এই আমি খুব খারাপ ! ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করেছিল এদেশের স্বাধীনতার জন্য । শুধু মাত্র স্বাধীনতার জন্য । চার অক্ষরের শব্দটির মুল্য যে কত বড় তা কেবল মাত্র উপলব্ধি করতে পারবে যারা পরাধীনতায় আছেন ।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরেও বাংলাদেশ আজ পাকিস্তানের পাপের বীজ থেকে বেরে ওঠা জামায়াত-শিবির কাছে জিম্মী। প্রতিদিন পত্রিকা , টেলিভিশন , ফেসবুক খুললেই আমরা দেখতে পাই জামায়াত-শিবিরের হামলায় সাধারণ মানুষ , পুলিশ , সাংবাদিকদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনা ।
এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায় না নারী ও শিশুরা । তারা আমাদের শহীদ মিনার ভাংচুর করে যাচ্ছে ,আমাদের শত কষ্টে অর্জিত স্বাধীন পতাকা পুড়িয়েছে এবং যদি সুযোগ থাকত হয়ত আমাদের স্মৃতি সৌধ তেও তাদের তান্ডব চালাত । তারা হামলা চালায় মসজিদে ; যেই ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা তাদের রাজনীতি করে সেই ধর্মের পবিত্র স্থান এ গিয়ে তারা জায়নামায পোড়ায় । তারা হামলা চালায় মন্দিরে ; ভেঙ্গে চুরে জ্বালিয়ে দেয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর প্রতিমা । তারা হামলা চালায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে জ্বালিয়ে দেয় তাদের ঘরবাড়ি ; নিঃস্ব করে দেয় তাদের সারা জীবনের জন্য ।
২০০১ সালে যখন বি এন পি’র সাথে জোট বেধে জামায়াত ক্ষমতায় আসে তখন দাউদকান্দি’র কোন এক খোলা স্থানে সংখ্যা লঘু হিন্দু মেয়েদের উলংগ করে রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখা হয় এর প্রত্ক্ষ্য দর্শী আমার এক সহযোদ্ধা । তারা মানুষের হৃদয়ে অগোচরে প্রবেশ করে কিশোর কন্ঠ(তাদের পত্রিকা) দিয়ে এরপর তাদের বিভিন্ন আশা দেয় তাহতে পারে চাকরী অথবা টাকা পয়সা । এরপর তারা কোন একসময় সুযোগ বুঝে সাধারণ মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করে দেয় (যা আমরা রানওয়ে সিনেমায় দেখি)। মানুষকে আত্নঘাতী করে তোলে , দেশ দ্রোহী করে তোলে । তারা বাংলাদেশে অবস্থান নিয়ে তাদের আওতায় আনা ব্রেইন ওয়াশড মানুষদের স্বপ্ন দেখায় নতুন পাকিস্তান , আফগানিস্তান এর ।
তারা যে কেমন সুকৌশলে একজন শিক্ষিত নাগরিকেরো ব্রেইন ওয়াশ করে দিতে পারে তা আমরা বুঝতে পারি রাজীব হায়দারের হত্যাকারীদের দেখে । যারা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিল । এছাড়াও ২০১৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী তারা দেশের সকল জেলায় জেলায় ওয়াজ মাহ্ফিলের আয়োজন করে তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পরের দিন ২২শে ফেব্রুয়ারী , শুক্রবার যেন তাদের কথা মত সবাই মসজিদে আগুন দেয় , শহীদ মিনার ভাঙ্গে , পতাকা পুরায় । ধর্মের দোহাই দিয়ে রাজনীতি করলেও তাদের কাছে তাদের ধর্ম কোন মুল্যই রাখে না ;কারন কয়েকদিন আগেই আমরা দেখেছি তারা তাদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরান শরীফ পুড়িয়ে রেকর্ড করেছে । তাদের পাপের কথা যদি বর্ণনা করি তাহলে হয়তো তা আপনারা পড়ে শেষ করতে পারবেন না স্ক্রিনের আলোয় আপনাদের চোখ ব্যাথা শুরু হয়ে যেতে পারে ।
হুমায়ুন আজাদ এর “পাক সার জমিন সাদ বাদ ” আর তারেক মাসুদ এর “রান ওয়ে” হয়তো তাদের পরিচয় খানিকটা সহজ করে দেয় আমাদের কাছে ।
