আয়াতে আল্লাহ পাক মানুষ জাতিকে লক্ষ্য করে বললেন: “এদের (যারা কোরআন নাযিলের পরও উক্ত শয়তান জিনদের এবং ফেরেস্তাদের উপাস্য হিসেবে পুজা করে আসছে) পূর্বে অতিক্রান্ত লোকেরা (যারা কোরআনের পূর্বে শয়তান/কাফির জিনদের ও ফেরেস্তাদের আপন উপাস্য হিসেবে পুজা করে আসছিল) মিথ্যা আরোপ করেছিল। যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছিলাম তার এক-দশমাংশেও এরা পৌছুতে পারেনি কিন্তু যখন তারা আমার রসূলের প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো তখন দেখে নাও আমার শাস্তি ছিল কেমন কঠোর। “
সূতরাং পূর্ব আয়াতে জিনদেরকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে: কোন কিতাব বা নবী-রসূল পাঠানো হয়নি আর পরের আয়াতে মানুষদেরকে লক্ষ্যকে বলা হয়েছে: এরা (যারা অস্বীকার করেছে) তারা এক-দশমাংশেও পৌছুতে পারেনি।
এবার আসা যাক, যুখরুফ এর ২১ নং আয়াতে: এখানে কাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে? কোন দলিল বা সনদের কথা বলা হচ্ছে? এই প্রশ্নটাই আপনার জবাবের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। কেননা, উক্ত আয়াতে বংশ-পরম্পরায় যারা ফেরেশতাদেরকে এবং দুনিয়াবী বস্তু সামগ্রীকে আপন আপন ইবাদতের উপাস্য বানিয়ে নিয়েছিল।
তাদেরকে উল্লেখ করে বলা হচ্ছেঃ (পূর্বের এবং পরের কিছু আয়াত পুড়ুন পরিস্কার হয়ে যাবে)
সূরা যুখরুফ আয়াত ২০-২৫ “এরা বলেঃ “দয়াময় আল্লাহ যদি চাইতেন (যে আমরা তাদের ইবাদত না করি) তাহলে আমরা কখনো তাদের পুজা করতাম না। “ এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এরা আদৌ জানে না, কেবলই অনুমানে কথা বলে। আমি কি এর আগে এদেরকে কোন কিতাব দিয়েছিলাম (নিজেদের এই ফেরেশতা পুজার সপক্ষে) এরা যার সনদ নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করছে?
তা নয়, বরং এরা বলে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে একটি পন্থার ওপর পেয়েছি, আমরা তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরন করে চলছি। এভাবে তোমার পূর্বে আমি যে জনপদেই কোন সতর্ককারীকে পাঠিয়েছি, তাদের স্বচ্ছল লোকেরা একথাই বলেছে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে একটি পন্থার অনুসরণ করতে দেখেছি। আমরাও তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরন করছি।
প্রত্যেক নবীই তাদের বলেছেন, তোমরা তোমাদের বাপ-দাদাদের যে পথে চলতে দেখেছো আমি যদি তোমাদের তার চেয়ে অধিক সঠিক রাস্তা বলে দেই তাহলেও কি তোমরা সেই পথেই চলতে থাকবে? তারা সব রসূলকে এই জবাবই দিয়েছে, যে দীনের দিকে আহবান জানানোর জন্য তুমি প্রেরিত হয়েছো, আমরা তা অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত আমি তাদেরকে মার দিয়েছি এবং দেখে নাও, অস্বীকারকারীদের পরিণাম কি হয়েছে। “
এসব লোকের কাছে কুরআনের পূর্বে আগত এমন কোন কিতাব বা দলিল যদি বর্তমান থাকে যেখানে আল্লাহ বলেছেন,আমার সাথে ফেরেশতারাও তোমাদের উপাস্য, তাদের ইবাদত করাও তোমাদের উচিত, তাহলে এরা তার প্রমান দিক। (আরো বাখ্যার জন্য দেখুন, তাফহীমুল কুরআন, সূরা আল আন'আম, টীকা ৭১,৭৯,৮০, ১১০,১২২,১২৫; আল আ'রাফ, টীকা ১৬; ইউনুস টীকা ১০১; হূদ টীকা ১১৬; আর রা'দ টীকা ৪৫; আন নাহল টীকা ১০,৩১,৯৪; আয যুমার টীকা ২০; আম শূরা টীকা ১১)।
এভাবে তোমার পূর্বে আমি যে জনপদেই কোন সতর্ককারীকে পাঠিয়েছি, তাদের স্বচ্ছল লোকেরা একথাই বলেছে, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে একটি পন্থার অনুসরণ করতে দেখেছি।
আমরাও তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরন করছি। :- এছাড়া তাদের কাছে আর কোন দলিলই নেই, শুধু এই সনদই আছে যে, বাপ-দাদ থেকে এমন হয়ে আসছে; তাই তাদের অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে ফেরেস্তাদেরকে দেবী/দেবতা বানিয়ে নিয়েছে।
