এখানে বিনামূল্যে বিশ্ব-বিখ্যাত মাইন্ড বৈজ্ঞানিক দ্বারা মাইন্ড রিলেটেড এনি প্রবলেম অতি যত্ন সহকারে সলভ করা হয় । http://www.antiimperialist.net/
for English: Click This Link
যুক্ত আয়োজক-
International Anti-imperialist and Peoples' Solidarity Coordinating Committee
এবং
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ
কমিটি প্রেসিডেন্ট : রামজে ক্লার্ক, আমেরিকা।
সদস্য সচীব : মানিক মুখার্জী, ভারত।
সম্পাদকীয় প্রতিনিধিত্ব : আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানী, বাংলাদেশ, লেবানন(২), প্যালেস্টাইন, ভারত, নেপাল (২)।
ঢাকা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন:
রামজে ক্লার্ক,
মানিক মুখার্জী,
কমরেড পুষ্প কমল দহল প্রচন্ড
চেয়ারম্যান
ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)
নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
কার্লোস উইমার,
সাধারণ সম্পাদক
ভেনিজুয়েলা কমিউনিস্ট পার্টির
হিদার কোটিন,
ইন্টারন্যাশনাল এ্যাকশন সেন্টার
ড• হানি জামিল হাদ্দাদিন
জর্ডান কমিউনিস্ট পার্টি
সারা ফ্লাউন্ডার্স,
আমেরিকার ওয়ার্কার্স ওয়ার্ল্ড পার্টির নেতা
মরক্কোর এগ্রোনমিস্ট ড• এডেবারা আব্দেস্ সেলাম,
রি ছং,
সেক্রেটারি
উত্তর কোরিয়ার কোরিয়ান কমিটি ফর আফ্রো-এশিয়ান সলিডারেটি
মোরেনু পাসকুইনেলি,
এন্টি ইম্পেরিয়ালিস্ট ক্যাম্প,ইটালী
নানি-কফি,
কিলোম্বো সেন্টার ফর সিভিল সোসাইটি এন্ড আফ্রিকান সেল্ফ ডিটারমিনেশন-এর এক্সপ্লো, ঘানা
ড• রামসারন লোহমস,
মরিশাস কমিউনিস্ট পার্টি
খলিল এম জে আবু সামালা,
আলদামির এসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস, প্যালেস্টাইন
আলেকজান্ডার মুম্বারিস,
ফ্রান্সের কমিউনিস্ট পার্টি
এ নবী সালমান,
প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি অব বাহরাইন
ড• গায়েলা থোরমার,
হাঙ্গেরির কমিউনিস্ট ওয়ার্কার্স পার্টি
ডা• ইয়াহিয়া বাকোর,
আরব এগ্রিকালচার ইউনিয়ন, সিরিয়া
ই• থাম্বাইয়া,
নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট), শ্রীলঙ্কা
মোহাম্মদ তায়ে,
অধ্যাপক, আইন বিভাগ
লেবানন বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়াও অংশ নেবেন মিশর, তুরস্ক, কানাডা, পাকিস্তান, কিউবাসহ বিভিন্ন দেশের বামপন্থী প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইতোমধ্যে এসব দেশ থেকে প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। এর বাইরেও আরো কিছু দেশের প্রতিনিধি এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সবমিলে প্রায় ২৫টি দেশের ৫০ জন প্রতিনিধি এ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিস্তারিতঃ
গত শতাব্দীতে পৃথিবীর মানুষ দু’দুটো মহাযুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ আর নৃশংসতা প্রত্যক্ষ করেছে।
আঞ্চলিক যুদ্ধের সংখ্যাও কম ছিল না। শতাব্দীর অবসানে, এমন প্রচারও আমরা শুনেছিলাম যে পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হবে, অভাব-দারিদ্র্য এবং যুদ্ধের বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে শান্তির স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। অনেকে এ প্রচার বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু তাদের সে আশায় গুড়েবালি দিয়ে নতুন শতাব্দীর সূচনালগ্নেই প্রথমে যুদ্ধ শুরু হল ইরাকে, তারপর আফগানিস্তানে এবং সর্বশেষ লিবিয়ায়। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও ছোটখাটো জাতিগত দাঙ্গা এবং যুদ্ধ চলছে।
যুদ্ধের বিভীষিকা বিশ্বের মানুষকে প্রতিনিয়তই তাড়া করে চলেছে।
কেন এই যুদ্ধ? কেন এই বর্বরতা? ইতিহাসের যারা ছাত্র তারা জানেন যে গত শতাব্দীর বিশ্বযুদ্ধ দুটো সংঘটিত হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বাজার দখলের বিরোধকে কেন্দ্র করে। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, বেলজিয়াম, জাপান প্রভৃতি সাম্রাজ্যবাদী দেশের উপনিবেশ ছিল দুনিয়া জুড়ে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো বিভিন্ন অঞ্চল এবং দেশ সরাসরি দখল করে ওইসব দেশের কাঁচামাল, প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ লুট করতো। পরে এর সাথে যুক্ত হল নিজেদের উৎপাদিত পণ্য ওই সব দেশে বিক্রি করে বাজার লুট করা।
ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের তীব্রতার মুখে সাম্রাজ্যবাদ বাধ্য হয় উপনিবেশ ছেড়ে যেতে। দখলদার ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেই অসংখ্য দেশকে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়েছে। এর ফলে সাময়িকভাবে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।
এটা সকলেই জানেন যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পরই আবির্ভাব ঘটে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের। সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের প্রভাবেই সেদিন এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকা এবং ভারতবর্ষের বুকে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছিল।
এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমরেড স্ট্যালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরাজিত করেছিল সাম্রাজ্যবাদী ফ্যাসিস্ট জার্মানিকে। সোভিয়েতের ওই বিজয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সামনে এক প্রবল প্রতিপক্ষ হিসাবে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অভ্যুদয় ঘোষিত হয়েছিল। প্রায় একই সময়ে অভ্যুদয় ঘটে সমাজতান্ত্রিক চীনের। সমাজতান্ত্রিক শিবির সেদিন বাধ্য করেছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতি মেনে চলতে।