যাদের পাপের কোন সীমা নাই , বাংলাদেশে বসবাস করার নাগরিকত্ব যারা অনেক আগেই হারিয়েছে , যাদের এক কথায় বলা যায় দেশদ্রোহী ; আজকে কেন তাদের রাজনীতি বন্ধ করতে সরকার এত শীথিল ?প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজের মুখে বলেন বাংলাদেশে জামাত-শিবিরের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই ,তখন কেন এই ধীর গতি । জামা্যাতে ইসলাম যদি আবারো নির্বাচন করার সুযোগ পায় তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খুব বেশি ভালো হবে না তা আমরা জানি । কিন্তু ওদের যদি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া না হয় তাহলে ওরা সুযোগ পাবে সাপের মত আমাদের দেশের কঁচি কঁচি ছেলে মেয়ে গুলোর ব্রেইন ওয়াস করে দেওয়ার । এবং এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমাদের দেশ আর ১০ বছর পর হবে আরেকটা পাকিস্তান ।
যেখানে প্রতিদিনই ১০ জন করে মানুষ মরবে আর প্রতি শুক্রবার ১০০ জন করে মানুষ মরবে । এক সময় দেখা যাবে আমাদের দেশ থেকেই জন্ম নিচ্ছে লাদেনের মত কুখ্যাত তালেবান নেতা ।
আপনারাই বলুন আর ১০/২০ বছর পর কি আপনি এই দেশ দেখতে চান ? আপনি যেন স্বাধীনভাবে বাস করতে পারেন তাই নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন করেছিল এই বাংলাদেশ । আপনি কি চান না এই বাংলাদেশ কে আবার এই ঘৃণ্য জামাত-শিবিরের হাত থেকে বাঁচাতে । আমরা এককভাবে এই কাজ করতে দ্বিধানিত হব এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার ।
কিন্তু আজকে আপনার আশা আর আমার আশা অভিন্ন তাইতো শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলে মেয়েরা দেশের মানুষের উপর ভরসা করেই মৃত্যুর দুয়ারে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে । তারা এখনো আশা করে গণ জাগরণ মঞ্চ যেমন বিন্দু থেকে সিন্ধু হয়েছিল শহীদ রুমী স্কোয়াডের আমরণ অনশনের কারনে তা আবার যেমন জেগে উঠছে তেমনিভাবে আপনাদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনে তা পূর্ণতা পাবে । কিন্তু এই পূর্ণতা কেবল রাস্তা ভরাট করে জনতার ভীর বাড়ানোর পূর্ণতা হবে না । যখন গণ অনশণ শুরু হবে তখন আমাদের জয় পাবার পথ আরো ছোঁট হয়ে আসবে । অথবা আরেক ভাবে যদি বলি আমাদের ১৭ জন রুমী যারা নিজেদের জীবন নিয়ে শাহবাগে যাদুঘরের সামনে বসে আছে ,এখন পর্যন্ত সরকার পক্ষের লোকেদের আসার নাম গন্ধ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না (গতকাল রাতেও আওয়ামীলিগের এক সভাপতি ইন্ডিপেন্ডেন্সে টেলিফোনে বলেন সরকার নাকি আমাদের পক্ষে আছে কিন্তু সমস্যা হল তারা আমাদের এ কথা একেবারেই জানান নাই)।
আজকে বাংলাদেশের মানুষরাই পারে বাংলাদেশকে অশুভ শক্তি জামাত-শিবিরের হাত থেকে রক্ষা করতে গণ জাগরণ মঞ্চ , শহীদ রুমী স্কোয়াড সেই পথ বাতলে দিয়েছে ।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মৃতের সংখ্যা বেরেই চলেছে , বেরেই চলেছে জামাত-শিবিরের হিংস্রতা চট্টগ্রামের অন্তুর মত কাল হয়ত আপনার মেয়েটিও আহত হবে । তাই চলুন আমাদের দেশটা কে অনেক অনেক ভালোবাসি , আমাদের দেশপ্রেমকে আরো গাড় করি , জামায়াত-শিবিরের হাতে জিম্মী হওয়া বাংলাদেশকে মুক্ত করি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ কে জামাত-শিবির মুক্ত করি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।