ভাঙ্গতে পারবে না আমি ভঙ্গুর নই। ছুঁতে পারবে না কভু যদি ক্ষিপ্র হই। আশরাফুলের ক্রিকেট ব্রেইন নিয়ে আমি আগেও অনেকবার প্রশ্ন তুলেছি। কিন্তু ইদানিং টপ অর্ডারের সবাই যেভাবে ডিম পাড়া শুরু করেছে, আশরাফুলকে একা দোষ দিয়ে লাভ কি? এজন্য ওকে দলে ডাকার পরে আমি কোন উচ্চবাচ্য করিনি এবার। এই টেস্টের শেষে একটি জিনিষ উপলব্ধি করতে পারছি, সেটি হলো; আমাদের টেস্টের জন্য আলাদা টিম গঠন করা উচিত।
যারা না মেরে ধৈর্য ধরে খেলতে পারে তাদের নিয়ে। কারণ আমি দেখেছি, না মারলে আউট হওয়ার সম্ভবনা ৮০% কমে যায়। নাজিমউদ্দিন যেমন ধৈর্য ধরে খেললো, এমন প্লেয়ার দলের বাইরে আরো আছে বলে আমার বিশ্বাস। তাদেরকে দিয়ে টেস্ট টিম সাজাতে হবে, রান করা নয় বল খেলায় যারা দক্ষ তাদেরকে দিয়ে দল সাজানো দরকার। রাজিন শালা কোথায় গেল কে জানে, টেস্ট খেলার মত ধৈর্য ছিলো পোলাটার।
বাংলাদেশ টিমে একটি জিনিষ খুবই লক্ষনীয়, দলে যারা নতুন আসে সবাই ভাল খেলে, কিন্তু কিছুদিন গেলে সবাই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলে। এজন্য নাসিরকে নিয়ে বেশি আশাবাদী হতে পারছি না। আশরাফুল, তামিম, মাহামুদুল্লাহ, অলোক, নাফীস এমন আরো অনেকে আছে, প্রথম যখন জাতীয় দলে আসে অনেক ভাল খেলতো, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই ওরা যেন দলের বোঝা হয়ে যাচ্ছে। কোথায় আরো ভাল হবে, তা না উল্টো দিনে দিনে ওরা যেন খারাপ খেলোয়ার হয়ে যাচ্ছে। কি হয়েছে কে জানে।
অভিজ্ঞতার কোন দাম নেই। গত কিছুদিনের খেলা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এখন এই দলের সেরা খেলোয়াড় নাজিমুদ্দিন আর নাসির।
ক্রিকেটে মনোসংযোগ অনেক গুরুত্বপুর্ন, একটি বল বাউন্স আসছে, এটি চিন্তা করার অনেক সময় পাওয়া যায়, কিন্তু দলের বিপর্যয়ের মুখে যদি কেউ হুক কিম্বা পুল করতে যায় তাহলে ব্যাটসম্যানের দোষ পুরোপুরি, কারণ আমাদের দরকার বল খেলা রান করা না। এসব জিনিষ দেখে প্লেয়ার সিলেকশন করা উচিত। আমাদের দরকার টেস্ট ড্র করা, জেতা নয়।
সুতরাং, একটি কাজ বিসিবির করা উচিত সেটি হলো; যেসব প্লেয়ার ১০০ বল খেলতে পারবে টেস্টের এক ইনিংসে তাদের ইনিংস প্রতি ২৫ হাজার টাকা দিবে, ১৫০ বল খেললে ৫০ হাজার, আর যারা ২০০ বল খেলতে পারবে তাদের দিবে ইনিংস প্রতি ১ লক্ষ টাকা। কে কত রান করলো সেটি দেখার বিষয় নয়, কে কত বল খেললো সে অনুযায়ী পুরস্কার পাবে, কারণ আমাদের আগে ড্র করা শিখতে হবে।
এবার আসি টাইটেলে আমি কি বুঝাতে চেয়েছি। পাকিস্থানের ৫ উইকেটে করা রান আমরা ২০ উইকেটে করতে পারিনি, আরো ১৮৪ রান করা লাগতো, মানে বাংলাদেশকে আরেকবার ব্যাটিংয়ে পাঠালে হয়তো সম্ভব হতো। সুতরাং বাংলাদেশের ৩০ উইকেট = পাকিস্থানের ৫ উইকেট।
প্রায়ই আমার কেন যেন মনে হয় আমি যদি টিম সংশ্লিষ্ট কেউ হতাম তাহলে ওপেনিংয়ে পাঠাতাম দলের শেষের দিকের একজন আর শুরুর দিকের একজনকে। কারণ আমরা তো জানিই প্রথম ২/৪ অভারে উইকেট পড়বেই, তাহলে শেষের দিকের উইকেট পড়ুক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।