আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর আকাশে।

বেলা ১১টা। ঢাকার আমেরিকান সেন্টারের নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল, সেমিনারকক্ষে একদল তরুণ-তরুণী খুব মনোযোগ দিয়ে একজন আমেরিকান ভদ্রলোকের কথা শুনছেন। সেমিনারকক্ষে উঁকি দিতেই ভদ্রলোক বেশ ব্যস্ত ভঙ্গিতে অভ্যর্থনা জানালেন, ‘কাম ইন, কাম ইন! প্লিজ, জয়েন আস। ’ ভদ্রলোকের আন্তরিক অভ্যর্থনায় সাড়া দিয়ে আমিও ‘জয়েন’ করে ফেললাম তরুণ-তরুণীদের ওই দলটিতে। তাঁর নাম পিটার লন বি।

এসেছেন ট্রয় ইউনিভার্সিটি থেকে। অসংখ্য সম্ভাবনার কথা বললেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র-সম্পর্কিত নানা ধরনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন অকপটে। ঠিক এমন আন্তরিক একটা পরিবেশেই বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাসম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পেয়েছেন আমেরিকান সেন্টারের আন্তর্জাতিক শিক্ষা সপ্তাহের বিশেষ আয়োজনে। সারা বিশ্বের সব কটি আমেরিকান সেন্টারেই ছিল এই আয়োজন।

বাংলাদেশেও ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর হয়ে গেল এই আয়োজন। চার দিনের এই আয়োজনে ছিল বেশ কিছু সেমিনার। এসব সেমিনারে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। কোনো সেমিনার ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য, আবার কোনোটা ছিল মাস্টার্স আর পিএইচডি করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য। নারী শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যাওয়ার যে অনেক সুযোগ রয়েছে, তা জানানোর জন্যই ছিল আলাদা একটি সেমিনার।

সেমিনারটি আগ্রহী নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদের জন্যও উন্মুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আয়োজকেরা। এরপর ছিল যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে সম্মানজনক শিক্ষাবৃত্তি ‘ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ’ নিয়ে একটি সেমিনার। ভিসা-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নোত্তরের জন্যও ছিল আলাদা সেশন। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু সেমিনার ছিল এই আয়োজনের চার দিনজুড়েই।

আমেরিকান সেন্টারের এডুকেশন অ্যাডভাইজার আরেফিন জাহান বললেন, ‘আসলে শুধু যে শিক্ষা সপ্তাহের জন্য এই আয়োজন, তা নয়। সারা বছরই আমেরিকান সেন্টার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পরামর্শ সহায়তা দিয়ে থাকি আমরা। প্রতি সপ্তাহে সোমবার বিকেল তিনটা থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে গ্র্যাজুয়েট লেভেলে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনামূলক সেমিনারের আয়োজন থাকে। যারা এই ধাপ পার করে আসে, তাদের জন্য এককভাবে কাউন্সেলিং সেশনের ব্যবস্থা করে থাকি আমরা। ’ এই ফাঁকে জানিয়ে রাখি, এই একক কাউন্সেলিং সেবার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে আমেরিকান সেন্টারের এক দিনের সদস্য হতে হবে।

এই সদস্য হলে শুধু যে কাউন্সেলিং সেবা নেওয়া যাবে তা-ই নয়, বরং আমেরিকান সেন্টারের ‘আর্চার কে ব্লাড লাইব্রেরি’র বইপত্র, জার্নাল, ডিভিডি, ইন্টারনেট সবকিছুই ব্যবহার করা যাবে পুরো এক দিন। আর কেউ যদি এসব সেবা বছরজুড়ে পেতে চান, তবে মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে এক বছরের জন্য সদস্য হলেই চলবে। তবে আর দেরি কেন! যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে চান, তাঁরা আজই যোগাযোগ করুন আমেরিকান সেন্টারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা-সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের ১০০ শতাংশ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে একমাত্র আমেরিকান সেন্টার। ঠিকানা: প্লট-১, প্রগতি সরণি, ব্লক-জে, বারিধারা আবাসিক এলাকা, ঢাকা।

ফোন: ৮৮৫৫৫০০ এক্স-২৮৩২ ই-মেইল: ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।