সেবার বিনিময়ে নেওয়া অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর সরকারের প্রাপ্য হলেও এক্ষেত্রে ‘ফাঁকি’ দিয়েছে ২১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
এতে সরকার ৫৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে, যা আদায়ের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে তাগিদ দিয়েছে মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ২০০৬-০৭ অর্থবছরের হিসাবের ওপর বিশেষ একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ‘ফাঁকি’র এ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং ও নন ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেবার বিনিময়ে প্রাপ্ত কমিশন, ফি বা চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হয়, কিন্তু এ ক্ষেত্রে বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী মূল্য সংযোজন কর পাওয়া যায়নি।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের সবচেয়ে বেশি পাওনা ইসলামী ব্যাংকের কাছে।
এ অর্থের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর পরই আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, তাদের কাছে পাওনার পরিমাণ ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকের কাছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের কাছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের কাছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংকের কাছে ৩ কোটি ৭৮ লাখ, ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা পাবে সরকার।
এ তালিকায় আরো ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- ওরি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক আল ফালাহ, বেসিক ব্যাংক ও স্যোসাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক।
তালিকায় থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, ফিনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড ব্রাদার্স।
এ বিষয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারির কথা বলা হলেও মহাহিসাব নিরীক্ষকের দপ্তর বলছে, “শুধু দাবিনামা জারি যথেষ্ট নয়। উল্লেখিত রাজস্ব ক্ষতির অর্থ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করা আবশ্যক। ”
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।