অপ্রিয় এবং অবাঞ্ছিত... মনে হয় ছুটির দিনের সকাল।
ঘুম থেকে উঠে দেখি সে পাশে নেই। নিশ্চয় নাস্তা বানাচ্ছে। ফ্রিজের দরজা খুলে এক টুকরো মাখন লাগানো পাউরুটি বের করলাম। রান্নাঘরে ঢুকলাম পাউরুটিতে কামড় দিতে দিতে।
তাকে দেখলাম!
তার ফরসা মুখে ময়দার ছোপ। তাও কী যে সুন্দর লাগছে ওকে! ময়দার দলা পাকাচ্ছে সে একটা বোওলের ভেতর। আমার সাড়া পেয়ে মুখ তুলে তাকালো। হাসল। পরক্ষনেই ওর চোখে অভিমান দেখতে পেলাম আমি।
যেন নীরবে বলতে চাইছেঃ দেখোতো কত কষ্ট করে তোমার জন্য নাস্তা বানাচ্ছি আমি! এখনও আমি কিছু মুখে দেইনি আর তুমি কীনা পাউরুটি গেলা শুরু করে দিয়েছ!
আমি মুচকি হেসে এগোলাম ওর দিকে। পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম ওর। টাইটানিক ছবিতে নায়িকার পেছনে যেভাবে নায়ক যেভাবে দাঁড়ায়। ও আমার দিকে না তাকিয়েই হেসে ফেলল। যেন আমি কী করতে যাচ্ছি ও জানে।
ওর বাম হাত ধরলাম আমার বাম হাত দিয়ে। আমার ডান হাতে ধরা পাউরুটি ওর ময়দামাক্ত কবজি ছুঁয়ে ধীরে ধীরে ওর ঠোঁটের কাছে উঠে এলো। ঠোঁট ছুঁলো। দাঁত ছুঁলো। ও হাসিমুখে কামড় দিল পাউরুটিতে।
আমার দাঁত চাইছে ওর কানের লতিতে একটা মিষ্টি করে কামড় দিতে।
হঠাত ফোন বেজে উঠল। অ মোর জ্বালা! অ্যালার্ম বেজে উঠেছে! বিরক্ত, ঘুম ঘুম চোখে মশারির ফাঁক দিয়ে ঘড়ির দিকে চেয়েই ধক করে উঠলো বুকটা। সাড়ে নয়টা বাজে! সাড়ে দশটায় না ম্যানেজমেন্ট ক্লাস?
সারাদিন ক্লাসের ধকল শেষে দিনশেষে বিশ্লেষণে বসলাম। মেয়েটাকে কোথাও দেখেছি।
বাস্তব জগতে। চকিতে মনে হল, সে দেখতে অনেকটা এই মেয়েটার মত।
;
;
;
;
;
বিজ্ঞ ব্লগারবৃন্দ, এই খোয়াবের বিশ্ল্বষণ দিতে পারেন কেউ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।