আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

۩۞۩ রমজানের আগেই দর্জির দোকানে মুসলিম নারীদের ভীড় বেড়ে গেছে ۩۞۩

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। আমাদের দেশের বেশীর ভাগ টেইলার্স পুরুষ দর্জি দ্বারা পরিচালিত। মুসলিম পরিবারের কন্যা শিশু, কিশোরী, যুবতী, বিবাহিত মহিলারা রমজান মাসসহ সারা বছর কাপড় সেলাই করার জন্য টেইলার্সই একমাত্র ভরসা। মহিলারা জামার মাপ দেবার জন্য বা জামা সেলাই করার জন্য টেইলার্সে যেতেই পারে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, একজন পুরুষ দর্জিকে জামার মাপ দিতে হয়।

আর জামার মাপ নিতে গিয়ে দর্জি নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে স্পর্শ করে বা তাকে মাপ নেবার জন্র বাধ্য হয়েই এই কাজটি করতে হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি বড় গোনাহের। হয়ত আমরা না জেনেই এই কাজটি করে যাচ্ছি। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আরো আলোচানা করা দরকার। বেগানা দর্জির কাছে গিয়ে জামার মাপ দেয়া কতটুকু শরীয়ত সম্মত ইসলামের দৃষ্টিতে আলোচনা নারীদেরকে বুঝাতে হবে।

বিশেষ করে মা-বাবাদেরকে। নইলে এই গুনাহের অংশীদার মা-বাবাকে নিতে হবে। আমরা জানি কোন বেগানা পুরুষ নারীর শরীর স্পর্শ করতে পারে না। তাছাড়া নারী-পুরুষের মেলামেশা-কথাবার্তা কেমন হবে ইসলামে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল-কোরআনে ঘোষণা করেছেন-”(হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি) ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে।

ইহাই তাদরে জন্য পবিত্রতম পন্থা। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে, আল্লাহ পাক তা জানেন এবং মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে, তার যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য, বেশ-ভূষা ও অলংকারাদী প্রকাশ না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখে। আর তারা যেন স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, স্ত্রীলো , অধিকারভুক্ত বাদী, য়ৌন কামনামুক্ত পুরুষ ও বালক যারা নারীদের গুপ্তাঙ্গ সর্ম্পকে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো নিকট তাদের সাজ-সজ্জা, পোশাক প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশ করার জন্য (রাস্তা-ঘাটে) জোরে পদচারণা না করে, হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দরবারে তওবা কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। ” (সূরা-নূর, আয়াত-৩০-৩১) মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেন-”যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বাক্যালাপ করো না, কারণ তাতে অন্তরে ব্যধি রয়েছে সে কু-বাসনা করে। ” (সূরা-আহযাব, আয়াত-৩২) আল্লাহ তায়ালা আল-কোরআনে আরো এরশাদ করেছেনঃ বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না তারা যদি নিজেদের চাদর খুলে রাখে, তাহলে তাদের কোন (অপরাধ) গুনাহ হবে না।

তবে শর্ত হলো, তারা স্বীয় রূপ-সৌন্দর্যের প্রদশনকারিনী হিসেবে তা খুলতে পারবেনা। তবে এ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সুরা নূর, ২৪, আয়াত ৬০) “যারা কিতাবরে কিছু অংশ মান্য করে আর কিছু অংশ মেনে চলে না তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্চণা-গঞ্চণা, অপমান আর পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি। ” (সূরা-বাকারা- ৮৫) উপরোক্ত কয়েকটি আয়াত থেকে বিষয়টি সহজে বুঝা যায়।

নিজ পরিবারকে গোনাহ থেকে বাঁচানঃ মানুষ সম্পূর্নভাবে গোনাহ থেকে বাঁচতে হলে. তাকে সর্বপ্রথম নিজের পরিবারকে ঠিক করতে হবে। যদি কোন ব্যক্তির স্ত্রী-সন্তান ভুল পথে চলে এবং গোনাহের কাজে লিপ্ত হয়। কিন্তু সে তাদের প্রতি কোন ভ্রক্ষেপ না করে। সে ব্যাপারে কোন চিন্তা-ফিকির না করে। তাহলে সে ব্যক্তি গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার যতই চেষ্টা করুক না, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে না ।

কারন এ বউ-বাচ্চা তাকেও একদিন গোনাহের কাজে লিপ্ত করিয়ে ছাড়বে। তাই মানুষের জন্য যেমনিভাবে নিজে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরী, তেমনিভাবে স্ত্রী-সন্তানদেরকেও বাচিয়ে রাখা জরুরী। আর এ কাজে মহিলাদেরই ভুমিকাই সবচেয়ে বড় দখল। যদি মহিলাদের অন্তরে এ চিন্তা আসে যে, আমরা আমাদের জীবনকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর আদেশ অনুযায়ী চালাবো এবং গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবো। তাহলে ঘরের পরিবেশ ঠিক হয়ে যাবে।

কারন মহিলারাই হচ্ছে ঘরের প্রধান পরিচালিকা। আর যদি মহিলাদের অব্স্থা এমন হয় যে, তারা গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকে না। পর্দার কোন তোয়াক্কা করে না, সর্বদা গোনাহে লিপ্ত থাকে, তবে ঘরের পরিবেশ খুব খারাপ হবে। সবাই গোনাহে লিপ্ত হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।