গতকাল সন্ধ্যায় সিলেটের বাদাঘাট এলাকায় বেড়াতে গিয়ে খুন হয় শাবিপ্রবির কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র অনীক এবং খায়রুল। তারা বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে সেখানে বেড়াতে গিয়ে নদীতে নৌকাভ্রমণ করার সময় নৌকার মাঝির কারসাজিতে এক জায়গায় বেশ কয়েকজন লোক নৌকায় উঠে। তাদের অস্ত্রের মুখে সাথে থাকা মোবাইল এবং টাকা দিয়ে দেয়ার পর দুজনকে তারা... ছেড়ে দেয়। তারপর নৌকায় থাকা অনীক এবং খায়রুলকে তারা নির্মমভাবে মারার এক পর্যায়ে তারা নদীতে পড়ে যায়। এর মধ্যে খায়রুল সাতার জানতো।
কিন্তু তার মাথায় বাড়ি দেয়াতে সে বেশীদুর সাতরে তীরে পৌছাবার আগেই নদীতে তলিয়ে যায়। আর অনীক সাতার না জানায় সে সেখানেই ডুবে যায়।
সন্ধ্যায় খবর পাওয়ামাত্রই ভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্ররা ভীড় জমাতে থাকে নদীর পাশে। রাতে অনীকের এবং ভোরবেলায় খায়রুলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এখন পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া।
ঘটনার রাতেই প্রক্টরকে পুরো ঘটনা জানানোর পরেও পুরো রাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তাদেরকে উদ্ধারের কোন চেষ্টাই করা হয়নি। সবচেয়ে দু:খজনক ঘটনাটি ঘটে ভোরে একটি লাশ যখন নদী থেকে তোলা হয় তখন। ফারুক নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষক মুখে সিগারেট নিয়ে নদীর পাড়ে ছিলেন। লাশ তোলার সময় তিনি লাশের এক হাত দূরত্বে ছিলেন এবং তার মুখ থেকে নির্গত ধোয়া মৃতদেহের মুখে পড়ে।
এর প্রেক্ষিতে তিন দফা দাবী পেশ করা হয়েছে কর্তপক্ষের কাছে br />
১।
দায়িত্বে অবহেলার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।
২। লাশের প্রতি অবমাননার দরুন ফারুক স্যারকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
৩। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি কারজকর করতে হবে।
আর কত মৃত্যু এভাবে চোখের সামনে দেখতে হবে আমাদের?? বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নদীতে ঘুরতে গিয়ে ডাকাতদের হাতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই ছাত্রকে এভাবে লাশ হয়ে ফিরে আসতে দেখেও চোখ বুজে থাকবো আমরা ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।