নতুন বেতন কাঠামোর কথা শুনে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা ও অগ্রণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আশায় বুক বাঁধলেও অনেকেই এ সুবিধা পাচ্ছেন না। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ব্যাংক তিনটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো প্রণয়ন করেছে। ২০০৭ সালে ব্যাংক তিনটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগদান করেছেন, কেবল তারাই নতুন বেতন কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হবেন। এর আগে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব ব্যাংকে যোগদান করেছেন, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তারা অবসর ভাতার সুবিধাভোগী হওয়ায় নতুন বেতন কাঠামো তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইঞাকে প্রধান করে গঠিত ৯ সদস্যের সচিব কমিটি গত সপ্তাহের বৈঠকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটির এক সদস্য জানান, বৈষম্য দূর করতেই এ ব্যবস্থার সুপারিশ করা হচ্ছে। কেননা যারা নতুন বেতন কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হবেন তাদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাবে। ফলে কোম্পানি হওয়ার আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা এ সুবিধা পাবেন না। খুব শীঘ্রই নতুন এ বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ব্যাংক তিনটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
ওই সময়ের পরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যাংক তিনটিতে যোগদান করেছেন, তাদের অবসরকালীন সুবিধা (পেনশন) ও সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) সুবিধা নেই। এ সুবিধা রয়েছে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরের আগে যোগদানকারীদের। কোম্পানি হওয়ার পরে যারা যোগদান করেছেন তাদের জন্য অন্য বেসরকারি কোম্পানির মতো মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কোম্পানি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) রয়েছে। এর মূল কারণ হলো- কোম্পানিতে রূপান্তর হওয়ার আগে যোগদানকারীরা অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের মতোই। আর পরে যারা যোগদান করেছেন, তাদের সুবিধাদি সরকারি চাকরিজীবীদের মতো নয়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের মতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা অযৌক্তিক হবে না। কারণ, কোম্পানি হওয়ার আগে যারা যোগদান করেছেন, তারা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে পেনশনসহ সব ধরনের সুবিধা পাচ্ছেন। আর কোম্পানি হওয়ার পরে যোগদানকারীদের এ ধরনের অনেক সুবিধাই নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।