আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঃঃঃ এল ক্লাসিকো- ২১ সেকেন্ডে গোল !!! ঃঃঃ

ঃঃঃঃ চল বহুদূরে...নির্জনে আড়ালে লুকোই...ঃঃঃ Real Madrid 1 vs 3 Barcelona 1′ Karim Benzema (RM), Alexis Sánchez 30′ (FCB), Xavi (Marcelo (RM) OG)) 53′ (FCB), Cesc Fàbregas 66′ (FCB), যত গর্জে তত বর্ষে না। আজ রিয়ার মাদ্রিদ সেই প্রবাদ বাক্যটা প্রমাণ করে দিলো। বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ পরাজিত ১-৩ গোলে, বেঞ্জামার দ্রুততম গোলের রেকর্ড, টানা ১৫ জয়ের পর হারের স্বাদ পেল রোনাল্ডোরা, দাপুটে জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে গার্ডিওলা বাহিনী স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরিসংখ্যানে এগিয়ে ছিল বার্সিলোনাই। তবে সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের মাপকাঠিতে ধার বেশি ছিল রিয়াল মাদ্রিদেরই। এর ওপর ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা মরিনহো বাহিনীকে আগেই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল।

তবে বাস্তব দিক হলো, রুদ্ধশ্বাস আর রোমাঞ্চকর এল ক্লাসিকো লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে বার্সিলোনাই। পরশু সান্তিয়াগো বার্নাবু্যতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে তারা পরাজিত করেছে ৩-১ গোলে। দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি গোলের দেখা না পেলেও খেলেছেন দুর্দানত্ম, একটি গোলের যোগানদাতাও তিনি। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে মাত্র ২৩ সেকেন্ডে দ্রম্নততম গোলের নতুন রেকর্ড গড়া করিম বেঞ্জামা রিয়ালকে এগিয়ে দেন শুরুতেই। তবে সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বার্সা ফিরে পেয়েছে তাদের ছন্দ, খেলেছে ভিনগ্রহের ফুটবল।

রিয়ালের জালে পর্যায়ক্রমে গোল করেছেন আলেঙ্ সানচেজ, জাভি হার্নান্দেজ ও চেস ফ্যাব্রিগাস। বলতে গেলে রিয়ালকে নাচিয়েই লা লীগায় পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করেছে গার্ডিওলা বাহিনী। মৌসুমের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ এল ক্লাসিকো জিতে বার্সার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরও প্রবল হলো। কারণ রিয়ালকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে বার্সিলোনা। ১৬ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট কাতালানদের।

রিয়ালের পয়েন্টও ৩৭, ১৫ ম্যাচে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় রিয়াল চলে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। ধ্রম্নপদি লড়াইয়ে রিয়ালের এমন পরাজয় মরিনহো দেখছেন বেশ হতাশার চোখে। তার মতে, ভাগ্য কিছুটা বিরূপ আচরণ করেছে তাদের সঙ্গে। না হলে নিশ্চিত গোল হওয়া বল কেন জালে জড়াতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

কেন শুরম্নতেই এগিয়ে গিয়েও ঘরের মাঠে খেই হারিয়ে ফেলল ডি মারিয়া, মেসুত ওজিল, কাকারা। তবে মরিনহো আশাবাদী, ছন্দে ফিরে আসবে তার সৈনিকেরা। কিন্তু এই পরাজয় বড় হতাশাও জন্ম দিল বার্নাবু্য শিবিরে। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১৫তম জয়ের ধারায় ছিল রিয়াল। ১৬তম ম্যাচে এসে বার্সার সঙ্গে হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হলো তাদের।

সঙ্গে ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ডও পিষ্ট হলো মেসিদের পদতলে। এল ক্লাসিকোর উত্তেজনার রাতে ভ্যালেন্সিয়ার বিরম্নদ্ধে চমক দেখিয়েছে রিয়াল বেটিস। ঘরের মাঠে তারা ২-১ গোলে পরাজিত করেছে ভ্যালেন্সিয়াকে। ৬৬ মিনিটে জশে এ্যান্টোনিও ডোরাডোর আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় ভ্যালেন্সিয়া। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যনত্ম এই ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল তারা।

তবে অতিরিক্ত সময়ে রম্নবেন ক্যাস্ত্রোর জোড়া গোল চমক লাগানো জয় এনে দেয় রিয়াল বেটিসকে। রাতের অপর ম্যাচে সেভিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করেছে চলতি মৌসুমে আলোচিত দল লেভানত্মে। ধ্রম্নপদি লড়াইয়ের শুরম্নটা বেশ রোমাঞ্চকর করে তুলেছিলেন রিয়ালের ফরাসী তারকা স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জামা। ২৩ সেকেন্ডে তার করা গোল বার্নাবু্য স্টেডিয়ামের সমর্থকদের উলস্নাসে মাতায়। যেটি ছিল এল ক্ল্যাসিকোর ইতিহাসে দ্রম্নততম গোল, যেখানে দুই ক্লাবের ২১৬ বার মুখোমুখিতে প্রথম মিনিটের পঞ্চম গোলের রেকর্ড।

বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের কিক প্রতিপক্ষের উইঙ্গার এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে খুঁজে পেলে আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ড সেটি বাড়িয়ে দেন মেসুত ওজিলের দিকে। ওজিলের পাসে বঙ্ েবল পেয়েই ডানপায়ের শটে ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়িয়ে দেন বেঞ্জামা। আচমকা এক গোল হজম করে বার্সা তখন আরও বেশি ছন্দময়, আক্রমণাত্মক। ৭ মিনিটেই ম্যাচে সমতা আনতে পারত বার্সিলোনা। তবে লিওনেল মেসির দুর্দানত্ম একটি প্রচেষ্টা রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করায় তা হয়নি।

তাই বলে হতাশ হয়নি কাতালান শিবির। ৩০ মিনিটেই ম্যাচে সমতা আনে সফরকারীরা। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করে লিওনেল মেসি বল বাড়িয়ে দেন চিলির তরম্নণ ফরোয়ার্ড সানচেজের উদ্দেশে। সুযোগ নষ্ট করেননি উদিনেস থেকে আসা এই খেলোয়াড়। ১৮ গজ দূর থেকে রিযালের জালে নিশানা ভেদ করেন তিনি।

প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ ব্যবধানেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরম্নতেও বার্সা ছিল ছন্দময়। বল নিয়ন্ত্রণে বার্সারই আধিপত্য ছিল বেশি। ৫৩ মিনিটে বার্সাকে ২-১ ব্যবধানে লিড এনে দেন পেস্ন মেকার জাভি হার্নান্দেজ। ৩০ গজ দূর থেকে যে গোলটি করেন তাতে ভাগ্যেরও কিছুটা ছোঁয়া আছে।

হার্নান্দজের ভলি রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলোর গায়ে লেগে জালে আছড়ে পড়ে। বিচলিত ইকার ক্যাসিয়াস ঝাঁপিয়ে পড়েও রক্ষা করতে পারেননি তা। ৬৫ মিনিটে পতর্ুগিজ তারকা ফরোয়ার্ড ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় আফসোসে পুড়তে হয় মাদ্রিদ সমর্থকদের। উল্টো পরের মিনিটেই আরও একটি গোল হজম করতে হয় তাদের। মাঝমাঠ থেকে মেসি নিখুঁতভাবে বল বাড়িয়ে দেন ডানপ্রানত্মে থাকা দানি আলভেসের উদ্দেশে।

আলভেসের লম্বা ক্রসে দূরপোস্টে থাকা ফ্যাব্রিগাস মাথা ছোঁয়ালে ৩-১ এ এগিয়ে যায় বার্সিলোনা। বাকি সময়টা দুই দলই করেছে আক্রমণ পাল্টাআক্রমণ। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে বার্সা কোচ পেপ গার্ডিওলা, রাজ্যের হতাশা সঙ্গে করে রিয়াল কোচ মরিনহো। এই পরাজয়ে ভাগ্যকে দুষেছেন রিয়াল কোচ।

তবে গার্ডিওলা চমৎকার নৈপুণ্যের কারণে ধন্যবাদ জানিয়েছে মেসিদের। বার্সার তারকা পেস্ন মেকার জাভি বলেছেন, 'নিজস্ব দর্শনের প্রতি আস্থা রেখেই খেলেছি। বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল আমাদের পায়ে আর এভাবেই প্রতিপক্ষের ওপর প্রাধান্য বিসত্মার করি আমরা। ' এই ম্যাচ বাদ দিলে শেষ ৭ এল ক্লাসিকো ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ লাল কার্ড পেয়েছিল ৬টি। তাছাড়া ওই সব ম্যাচে খেলোয়াড়দের মধ্যে টুকটাক ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে।

তবে পরশু রাতের এল ক্লাসিকো কিছুটা পরিচ্ছন্নতাই ছিল। মাত্র ৭টি হলুদ কার্ডের এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখেনি কোন দলই। তারপরও খেলোয়াড়দের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল এক পর্যায়ে। সেটা রিয়াল মাদ্রিদের পেপে আর বার্সার কেইতার মধ্যে। এল ক্লাসিকো ম্যাচে এমন উত্তেজনা এমন আর কি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।