আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাক হানাদার, রাজাকার, আল বদর আর আ্স সামশ বাহিনী যে ৩০ লাখ মেরেছিল তার বদলা নিতে এই হারে সময় লাগবে ১০৭ বছর!

মাঝে মধ্যে পত্র-পত্রকায় এমন সব খবর লিখা হ্য় যা পড়ে বুঝা যায়না তা ভার্চুয়্যাল না রিয়ালিটি! স্বপ্নের মধ্যে পড়লাম না আসলেই তা আয়ত্ব করা যায়না মোটেই। শরীরে টিপ দিয়ে অনুভব করতে হ্য় - আসলেই ইহদমে আছি কি না! ড.কর্নেল (অব.) অলি আহমেদর এই মঙলবারের বক্তব্য সে রখমই! তিনি বলেছেন যে বর্তমান সরকারের ‍অত্যাচার নির্যাতন পাক হানাদার বাহিনীকেও ছাড়িয়ে গেছে। একজন উপাদিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এটা উনি কিভাবে বল্লেন! তাজ্জব! মনে হ্য় আমাদের সোনার বাংলাদেশ এক্কেবার....দেখেন তো হালতটা! আমাদের বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার যে কি করছে তা বুঝতে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের মেধা একেবারে কম। বিশেষ করে 'ধমপ্রাণ' যারা একেবারে সেকেলী! কিছুই বুঝতে চায়না তারা।

আমাদের প্রিয় সরকার অনেক কিছুর বিনিময়ে আমাদের পুলিশ ও র‌্যাবকে হাত করে, দমক কাটিয়ে, ডর দেখিয়ে হাজার হাজার নিরপরাদী মানুষকে জেল-হাজত ও রিমান্ডে নিয়েছে তা ঠিক। এটা করা হয়েছে ও হচ্ছে একটা মহৎ উদ্দেশ্যে! এই সব লোকদের ভাতের অভাব, কাপড়ের অভাব, রাতে মাথা রাখার জায়গার অভাব। সহানুভূতিশীল, একেবারেই 'করাপশ্যন-হীন', এই উচ্চমানের মহৎ সরকার তাদের এই অপূরণ গুলো পূরণ করার জন্যইতো এই ব্যবস্হা নিয়েছে! লোকদের যদি জ্ঞান থকতো আর বুঝতো! কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ আরো বলেন, বর্তমানে যেভাবে কুকুরের মতো মানুষকে নির্যাতন হত্যা করা হচ্ছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীও এমন নৃশংশভাবে মানুষ হত্যা করেনি। আরে তা হ্য় কেমন করে! ১৯৭১ আর ২০১৩ সন - ব্যবধান প্রায় অর্ধযুগ! ১৯৭১ সালে মানুষ মারার বর্তমানে যেসব কায়দা ও হাতিয়ার আছে তা কি ছিল? আমাদের পুলিশেরা যেসব টিয়ার গ্যা্স আর রাবার বুলেট ব্যবহার করে, যেসব কায়দায় রিমান্ডে মেহমানদারী করায় - এসব যদি হানাদাররা পাইত তাইলে দেখতেন কি হইত! সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনাগুলোতে আমাদের প্রত্যক্ষ মদদ আছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তুলতে কিছু লোকেরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। অবশ্যই লোকেরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে - কিন্ত এর দায়িত্ব নিতে হবে রাজাকারদের।

রাজাকারদেরকে নির্মূল করার জন্যইতো লোকেরা এসব করতেছে - তো রাজাকাররা যদি না থাকতো তাহলে কি এসব হতো? না, হতো না। তাই যেতোসব হয় সব দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে! রাজাকাররা কি করে আর না করে তা আসল ব্যাপার না। আসল হলো সব দোষ তাদের। দোষ করলে তো সত্যিই দোষ আর না করলেও তাদের দোষ! আমাদের দোষ তাদের - হেগোর দোষ ও তাদের। সরকার নির্বিচারে মানুষ হত্যা, জুলুম-নির্যাতন করছে উল্লেখ করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, এ সরকার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একদিনে ৭৭ জন মানুষ হত্যা করেছে।

এটাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন এ ধরণের বর্বরতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানায়। ইয়াহিয়ার ‍অত্যাচারকেও বর্তমান সরকারের নির্যাতন ছাড়িয়ে গেছে। জনাব (অব.) অলি আহমেদ কোন ধরনের কর্নেল তা জানিনা! শুনেছিলাম উনে সিপাহী - যুদ্ধ করেছেন, খেতাব পেয়েছেন। কিন্ত তার প্রমান মেলেনা উনার কথা-বার্তা থেকে। মানুষতো এমনিতেই মরে! কত মানুষ মরে! দিনে ৭৭ জন এটাতো কিছুই না।

ইরাকের জনপ্রিয় নেতা মরহুম সাদ্দাম হোসেন একসাথে দশ হাজার কার্ডিসকে শেষ করেছিল। আমাদের আওয়ামীলীগ ঐ লীগে যাওয়ার অনেক দুরে! তাছাড়া জজ বুশ একসাথে ৪,৩২৫ জন মেরেছিল ইরাকে - হেরোশীমার কথা নাই বল্লাম। আমাদের আওয়ামী সরকারের রেকড মাত্র দিনে ৭৭ জন। এই হিসেবে ৩০ লাখ শহীদের বদলা নিতে ১০৭ বছর বা ৩৮,৯৬১ দিন সময় লাগবে! তা কি করে হয় বলুনতো? হ্যা, আাপনার কথা আমি শুনছি - আপনে বলতেছেন যে যারা মরতেছে এদের মাঝে অনেকই নিষ্পাপ শিশু - আর কিশোর, মহিলা, বৃদ্ধ পথচারী! মানি, সবটাই মানি! জনাব (অব.) অলি আহমেদর মত আপনিও কি 'কলেটারেল ডেমেজ' মানে জানেন না। এটা স্বাভাবিক -হবেই! মেনে নেন - দুনিয়ার নিয়ম!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।