আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

i এর দুনিয়া

শুধু খোদ আমেরিকাতে না সারা বিশ্বেই আইপড, আইফোন এবং আইপ্যাড তৈরী করেছে আলোড়ন। এখানকার দোকানগুলোর ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে গেলে দেখা যায় ডিসপ্লেতে সাজানো আইফোন, আইপ্যাড অথবা আইটাচ নাড়াচাড়া করবার জন্য উৎসুক মানুষের ভীড়। সেদিন এক ডিপার্টমেন্ট স্টোরে গিয়ে দেখলাম যে তারা তাদের আইফোন 4S কাঁচের শোকেসে তুলে রেখেছে। ধারণা করছি জনতার হাত থেকে একে রেহাই দেবার জন্যই এই পন্থা। সেদিন খবরে পড়লাম এই হলিডে সিজনে বাচ্চাদের গিফটের তালিকায় প্রথমেই স্থান করে নিয়েছে আইফোন 4S, এর পরপরই তালিকায় আছে আইপ্যাড টু এবং আইটাচ।

এই দেশের বাচ্চাদের আবদারের নমুনা দূর্দান্ত বলতে হবে। বাংলাদেশের কি অবস্থা জানি না। সেখানেও কি i নিয়ে মানুষের উৎসাহ একই রকম? গত মার্চে যখন আইপ্যাড টু বাজারে আসলো, নিমিষের মধ্যে শুনলাম বাজার খালি। দোকানীরা বিক্রি করে কুলোতে পারছিলো না। দোকানের সামনে মানুষ লাইন দিয়েছিল আইপ্যাড টু কিনবার জন্য।

এখন আইফোন 4S নিয়েও হচ্ছে একই কান্ড। স্টক শেষ অনেক দোকানেরই। চাইলে কেউ আগাম টাকা দিয়ে অর্ডার প্লেস করতে পারেন, দোকানীরা আপনাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ডেলিভার করবার চেষ্টা করবেন। শুধু গ্যাজেট বিক্রিতেই ব্যবসা শেষ হচ্ছে না। অপূর্ব সুন্দর এই গ্যাজেটগুলোকে দাগ, ময়লার হাত থেকে রক্ষা করবার জন্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাভার এবং স্ক্রিন প্রোটেক্টর।

সবগুলো গ্যাজেটই আসলে বিস্ময়কর। এত কাজ কি করে এত ছোট্ট ছোট্ট মেশিনেরা করে আমি ভেবে সবসময়ই অবাক হই। যখন দেখি একটি ইমেইল লিখবার জন্য টাইপ না করে ফোন কে বললেই সে নিজে থেকে লিখে যাচ্ছে তখন অবাক হওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক। অবাক হই যখন দেখি Siri'র মতন মধাবী সফটওয়্যার এসিসট্যান্ট তার ফোন ব্যবহারকারীর সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এবং যখন দিতে পারছে না সঠিক উত্তর তখন দু:খ প্রকাশ করছে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।