ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ হাসান সাঈদকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কারাকক্ষের (প্রিজন সেল) ভেতরে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগে করেছেন তাঁর বাবা প্রকৌশলী সৈয়দ আহম্মদ কবির। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি শাহবাগ থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দিতে গিলে শাহবাগ থানা তা নেয়নি।
হাসান সাঈদের বাবা অভিযোগ করেন, হাসান সাঈদকে হত্যার অভিযোগে তিনি শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নেননি। এমনকি লিখিত অভিযোগ গ্রহণের অনুরোধ করলেও ওসি তা শোনেননি। থানা চত্বরে উপস্থিত হাসান সাঈদের স্বজন ও তাঁর আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, কাল বুধবার তাঁরা এ ব্যাপারে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হত্যা মামলা করবেন।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, হাসান সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া অপমৃত্যু মামলার তদন্ত চলছে। একই ঘটনায় দুটি মামলা রুজু হওয়ার নিয়ম নেই। তা ছাড়া ওই ঘটনায় অভিযোগও গ্রহণ করা যায় না।
৫ ডিসেম্বর ভোরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কারাকক্ষে হাসান সাঈদ মারা যান। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা মনজুরকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে তাঁর স্বামী হাসান সাঈদকে আসামি করে তাঁর বাবা মনজুর হোসেন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) নগরের মুগদাপাড়ার আত্মীয়ের বাসা থেকে হাসান সাঈদকে গ্রেপ্তার করে কয়েক দফায় রিমান্ডে নেয়। এরপর তিনি বিএসএমএমইউ কারাকক্ষে চিকিত্সাধীন ছিলেন। মৃত্যুর পর থেকে পরিবার দাবি করে আসছে, হাসান সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারাগারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়।
হাসান সাঈদের বাবা লিখিত অভিযোগে বলেন, কারা হেফাজতে থাকার সময় প্রভাবশালী মহলের কালো হাতের জোরে হাসান সাঈদের সর্বশেষ আশ্রয় মেলে বিএসএসএমইউএর কারাকক্ষে।
৫ ডিসেম্বর ভোরে কারাকক্ষের ভেতরে অজ্ঞাতানামা প্রভাবশালী মহলের ইন্ধন ও প্ররোচনায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা সুপরিকল্পিতভাবে হাসান সাঈদের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৩ মে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে রুমানা মনজুর দেশে ফেরেন। এরপর রুমানা মঞ্জুরের সঙ্গে তাঁর স্বামী হাসান সাঈদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। গত ২৪ মে ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে রুমানা মনজুর হাসান সাঈদকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
শাহবাগ থানা সূত্র জানায়, বিএসএমএমইউর কারাকক্ষ থেকে হাসান সাঈদের লাশ উদ্ধারের পর আলামত হিসেবে জব্দ করা নাইলনের দড়ি ও পলিথিনের ব্যাগের পরীক্ষার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর আলামত সিআইডিকে দেওয়া হবে।
শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তদন্তে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক আ খ ম শফিউজ্জামান খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, হাসান সাঈদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কলেজের হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষাগার থেকে হাসান সাঈদের হূত্যন্ত্রের প্রতিবেদন হাতে এসেছে।
মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগার থেকে ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।