পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী"
নীলার সঙ্গে পুলকের পরিচয় বাংলাক্যাফে নামের একটি চ্যাটিং সাইটে। ‘হাই! এএসএল? (এইজ/সেক্স/লোকেশন)’ দিয়ে শুরু। পুলক ঢাকায় নীলা সিঙ্গাপুরে। দুজনেই বিবাহিত। প্রতিদিন রুটিন করে কথা চলে তাদের।
দুজন দুজনকে সব কথাই বলে। বাংলাক্যাফে থেকে আলাপচারিতা চলে আসে ইয়াহু মেসেঞ্জারে। একদিন একটা কারণে নীলা খেপে যায় পুলকের ওপর। চ্যাট বন্ধ। চার বছর পর হঠাৎ একদিন পুলকের হাই! সাড়া দেয় নীলা।
তত দিনে স্বামীর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় সে। এবার পুলক-নীলা আরও যেন কাছাকাছি। পুলক কাজে যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। নীলা অন্য শহরে। প্রথম কথা হয় টেলিফোনে।
পুলক কাজ শেষে ফিরে আসে। এরপর ইন্টারনেটে আরও চ্যাট, মুঠোফোনে এসএমএস। এক দিনও বাদ নেই। নীলা জানায়, সে সুখী নয়। সংসারে যে দিনগুলোতে বেশি অশান্তি দেখা দেয়, পুলক দূর থেকেই একের পর এক এসএমএসে হালকা করে দেয় তার ‘মুনশাইন’কে।
মজার ব্যাপার হলো, পুলক ও নীলার বন্ধুত্ব প্রায় ১১ বছরের। একবারও তাদের দেখা হয়নি। দেখা হবে না? দুজন দুজনকে জিজ্ঞেস করে কখনো-সখনো। নীলা বলে, না হলে ক্ষতি কী?
এই যে সম্পর্ক, এটা ভার্চুয়াল সম্পর্ক (যে সম্পর্কটা পুরোই বাস্তবে ধরা দেয় না)। ইন্টারনেটে লিখে লিখে সরাসরি যোগাযোগ, যেটা চ্যাট নামেই পরিচিত, তার শুরুটা এমআইআরসির মতো কিছু প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে যখন অনলাইন ইন্টারনেট এল, প্রথমেই এই চ্যাটিং বিষয়টা জনপ্রিয় হলো। এরপর এমএসএন, ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি প্রোগ্রামে ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলো তৈরি হতে থাকে। মেসেঞ্জারে ছবি দেখা যেত শুরুতে। এখন তো গুগলটকসহ সব মেসেঞ্জারে ভিডিও চ্যাট, নেটফোন নানা কিছু করা যায়। তবে সবকিছুকে টেক্কা দিয়ে ফেসবুক এখন ‘এক ও অদ্বিতীয়ম’।
নিজের কথা, নিজের আবেগ, নিজের ছবি, আঁকাআঁকি, মতামত—সবকিছুই অন্যকে জানানো যায় ফেসবুকে। চ্যাটও করা যায় এতে। এমন আরও কিছু সাইট থাকলেও ফেসবুকের প্রভাব এখন গোটা দুনিয়ায়।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ৮০ কোটির বেশি। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর গড় বন্ধু ১৩০ জন।
ফেসবুক সামাজিকতার নতুন সংজ্ঞাই যেন তৈরি করে দিয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নেই। ২১ লাখ ১০ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারের তালিকায় ৫৬তম স্থানে আছি আমরা। ফলে ভার্চুয়াল সম্পর্ক অনেকটাই অনিবার্য।
‘আজ আকাশটা খুব নীল।
ইচ্ছে করছে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়াতে। ’ কণার স্ট্যাটাস এটা। ফরহাদ তাতে কমেন্ট করল, ‘নীল আকাশে তোমার জন্য বানিয়ে রেখেছি সাদা মেঘের ভেলা। ’ এরপর কথা চলতে থাকে স্ট্যাটাসে-কমেন্টে, মেসেজে, চ্যাটে। কাব্যিক সব কথোপকথন।
