www.rommofun.com তখন আমার প্রি-টেস্ট পরীক্ষা চলছে। আমার যে রুমে সিট পড়েছিল, সেই রুমে ক্লাস টেনের মেয়েরা ছাড়াও ক্লাস সেভেন এবং ক্লাস এইটের মেয়েরাও ছিল। আমাদের যেদিন ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ছিল, ক্লাস এইটের মেয়েদের সেদিন ছিল চারুকলা পরীক্ষা। আমি যে বেঞ্চে বসেছিলাম, তার পাশের বেঞ্চে ক্লাস এইটের এক মেয়ে বসেছিল। চারুকলা পরীক্ষা দুই ঘণ্টা, এ জন্য এইটের মেয়েরা আমাদের আগে খাতা জমা দিয়ে চলে গেল।
আমার পাশের বেঞ্চের সেই মেয়েটাও সব শেষে খাতা জমা দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। স্যার যখন ওর খাতা গুছিয়ে রাখবেন, তখন হঠাৎ চিৎকার করে মেয়েটিকে ডাকতে লাগলেন। আমি ভাবলাম, হয়তো খাতায় রোল নম্বর লেখেনি, এ জন্য মেয়েটিকে ডাকছেন। মেয়েটার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে স্যার তাকে বিদায় করে দিলেন। এরপর আমাদের উদ্দেশে বললেন, ‘আজ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন।
কারণ, আজ আমি খুব অদ্ভুত এক জিনিস দেখেছি। ’
স্যারের কথা শুনে এক মেয়ে বলল, ‘স্যার, কী দেখেছেন?’ স্যার আমাদের আগ্রহী দৃষ্টির দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বললেন, ‘তোমরা দেখতে চাও?’ আমরা সবাই একসঙ্গে বলে উঠলাম, ‘জি স্যার, দেখতে চাই?’ স্যার এবার ক্লাস এইটের ওই মেয়েটির খাতা আমাদের সামনে উঁচু করে ধরলেন। আমি বস্ফািরিত নেত্রে লক্ষ করলাম, মেয়েটির খাতায় একটি মোরগের ছবি আঁকা; কিন্তু মোরগের দুটি পায়ের জায়গায় রয়েছে চারটি পা। দুটি পা সামনে এবং দুটি পা পেছনে। কয়েক মুহূর্ত নীরবতার পর পুরো ক্লাসরুম অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল।
হাসি শুনে পাশের ক্লাসের স্যার আমাদের ক্লাসরুমে উঁকি দিতেই আমাদের স্যার অতি আগ্রহে তাঁকে ‘চার পা-ওয়ালা মোরগ’ দেখাতে লাগলেন। ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই দেখা গেল, ‘সরল মেয়েটি’ বাকীটুকু পড়ুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।