হ্যাঁ, আজ তার জন্মদিন । তিনি আবদুল গাফফার চৌধুরী। অমর ভাষার গানের রচয়িতা। বিতর্ক তার কথা নিয়ে থাকতেই পারে।
কিন্তু তাঁর বিবেক এই দেশের মজলুম মানুষের পক্ষে।
তাঁর চেতনা শাণিত করে
রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে।
আজ ১২ ডিসেম্বর তিনি পা দিচ্ছেন আটাত্তরে।
১৯৩৪ সালের এই দিনে তিনি বরিশালের উলানিয়ায় জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্ত্রী শেলী চৌধুরীর মারাত্মক অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উপদেশে ১৯৭৪ সালের ৫ অক্টোবর তিনি যুক্তরাজ্যে যান। ওখানে দিনের পর দিন তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হয়।
মূলত স্ত্রীর জীবনরক্ষায় বাধ্য হয়েই তাঁকে লন্ডনে স্থায়ী বসবাস বেছে নিতে হয়।
পরবাসে তিনি বাঙালীর আইকন। তিনি লেখা ছাড়াও নানা ধরনের কমিউনিটি কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এ জন্য তিনি বিলেতে ফ্রিডম অব বারা (টাওয়ার হ্যামলেটস) উপাধিতেও ভূষিত হয়েছেন।
তিনি একজন সুলেখক।
তাঁর গল্পের বই ‘সম্রাটের ছবি’ তাঁকে এনে দিয়েছিল ইউনেস্কো সাহিত্য পুরস্কার। তিনি গল্প, উপন্যাস, গান লিখে বাংলা একাডেমী পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার- স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) মুখপত্র ‘জয় বাংলা’ পত্রিকা ১৯৭১ সালের ১১ মে গাফ্ফার চৌধুরীর সম্পাদনায় কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।
তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
তাঁর ৭৮তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।