যারা এমন অবান্তর প্রশ্নের আড়ম্ভর করে তারাও নিশ্চয় উক্ত সূরার বিশ নম্বর আয়াতের শেষাংশের মতই “এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এরা আদৌ জানে না, কেবলই অনুমানে কথা বলে। “ অনুমানে কথা বলে। ঠিকমত পড়ে দেখে না; বুঝার চেষ্ঠা করে না।
কেউ কেউ আছে এমন যে,সঠিকভাবে পুরোটা না পড়েই আয়াতের অংশ বা আংশিক কথার উপর ভিত্তি করে আপন নফসের চরিতার্থ করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এবং জ্ঞানের আদ্যিক্ষেতা রচনা করতে বসে পড়ে। আচ্ছা বলুন তো, যদি কেউ কালেমার প্রথম অংশটা পড়ে আর বলে আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন: কোন ইলাহ নেই (কেননা লা ইলাহা মানে -নাই কোন ইলাহ),এ ক্ষেত্রে অজানা যে কেউ বলবে; নাস্তিকরাই একমাত্র সঠিক পথে রয়েছে? কিন্তু ব্যাখ্যটি টি পুরো কার হয় তবে বিষয়টি কি দাঁড়াবে? কোরআনে এমন বহু আয়াত রয়েছে যা পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী আয়াতের সাথে উক্ত আয়াতের সম্পর্ক রয়েছে; সুতরাং মাঝখান থেকে একটি আয়াত টেনে উক্ত আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা বা অনুমানে যা ইচ্ছে তাই বলা কতটুকু যুক্তিযত। সাধারণ একটি উদাহরন (বুঝার সুবিধার্থে): ধরুন আপনি একটা বিষয়ে কতজনের সাথে আলাপ করছে আপনার বাড়ির বিড়ালের মৃত্যু নিয়ে, এক পর্যায়ে বলছেন: বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলা হয়েছে; এমতাবস্থায় একজন আগুন্তক এসে উক্ত কথাটিই ধারন করল এবং চলে গেল এবং সে অনত্র বলে বেড়ালো যে আমি নিজ কাজে শুনেছি বিষ প্রয়োগেই তাহার সতীনের ছেলেটাকে হত্যা করা হয়েছে যাতে করে সমস্ত সম্পত্তি হস্তগত হয়ে যায়। তিনি কিন্তু জানলেন না ওখানে কি বিষয়ে কথা হচ্ছিল এবং কার মৃত্যুর ব্যাপারে? এবং তিনি যে সন্দেহ পোষন করে সেখানে গিয়েছিলেন অপরের কাছ থেকে সতীনের ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সেটাও কতটুকু সত্য ছিল তাও তার অজানাই রয়ে গেল বরং তার বিশ্বাস গোড়ামীর দিকেই আরো দৃঢ় হয়ে গেল। আর এটাকেই সে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে লাগলো, অপর যারা শুনলো তারাও বলতে লাগলো সে উপস্থিত হয়ে নিজে কানে শুনে এসেছে-এর চাইতে সত্য আর কি হতে পারে?
কেউ কেউ স্কলার বা মুফাসেরের ব্যাখ্যা মানতে চান না; আবার কোরআনটাও যত্নসহকারে পড়তে চান না; যেখানে পবিত্র কোরআনের প্রথম শব্দটিই ছিল “পড়”।
এবং কোরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: তোমরা কি চিন্তা কর না? আর আপনিই যে এর সবটাই একা একাই বুঝে যাবেন তাও নয়? তাই যদি হত, তবে কোন ছাত্রকে শিক্ষকের কাছে যেতে হত না। কেননা, বাজারে বইয়ের অভাব নেই, বিজ্ঞান বলুন আর গণিত অথবা দূর্বোধ্য সমীকরণ, সবই তো আপনার নিজ ভাষায় রয়েছে; তা সত্ত্বেও কেন বিদ্যালয়ে যেতে হয়? আপনি অক্ষরগুলো চেনেন আবার পড়তেও জানেন তারপর কেউ আপনাকে সমীকরণটা বুছিয়ে দেব কেন, কেউ আপনাকে লাইন ধরে ধরে পড়িয়ে দিবে কেন? সবই তো উক্ত বইগুলোতে লিখা রয়েছে তদুপরি উহা বুঝার জন্য যে জানে বা জেনেছে তার দ্বারস্থ হতে হয় কেন? তেমনি কুরআনের বাংলা অনুবাদ হাতে নিলেন এবং একদমে পড়েও ফেললেন আর অমনি আপনি সবকিছু বুঝে গেলেন-তা কেমন করে হয়; যেখানে একটা পাঠ্য বই ই (আপনার নিজ ভাষায়) নিজে বুঝে উঠতে পারেন না আগা-গোড়া। শিক্ষকের কাছে না গিয়ে কতজন ডাক্তার হয়েছেন আর আপনারাই বা তাকে কতবার ডাক্তারের সার্টিফিকেট দিয়েছেন এবং আপনার হৃদযন্ত্রের সার্জারি করিয়ে নিয়েছেন? বিস্তারিত প্রসঙ্গে নাইবা গেলাম---বক্তব্য দীর্ঘ হয়ে যাবে।
সূত্রঃ "অবিশ্বাসীরা কোথায়?" লেখক: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।