আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

The Abul's কাহিনী -- কিভাবে সব জয় ম্যানেজ করতে হয়??

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। দুই আবুলের ভেতরে ছোট [ বুড়াটা না ] আবুলকে সরানোর জন্য সরকারকে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়েছে। এখন জানা যাচ্ছে অনেক অজানা সংবাদ! সৈয়দ আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য রোববার তড়িঘড়ি করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে রেল বিভাগকে আলাদা করে পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। এ ব্যাপারে রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবের স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। খবর পেয়ে আবুল হোসেন কড়া প্রতিবাদ জানান।

তিনি তার মন্ত্রণালয়ের একাংশের মন্ত্রী হতে চান না বলে নীতিনির্ধারকদের জানান। শুধু তাই নয়, তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হলে তিনি দায়িত্ব নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। একই সঙ্গে আবুল হোসেন এ কথাও জানান, মন্ত্রিত্ব হারালে তিনি দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন। এতে আগামীতে সংসদ সদস্য হওয়াও কষ্টকর হবে। তার পর শুরু হয় তাকে বুঝানোর পালা।

সর্বশেষ রাত ৯টায় সিদ্ধান্ত হয় আবুলের হাতে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব দেয়া হবে। লন্ডন থেকে ফোন করে তাকে বুঝানো হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আপনাকে পূরণ করতে হবে। এরপর আবুল সম্মতি দেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি তার মন্ত্রণালয়ের নামে যোগাযোগ যেন থাকে সে দাবি জানান। সরকারী গেজেট ছাড়া প্রধান মন্ত্রীর উপদেষ্টা হওয়া জনাব সজিব ওয়াজেদ [ জয় ] এই মূহুর্তে দেশেই আছেন।

নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ইতোমধ্যে তার সাথে দেখা করেছেন। হয়তো বন্দোবস্ত চূড়ান্ত ভাবে ঠিক করাই ছিল সেই মিটীং-এর লক্ষ্য। তারপরেও এই দেখা করার মানে যে কি তা সবাই বোঝে! আরো মজার কথা হল মন্ত্রি সভায় পরিবর্তনের সময় এই উপদেষ্টা কোথা থেকে আগে ভাগেই জানলেন এবং সঠিক সময়ে উপস্থিত থেকে অশেষ সোয়াব হাসিল করলেন। উনি [ জনাদ সজিব ওয়াজেদ ] সব মন্ত্রীদের দেওয়া টার্গেট পূরণ হয়েছে কিনা, আর নতুন মন্ত্রীদের কাছ থেকে কি কি আদায় হবে, তা ঠিক করতেই কি দেশে এসেছেন? বিম্পি-র মতোই কি আম্লীগ-ও নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা স্থাপন করা শূরু করেছে কিনা? বলা হয়ে থাকে, আগের জমানায় জয় বাবাজিকে কোন পদ দিতে বিরোধিতা করায় দুনিয়া থেকেই বিদায় নিতে হয় কিবরিয়া সাহেবকে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।