পূর্ণেন্দু পত্রীর শুভংকরের চেয়েও যেন বেশি রোমান্টিক ফরহাদ। তাই বন্ধুত্ব ভালোবাসায় পৌঁছাতে সময় বেশি লাগেনি। দুজনের বয়সই ত্রিশের নিচে। অবিবাহিত, পেশাজীবী। দেখা হলো অতঃপর।
পরিবারও রাজি। ফরহাদকে আরও বেশি করে চিনতে শুরু করল কণা। হঠাৎ একদিন ফেসবুকেই দেখতে পেল, ফরহাদ আরও কয়েকজনের জন্য মেঘের ভেলা তৈরি করে রেখেছে। বিয়েটা ভেঙে দিতেই হলো কণাকে। কণা সিদ্ধান্তে এল, ‘নো মোর ফেসবুক।
’
দূর থেকে ঐন্দ্রিলাকে দেখত তারেক। কিশোরী ঐন্দ্রিলা তারেকের মনকে টানত। কিন্তু মুখোমুখি কথা হয়নি কখনো। অনেক দিন দেখা নেই ঐন্দ্রিলার। দূরদেশে সে পরবাসী।
ফেসবুকে এক বন্ধুর ফ্রেন্ডলিস্টে তারেক একদিন আবিষ্কার করল ঐন্দ্রিলাকে। পাঠাল ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। অপর পক্ষ সাড়া দিল। নিয়মিত তাদের ফেসবুক যোগাযোগ। ছবিতে কমেন্ট।
‘তিন বছরের মধ্যেই পড়াশোনার পাট চুকিয়ে আমরা বসলাম বিয়ের পিঁড়িতে। ’ তারেক বলল তার কথা।
পেশাগত কাজেই মাহফুজ মামুন আর লিনা হাসানের পরিচয়। খুব দেখা-সাক্ষাৎ নেই। তবে সম্পর্কটা ভালোই।
কেননা একদিন মামুন জানতে পারে, লিনা তার বাবার বন্ধুর মেয়ে। দুই-তিন বছরে মামুন জানে লিনার সুখের সংসার। একদিন হঠাৎ ফেসবুকে কথা হয় তাদের। যেসব বিষয়ে কখনো কথা হয়নি, লিখে লিখে সেসবই তারা বলতে থাকে। লিনা জানায়, অনেক দিন থেকেই তার স্বামী আর সে আলাদা থাকে।
এরপর কয়েক দিন জীবনের গভীর আবেগময় কথাবার্তার বিনিময় হয় তাদের ফেসবুকে। বন্ধুরা মামুনকে সংক্ষেপে এমএম ডাকে। লিনাও তাই। তবে সে জানায়, তার এমএমের অর্থ আলাদা। মামুন ধরে ফেলে ‘মনের মানুষ।
’ দুজনের মধ্যে ভার্চুয়াল জগতেই একটা আবেগের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা বন্ধু, ‘মোর দ্যান ফ্রেন্ড’। লিনার শূন্যতা ভরিয়ে দেয় মামুন।
সন্ধ্যা পেরিয়ে সবে তখন পূূর্ণিমার রাত। ধলেশ্বরী নদীতে ভেসে চলছে নৌকা।
যাত্রী সাদা সুতির শাড়ি পরা এক নারী, সঙ্গে এক পুরুষ। ধলেশ্বরীর একটা চরে থামে নৌকাটা। দুজনে নেমে বসে জ্যোৎস্নাস্নাত চরের মাটিতে। অবারিত প্রকৃতিতে তারা ঘণ্টা খানেক নানা কথা বলে। মাঝেমধ্যে হাতে হাত রাখে।
এটুকুই। এরপর ফিরে আসে ব্যস্ত নগরে। দুজন চলে যায় দুজনের সংসারে। ভরা পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় নদী দেখা—এ ইচ্ছাটা অনেক দিন থেকেই ছিল খুরশীদার। কিন্তু স্বামীর সে সময় কই।
ভার্চুয়াল জগতে পাওয়া বন্ধু তাওহীদ খুরশীদার সেই শখ পূর্ণ করে দেয়। এই তো তাদের বন্ধুত্ব।
অভিজ্ঞদের কথায় আমরা ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলোর নানা মাত্রা দেখতে পাই। ভাঙা-গড়া, প্রতিশোধ—সবই এর অনুষঙ্গ। বাংলাদেশে এখনো ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অর্ধেকের বয়সই ১৮ থেকে ২৪ বছর।
নিজেদের প্রকাশ করার জন্য তাদের কাছে সেরা মাধ্যম ফেসবুক। ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের উপস্থিতি ৩০ শতাংশ। উন্নত বিশ্বে ৩৫-এর বেশি বয়সীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ফেসবুকে। কারণ একাকিত্ব। একাকী মানুষের সংখ্যা এই ১৬ কোটি মানুষের দেশেও কম নয়।
