খোঁজে চলি নিজেকে , তোমাতে হারিয়ে .। .। .। .। ১৯৮৮ সালের ১১ ই ডিসেম্বর .।
.। .।
রোজ রবিবার বিকেল ৪ টা বেজে কয়েক মিনিট .। .।
দাই আসে খবর দিল ছেলে হয়েছে.।
.।
অভাবের সংসারে আগের তিনছেলে এবং দুই মেয়ে থাকায় বাবা কতটা খুশি হয়েছিল তা বোঝা কঠিন । তবে নাড়ি ছেড়া ধনকে দেখে মার খুশির অন্ত নেই ।
কিশোরগঞ্জ জেলার ছোট্ট একটা গ্রাম ইসলাম পাড়া । কুয়াশা পড়তে শুরু করায় চারপাশ একটু আগেই অন্ধকার হয়ে গেছে।
বারান্দার এক কোনে অন্ধকারে বসে বিড়ি টানতে টানতে কিছু এক টা ভাবছিল আব্দুল মালেক । হয়তো সংসার আর অভাবের সমীকরণটা মেলাতে পারছেনা । সংসারে এতোগুলো মানুষ আর আয়ের উৎস একটা । হয়তো তিনি তার এই ছেলেকে তার সাথেই কাজ করাবে বলে ভাবছে। নইত সংসার কিভাবে চলেবে .।
.। .। । ।
এইছিল আমার জন্মের প্রেক্ষাপট .।
.।
২৩ টা বছর পার করে এখন আমি বিস্মিত ।
সেই অভাব আর নেই । এক মেয়ের বিয়ে দেওয়া আর এক ছেলে তার বউ কে নিয়ে আলাদা হওয়ায় পরিবারের সদস্য সংখ্যা কমে গেছে। হয়তো তার তেমন টেনশন করার কিছু নেই ।
কিন্তু তিনি কি জানেন তিনি তার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়তো বংশ পরম্পরায় টেনশন টা তার সেই কনিষ্ঠ সন্তান কে তা দিয়ে দিলেন । ছেলেটা ছোট বেলা থেকেই ভাল ছিল। তাইতো মেডিকেল এ চান্স পায় । কিন্তু তার যে প্রিয় বিষয় গনিত তা তিনি জানেন না হয়তো জানতে চাননা ।
থাক আর বলে কি হবে এখন তো সেই ছেলে মেডিকেল এর শেষ বর্ষের ছাত্র ।
কদিন পরেই সে এমবিবিএস পাস করবে। ডাক্তার হবে । দেশ ও দশের সেবা করবে।
২৩ টা বছর পাড়ি দিয়ে আজ নিজের জীবনকে নিয়ে ভাবছি আর হিসাব কষছি । কতবন্ধু এলো আর কত জন গেলো ।
সব আজ শুধুই স্মৃতি। তারপরও কজন থেকে যায় এই মনে - রাজু , ঝিনুক , জনি , রুপম , বর্ষণ , মাহবুব ,সনি , তাদেরই কয়েক জন।
ভালবাসা ... ভালোবাসা আজও রয়ে গেলো আমার কাছে অধরা। আমার প্রথম এবং একমাত্র প্রেম "মানিত" (ছদ্ম নাম) , আজও আছো এই মনে , হয়তো থাকবে সারাজীবন । শুধু কষ্ট মনে , বলা হয়নি তোমায় ।
হয়তো তুমি জানো ,হয়তো না।
যাক আজ নিজের জন্মদিনে নিজেকে জানাই শুভ জন্মদিন।
সবার কাছে দোয়া প্রার্থী । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।