আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

।। একটি ভবিষ্যত-বাণী কিংবা পুনরায়, অন্য এক সম্রাজ্ঞীর প্রতি।।

বাঙলা কবিতা --------------------------------------------- একবার তুমি নিজেরই কানে শুনতে চেষ্টা করো সব কিছু দেখে নিতে চাও, নিজেরই বিশ্বস্ত দুই চোখে- দেখবে, যেখানে আছে পুষ্পোদ্যান, ভেবে, তুমি আহ্লাদে ফেটে পড়েছিলে; সেখানে সুতীক্ষ্ণ কাঁটা বিষমাখা সুচের মতন, ঝলমল করে। আহ! প্রিয়তমা, নদীর ভেতরে কোনও জল নেই, বালু ও পাথর কাঁদে; এই জলপথে, কীভাবে সম্ভব হলো, ওরকম প্রমোদভ্রমণ? সেই কথা ভেবে, তুমি ভয় আর শিহরণে কেঁপে উঠবে নিজেরই ভেতরে। ফুল আর কাঁটা- দুটোরই তো আমাদের আছে প্রয়োজন! তোমার চতুর্দিকে মৌমাছি গুঞ্জরণ হয়ে যত যত চাটুকার সারাক্ষণ ঘিরে বসে থাকে- ওইসব সম্মোহন থেকে শুধু একবার বাহিরে দাঁড়াও! যা কিছু শোনার শুধু একবার শুনে নাও, অবসরপ্রাপ্ত ওই তোমার নিজেরই দুটি কানের আশ্রয়ে; যা কিছু দেখার, দ্যাখো, পুরাতন সাবলীল চোখে! দেখবে, এ শাদাবৃষ্টি নয়; বিরল সবুজ জুড়ে অবিরল রক্তিম মেঘ ঝরে পড়ে; বাঙলার সব পাখি বৈরিতা নিয়ে ফিরে গেল, দিগন্তের দিকে, কোনও অভিমানী অরণ্যের পাতার গোপনে; ঝরে গেল অসংখ্য সবুজ বনভূমি; বহু গাছ বন্ধ্যা-কাঠের মত, এখানে ওখানে আজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদে; এর সবই রোদন-ক্রন্দন, কিছুতেই আগামীর বনায়ন নয়! একবার তুমি নিজের পায়েই দাঁড়াতে চেষ্টা করো দ্যাখো, নিচের জমিন কত দূরে সরে গ্যাছে... নিজেরই ভেতরে তুমি কত বেশি অ-তুমি হয়েছো! -------------------

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।