ফেসবুকে প্রবলভাবে সক্রিয় সাইদ আহমেদ মনে করেন, দাম্পত্য জীবনে খুব সুখী মানুষও কখনো কখনো শূন্যতা অনুভব করতে পারে। সেই অনুভূতি বন্ধুদের সামনাসামনি বললে সমস্যা। ‘ভাবির সঙ্গে কী হয়েছে?’ ‘ঘরে যা, ভালো লাগবে। ’ এসবের চেয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেওয়া ভালো। এমন একজন বা একাধিক বন্ধু থাকতেই পারে, যার সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নেওয়া যায়।
ভার্চুয়াল জগতে এটা করলে সমস্যা কম হয় বলে মনে করেন সাইদ।
তবে এর বাইরেও ঘটনা ঘটে। বায়বীয় সম্পর্কের কারণে বাস্তবের সম্পর্কে নতুন দিকে বাঁক খায়। তখন হঠাৎ করেই প্রোফাইলে দেখা যায় ‘রিলেশন: ইটস কমপ্লিকেটেড’। তৃতীয় কারও মধ্যস্থতায় যদিও বা সম্পর্ক ঠিক হয়, ততক্ষণে সাহেব অথবা বিবির; কিংবা দুজনেরই প্রোফাইল গায়েব।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফেসবুক বা ভার্চুয়াল মাধ্যম থেকে সন্দেহের শুরু হয়। তারপর ঘর ভাঙা, প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক ভাঙা থেকে শুরু করে মানসিক-শারীরিক নির্যাতন—সহিংস পরিণতির কথাও শোনা যায় বেশ।
মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল বললেন, ‘এটা একটা মেকি জগৎ। আমাদের কাছে মানসিক অসুস্থ হয়ে অনেক ছেলেমেয়ে আসে। মানুষের যে স্বাভাবিক জৈব প্রবৃত্তি আছে, সে কারণেই ছেলে মেয়ের প্রতি, মেয়ে ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
কিন্তু ফেসবুকে বা ভার্চুয়াল জগতে একজন শুধু একজনের সঙ্গে আবেগ বিনিময় করছে না। একজন হয়তো একাধিক ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে আবেগ বিনিময় করছে। এখানে যে আবেগটা তৈরি হয়, তা স্থায়ী নয়। ’ এর বাইরে অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার কথাও জানালেন তিনি। বললেন, ‘এখানে ফাঁদ পাতা থাকে কম বয়সীদের জন্য।
যে ফাঁদে মেয়েরাই বেশি পা দেয়। অনেকগুলো ঘটনায় দেখেছি, ছেলে বা মেয়েটি অপরাধ চক্রে জড়িয়ে পড়ছে। ওয়েব ক্যামেরায় দুজন দুজনকে এখন দেখতেও পারে। সেসব ছবির অপব্যবহার হয়। মেয়েদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়।
এমনকি সেক্সুয়াল ব্ল্যাকমেইলিংয়ের ঘটনা ঘটছে। ’
আবার অন্যদিকে বন্ধুত্বের যে ব্যাপারটা ঘটছে, ফেসবুকে তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মোহিত কামাল। ‘বন্ধুর সংখ্যা বাড়ছে, যোগাযোগের ক্ষেত্রটা বড় হচ্ছে—এসব বিষয় অবশ্যই ইতিবাচক। আমরা প্রযুক্তির বিপক্ষে নই। তবে কম বয়সী ছেলেমেয়েদের একটু ভেবেচিন্তে ভার্চুয়াল জগৎটাকে ব্যবহার করতে হবে।
মেয়েরা যেন অবশ্যই আগে নিজের নিরাপত্তার বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে কারিগরি দিকগুলো জেনে নেয়। আর মা-বাবার খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন বদ্ধ ঘরে কম বয়সী ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেট ব্যবহার না করে। কারণ, এরা আত্মরক্ষা করতে পারে না। আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না, এ যুগে এটাও বলা ঠিক হবে না। তাই কম বয়সীদের ক্ষেত্রে মা-বাবার ব্যাপক সচেতনতা দরকার।
