হিংস্র কিছু শকুন আজ খামছে ধরেছে মানবতার পতাকা...জেগে উঠার এইতো সময়... অনেকদিন ধরেই রূমানা-সাঈদ নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো হচ্ছে। ব্যাপারটার একটা সমাধানে আমরা কি আসতে পারিনা???
১। সাঈদ রূমানাকে যেভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। আমরা মানুষ, পশু না। তার সুষ্ঠু বিচার হউয়া উচিত (ইতিমধ্যে হয়ে গেছে)।
২। সাঈদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার কারণও আছে। যদি এর পিছনে রূমানা বা রূমানার পরিবার জড়িত থাকে তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও বিচার চাই। এইভাবে বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড ক্ষমার অযোগ্য।
৩। রূমানার আহত হবার পরপরই রূমানাকে ধোয়া তুলসি পাতা প্রমাণের জন্য অনেকে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। আসলে আমরা দেখছি ব্যাপারটা এরকম না। যারা আমরা রূমানার মুখের কথাই যথেষ্ট বলে প্রমাণ হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম তাদের সামনে এখন অনেকগুলা প্রমাণ থাকলেও রূমানার পরকীয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ব্যাপারটা হাস্যকর।
দুজনের অপরাধই সত্য। একটা অপরাধের শাস্তি দেয়ার জন্য আরেকটা অপরাধকে বৈধতা দেয়ার কিছু নাই।
৪। পরকীয়া এবং নারী নির্যাতন দুটোই এ মুহুর্তের সবচেয়ে ভয়ানক সামাজিক ব্যাধি। নারী নির্যাতন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
আর বাংলাদেশে পরকীয়ার দুটি কারণ।
-স্বামী-স্ত্রীর লম্বা সময় ধরে দূরে থাকা।
-হিন্দী সিরিয়ালের দেখানো পরকীয়ার কুপ্রভাব।
সময় এসেছে একহাত নেয়ার। কোন অন্যায়কে দিয়ে আরেকটা অন্যায়কে জাস্টিফাই করা যায়না।
অন্যায় অন্যায়ই। তর্ক-দলদালি-একগুঁয়েমি বাদ দিয়ে আমরা কি অন্যায়গুলোকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারিনা?
(বি। দ্র। -আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে এখানে সাঈদকে সমর্থন দিলে এক অর্থে নারী নির্যাতনকেই সমর্থন দেয়া হয়। আর রূমানাকে দিলে দিতে হয় পরকীয়া কে।
তাই আমার সমর্থন অন্যায়ের বিপক্ষে। আসুন মানবতার গান গাই,সুস্থ প্রেমের জয় হউক। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।