বেলা দ্বিপ্রহর ধু ধু বালুচর
বড় বেশী গরম
তার ওপর লোড শেডিং, তার ওপরেও ......
ছেলেটির কপালে ঘাম ।
অনেক দূর হেটে সে এসেছে রক্ত দিতে
ব্লাড ব্যাঙ্কে ।
তার তরুন টগবগে রক্ত
বিশুদ্ধতায় দুগ্ধের মত ফেননীভ রক্ত
তার কই মাছ খাওয়া ও পজিটিভ।
কে গো তুমি বসে আছো লক্ষী মেয়ে ?
আহা, ক দিনের জরে কি রোগা হয়েছো তুমি
হ রি ণ চোখের কোনায় কালি কি ?
শ রীর টা ভালো না, রোজ বমি, রোজ জর
ক্যান্সার বড় কঠিন অতিথি গো,
শুষে নেয় সব নিঃশাস, সব রক্ত
কিন্তু তোমার স্বপ্ন গুলো ? স্বপ্ন গুলো ?
রক্ত চাই, বিশুদ্ধ দুধের মত রক্ত
দাড়াও রাজকুমারী, তোমার রক্ত আসছে
প্রিথিবীর অন্য কোন প্রান্তে
এক অচেনা ক্লান্ত রাজকুমার তোমার জন্য
এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে এখন পরি শ্রান্ত ।
তুমি তাকে চেনো না, কখনো দেখবে না
ছেলেটিও জানে না কার ধ্ মনীতে
স্বপ্ন বুনবে তার লৌহকণিকা, শেত কণিকা
রক্ত দেয়া শেষে ছেলেটি দুই মাইল পথ হাটে
পকেটে পয়সা ছিল না
রিক্সা, বাস ট্রাম নেবার।
দু র্বল পায়ে হেটে বাড়ী গেল।
রাতে তারো জ র এলো।
দুদিন বাদে টাইফয়েড ।
এই ছেলেটি নিজের কথা ভাবে না
ভাবে শুধু, আবার কবে সবল হবে ?
ব্লাড ব্যাঙ্কে এক বোতল রক্ত দেবে ?
এই ছেলেটির নাম শিশির।
শিশির আমার পড়া শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।