এইতো গত রমজানে "মিউজিক ভিডিও না চালালে ও কিছুই খেতে চায়না। " পোষ্টটি দিয়েছিলাম। ঐ লেখার শেষাংশে মা-বাবাদের জন্য একটা ফর্ম ছিলো যেটার মাধ্যমে তারা তাদের সন্তানের সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। যেহেতু লেখাটা ছিলো খাওয়া দাওয়া নিয়ে তাই যারা প্রশ্ন করেছিলেন তারা সকলেই প্রধানত তাদের সন্তানদের ঠিক মতো খাওয়ানো নিয়েই প্রশ্ন করেছিলেন। প্রতিজনের প্রশ্নের আলাদা করে উত্তর দেয়া সম্ভব নয় বলে আমি আপনাদের প্রশ্ন করা মুল সমস্যা বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেবার চেষ্টা করেছি।
চার পেজে ভাগ করেছি আমার লেখাটা। আগেই বলে রাখি, আজ পর্যন্ত আমার আর কোন লেখায় এতো সময় লাগেনি যতোটা লেগেছে এই সকল বিষয়ে লিখতে। মানে এবার মোট তিনটি বিষয়ে আমার লেখা প্রাকাশ করলাম।
শিশুকে খাওয়ানোর সমস্যা নিয়ে এই চার পাতা:
১ম পাতা: সকলেই পড়তে পারেন এই পাতা। এখানে একটা সার্বিক পরামর্শ দেবার চেষ্টা করেছি যেখানে মোটামুটি সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলা হয়েছে এবং সাথে পরামর্শ।
২য় পাতা: প্রথম পাতা পড়ার পর, যারা সন্তান লালন পালনে একটু বেশী ধৈর্য্য রাখেন এবং সন্তানদের সাথে কোয়ালীটি টাইম (quality time) কাটান বা কাটাতে চান, তাদের জন্য ২য় পাতা। এই পাতায় রয়েছে অনেক ছবি আর কিছু পরামর্শ। আমি কিভাবে আমার সন্তানদের motivation দিয়ে থাকি খাওয়া দাওয়া নিয়ে সেই কথাই বলেছি এই পাতায়।
৩য় পাতা: ১ম ও ২য় পাতা পড়ার পর যারা আরো বেশী ধৈর্য্য রাখেন এবং শিশুদের সমস্যার সমাধান শিশুর মুখেই জানতে আগ্রহি তারা এই পাতাটি পড়তে পারেন। একটি ভিডিও ও কিছু ছবি আছে আছে এখানে।
১৫ মিনিটের এই ভিডিওটিতে আমার জমজ শিশু সন্তান, শিশুদের খাওয়া দাওয়ার সমস্যা নিয়ে কিছু কথা বলেছে।
৪র্থ পাতা: এই পাতায় পাবেন বিভিন্ন ব্লগারগন শিশুদের খাওয়া দাওয়া বিষয়ে যা বলেছেন।
তবে শিশুদের সমস্যাগুলি একটি আরেকটির সাথে খুবি জড়িত। আর তাই শিশুদের খাওয়া দাওয়ার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আরো কিছু বিষয়ে লিখতে বাধ্য হয়েছি। নইলে অনেক মা-বাবারাই স্পষ্ট গাইড-লাইন পেতেন না বলে আমি মনে করেছি।
আর তাই শিশুদেরকে গল্প বলা বিষয়েও একটা পোষ্ট দিয়েছি "শিশুদেরকে গল্প বলার নানা বিষয় ও কৌশল " টাইটেলে। শিশুদেরকে গল্প বলা নিয়ে যারা বিপদে আছেন তারা অবশ্যই পড়বেন।
ঐ যে বললাম, শিশুদের একটি সমস্যা আরো কয়েকটি সমস্যার সাথে জড়িত। আর তাই "শিশু সন্তানকে ভালো কাজে উৎসাহ দেবার সহজ একটা উপায়" নিয়েও লিখতে হয়েছে এই খাওয়া দাওয়া বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে। এই পোষ্টটা যারা পড়বেন তারা আরো কিছু ফলপ্রসু পরামর্শ পাবেন।
তো যাই হোক, দেশ বিদেশ থেকে যারা প্রশ্ন করেছিলেন তাদেরকে অবশ্যই ইমেলে জানিয়ে দেবো এই পোষ্টটির বিষয়ে আর যারা মনে করেন আরো অনেকেরই পড়া দরকার, দয়া শেয়ার করবেন তাদের সাথে।
সামুর পাঠকদের জন্য:
অনেকেই আছেন যারা লিংক দেয়া পোষ্ট পছন্দ করেন না, সম্ভবত এই পোষ্ট তাদের জন্য নয়। তবে যাদের শিশু লালন পালন বিষয়ে জানতে আগ্রহ আছে তারা হয়তো লিংক দেয়া পোষ্টের কারনে বিরক্ত হবেন না। আমিও এভাবে পোষ্ট দেই না। তবে এই লেখাটা অনেক পাতায় বিভক্ত আর অনেক ছবি পোষ্ট করেছি এবার।
এতো পাতা আর এতো ছবি নিয়ে সামুর উপযোগী করে পোষ্ট করা সম্ভব হয়নি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।