আমরা মানি আর না মানি, বিশ্বসংস্কৃতির জোয়ারে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের মূল্যবোধ ভেসে যাচ্ছে। তাই আমাদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ছেলেমেয়েদের মনে আরও গভীরভাবে ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ’
‘অক্ষর দিয়ে মানুষ চেনা শক্ত। তাই কাছের মানুষের চেয়ে দূরের মানুষের সঙ্গে যে সম্পর্কটা হয়, তার ভিতটা দুর্বল থাকে। ’ বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন।
তাঁর মতে, ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলো অনেক বেশি পার্সোনালাইজড। বললেন, ‘আগে চিঠিপত্রেও সম্পর্ক হতো। তবে সে চিঠি লিখে পাঠিয়ে আবার উত্তর পেতে দীর্ঘদিন লেগে যেত। এখন ইন্টারনেটে তাৎক্ষণিক এ কাজটা করা যায়। সে জন্য কিন্তু সময় দিতে হয়।
সে সময়টাতে দুজন শুধু দুজনকেই দিচ্ছে। এতে বাস্তবের সম্পর্কগুলোর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগটা কমে যায়। এই সময়টা সামনাসামনি কথা বললে, দেখা হলে আমাদের সামাজিক বন্ধনটা জোরালো থাকে। ’ ফেসবুকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়। এটা ভালো।
ছবি-টবি দেখা যায়, সব খবর পাওয়া যায়। কিন্তু দূরের একজন মানুষকে শুধু অক্ষর দিয়ে বোঝা যায় না। একে বিশ্বায়নের নেতিবাচক দিক হিসেবেও চিহ্নিত করেন মাহবুবা নাসরীন। তাঁর মতে, দেখা-সাক্ষাতের মাধ্যমে যে সম্পর্ক, তার ভিত্তিটা অনেক মজবুত। আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক ঐতিহ্যও এতে অটুট থাকে।
পরিচয় গোপন করে ভার্চুয়াল সম্পর্কের ঘটনা অনেক আছে। আবার মানুষের ভেতরের আসল মানুষটা ফেসবুকে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। যে কিনা সব সময় রাগী ও গম্ভীর প্রকৃতির, লেখালেখি করে খুব ভাবগম্ভীর বিষয়ে, তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসেই হয়তো দেখা যায় ব্যাখ্যাসহ বাংলা ছবির নানান গান। মেলে না। কিন্তু এভাবেই তার ‘আমার আমি’ বেরিয়ে পড়ে।
আবার একজন সামনাসামনি কখনোই তার মেয়েবন্ধুর হাতটাও ধরতে পারে না, কিন্তু ফেসবুক চ্যাটে অবলীলায় লিখে দেয় মনের ইচ্ছা। কথা বলে নিজের বা বন্ধুর একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে। তাই না-বলা কথা বলার জায়গা হয়ে ওঠে ভার্চুয়াল জগৎ, যেখানে ভার্চুয়াল সম্পর্ক কখনো একাকিত্ব দূর করার বটিকা, কখনো বা নির্মল এক বন্ধুত্বের জায়গা, আবার কখনো এই ভার্চুয়াল জগৎই ভেঙেচুরে দেয় বাস্তব গড়ে তোলা স্বপ্নের বাগান। উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞা অনুযায়ী ভার্চুয়াল হচ্ছে ‘এটি সেটিই, যা বাস্তব নয়। ’ তাই বলে কি ভার্চুয়াল সম্পর্ক বায়বীয়? কেবলই বুদ্বুদ...।
সূত্র : প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।