ঢাকা ও সিলেটে বোমাবাজি ও গাড়িতে আগুনের ঘটনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে দায়ী করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।
এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়াকে বলবো, আপনার দলের সন্ত্রাসীদের এসব নির্দেশনা দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। ”
রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগতদের সকালে পুলিশ লাঠিপেটা করে বের করার পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। ঢাকায় বিস্ফোরণে এক জন নিহত হয়েছে। সিলেটে পুড়ে মারা গেছেন এক বাসযাত্রী।
আকস্মিক এই গোলযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “এসব ঘটনা কিসের বহিঃপ্রকাশ? খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, কী কারণে এই ষড়যন্ত্র?”
“খালেদা জিয়ার কাছে এ বিষয়ে জবাব চাই। বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব রয়েছে এ দায়িত্ব তাকে পালন করতে হবে,” বলেন সাহারা।
বোমাবাজি ও গাড়িতে আগুনের ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির অভিযোগের পরপরই মন্ত্রীর এ বক্তব্য এলো।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে দায়ী হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে সাহারা বলেন, এ বিষয়ে ভবিষ্যতে দেখা হবে।
সাহারা খাতুন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে রোডমার্চসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছে এবং এই ঘটনার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন দেওয়ারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ছাত্রশিবিরের কর্মীরা যে হামলা চালিয়েছিলো, রোববারের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বিশঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। ”
এ ধরনের ঘটনার কোনো গোয়েন্দা ছিলো কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “পূর্ব থেকে তথ্য ছিলো বলেই তারা বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরত করতে পেরেছে। ”
গোয়েন্দা ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিরত করা যদি ব্যর্থতা হয়, তাহলে সফলতা কোথায়?”
রোববার রাজধানীতে পাঁচটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে এবং এর মধ্যে একটি পুলিশের ভ্যান বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঢাকা ও সিলেটে দুজন নিহত হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মতিঝিলে বোমা হামলায় আরিফুজ্জামান আরিফ নামে ড্রাইভিং শিখতে যাওয়া একজন এবং সিলেটে গাড়িতে আগুন দিলে এক বৃদ্ধ পুড়ে মারা যান।
মতিঝিল থানার ওসি তাফাজ্জল হোসেন বলেছেন, ওই ব্যক্তির সঙ্গেই বোমা ছিলো। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, আরিফ তাদের দলের কর্মী এবং তাকে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে।
পরে অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, আরিফুজ্জামান যে বোমা বহন করছিলো- ওই তথ্যটি মন্ত্রী পরে পেয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী নেতা গোলাম আযমকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে সাহারা বলেন, আদালত আদেশ দিলে অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।