প্রাণখোলা হাসির শব্দ শুনতে ভালোবাসি তবে সে হাসি হতে হবে স্বর্তস্ফূর্ত এবং মুখ খুলে। মুখ টিপে হাসার চেয়ে অট্টহাসিই আমাদের সত্যিকার প্রভাবিত করে এবং হাসির সংক্রমণ ঘটায়। সারা দিন কাজের ফাঁকে প্রায়ই ক্লানি- চলে আসে, চলে আসে তন্দ্রা। এই তন্দ্রা ও ক্লানি- কাটানোর জন্য অনেকে অনেক পথই অবলম্বন করেন। কেউ ঘন ঘন চা খান, কেউ কাজের ফাঁকে নেন ছোট বিরতি।
কিন' দিনের শুরুতেই সেই তন্দ্র্রা ও ক্লানি- আমাদের ওপর ভর করার আগেই তা কাটিয়ে নেয়া যাবে শুধু ডিম খেয়ে। সমপ্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এই তথ্যটি জানান। তাদের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের সাদা অংশে এমন এক ধরনের প্রোটিন আছে, যা আমাদের দিনভর সতেজ রাখে এবং ক্লানি- ও তন্দ্রাকে দূরে রাখে। আমাদের দিনভর সতেজ রাখার জন্য মসি-ষ্কে এক ধরনের সেল সবসময় সক্রিয় রাখে। এই সেলের নাম ওরিক্সিন সেল।
গবেষকেরা জানান, দিনভর একটানা কাজ ও বিভিন্ন দুশ্চিন-ার কারণে সি'র হয়ে যায় এই সেল। যার কারণে কাজের ফাঁকে কিংবা খাবারের পর ঘুম চলে আসে ও ক্লানি- দেহকে পেয়ে বসে। এই ক্লানি- থদূর করার সহজ একটি উপায় বের করতে এত দিন হন্যে হয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন একদল গবেষক। অবশেষে তারা সফল হন এবং তাদের প্রতিবেদনটি ১৭ নভেম্বর সায়েন্টিফিক জার্নাল নিউরন-এ প্রকাশ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওরিক্সিন সেল শুধু ক্লানি- ও তন্দ্রাই নিয়ন্ত্রণ করে না, স'ূলতাও এর সাথে জড়িত।
এই সেলের সক্রিয়তা কমায় তন্দ্রা, ক্লানি- ও স'ূলতা। আর নিষ্ক্রিয়তায় বেড়ে যায় শরীরের ওজন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকেরা অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। তারা দেখতে চাচ্ছিলেন ক্লানি- কমানো যায় কোন ধরনের খাদ্যে। পরে তারা বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে গবেষণার পর দেখলেন, ডিমের সাদা অংশে এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে, যা আমাদের দিনভর সতেজ ও ক্লানি-হীন রাখে।
এ ছাড়াও আমরা সারা দিন যেসব খাদ্য খেয়ে থাকি সেসব খাদ্যের গ্লুকোজ ওই ওরিক্সিন সেলে এক ধরনের ব্লকের সৃষ্টি করে। কিন' অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ করলে গ্লুকোজ আর ব্লক সৃষ্টি করতে পারে না। তাই তন্দ্রা ও ক্লানি- কাটাতে কাজ থেকে ঘন ঘন বিরতি না নিয়ে, একেবারে দিনের শুরুতেই নাশতায় ডিম খেয়ে নেয়া যায়। এতে ক্লানি- ও তন্দ্রা আসবে না আর স'ূলতার চিন-াও কমে যাবে।
Source: ইন্টারনেট।
and DailyNayadiganta ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।