প্রথম এবং দ্বিতীয় উভয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ত্রবিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
অথচ যুদ্ধে তাদের প্রায় কোনো ক্ষয়-ক্ষতিই হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে নতুন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে এবং ক্রমে ক্রমে সে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থার মোড়ল হয়ে ওঠে। দুর্বল সাম্রাজ্যবাদ একই সাথে লুটের কৌশলও পাল্টায়। দেশ দখল করার পরিবর্তে অর্থনৈতিক নানা কায়দা তারা আবিষ্কার করে। গড়ে তোলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ইত্যাদি অর্থনৈতিক সংস্থা, ন্যাটোর মতো যুদ্ধজোট এবং জাতিসংঘের মতো খবরদারি প্রতিষ্ঠান।
ষাট এবং সত্তুরের দশকে আমরা দেখেছি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো যেখানেই আগ্রাসন চালাতে গিয়েছে সেখানেই জাতীয়বাদী এবং সমাজতান্ত্রিক শক্তির হাতে প্রচণ্ড মার খেয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে এবং ইন্দোচীনে (কম্বোডিয়া, লাওস) মার্কিন এবং ফরাসি সাম্রাজ্যবাদ মার খেয়ে কুকুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।
কিন্তু যত যাই করুক, টিকে থাকার জন্য যুদ্ধ সাম্রাজ্যবাদের চাই-ই চাই। কারণ আজকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির অর্থনীতির প্রধান ধারাই হল অস্ত্র-ব্যবসা অর্থাৎ যুদ্ধ-অর্থনীতি। ফলে অস্ত্র বিক্রি করার জন্য তার যুদ্ধ চাই, বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ লুট করার জন্য তার যুদ্ধ চাই।
এরই মধ্যে কমরেড স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর সংশোধনবাদী ক্রুশ্চেভ নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ’৯০ সালে প্রতিবিপ্লবী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুঁজিবাদী ধারায় ফিরে গেছে। পরে চীনও শোধনবাদী ধারায় পুঁজিবাদে প্রত্যাবর্তন করেছে। সমাজতান্ত্রিক শিবিরের অনুপস্থিতির সুযোগে সাম্রাজ্যবাদ আবার নবোদ্যমে হিংস্র মরিয়া ও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহ সারাবিশ্বে একের পর এক দখল-লুটতরাজ আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন মদদে ইসরায়েল নিজ আবাসভূমি থেকে উৎখাত করেছে প্যালেস্টাইনিদের, প্রতিদিনই সেখানে ইসরায়েলি হামলায় মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।
তেল লুট করার জন্য ইরাক, আফগানিস্থান দখল করে ১০ লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যে গণবিক্ষোভের সুযোগ কাজে লাগিয়ে লুটতরাজের নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। আফ্রিকার বৃহত্তম তেলক্ষেত্র লিবিয়াকে কব্জা করার জন্য ন্যাটোর মাধ্যমে সরাসরি সামরিক হামলা-ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। সিরিয়াকে ঘিরেও সাম্রাজ্যবাদীরা নানা চক্রান্ত ফাঁদছে। হুমকির মধ্যে রাখা হয়েছে ইরানকে।
উত্তর কোরিয়া ও কিউবায় সমাজতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য সামরিক হুমকি, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবরোধ অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে বহাল রাখা হয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ঘোষণা দেয়া ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়াসহ ল্যাটিন আমেরিকায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাওয়া দেশগুলোতে সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের অনুগতদের বসানোর হীন চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। নেপালে রাজতন্ত্র উৎখাত করে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার পরও সে দেশের মাওবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন-ভারত ষড়যন্ত্র চলছে অব্যাহতভাবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও শাসকদের সাথে যুক্ত হয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ হস্তক্ষেপ, খবরদারি, লুণ্ঠন আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি। এরা আমাদের শিল্প-কারখানা ধ্বংস করেছে, আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, আমাদের কৃষি ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।
মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানিগুলো আমাদের তেল-গ্যাস-কয়লাসহ প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ লুট করছে।
সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের দেশের জনগণের জীবনকে সংকটগ্রস্ত করেছে, বিশ্বের দেশে দেশে লুণ্ঠন চালাতে গিয়ে যুদ্ধ-সংঘাত চাপিয়ে দিয়েছে। মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিতে হলে এই ফ্যাসিস্ট সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়া উপায় নেই। সম্প্রতি বিশ্বের দেশে দেশে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নতুন জোয়ার এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উদ্যোগগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় ও সংহতি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকেই ভারতের বিপ্লবী বামপন্থী দল সোস্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অব ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) এবং তাদের সাথে যুক্তভাবে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ দুনিয়ার দেশে দেশে বামপন্থী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তি এবং ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ শুরু করে।
এরই এক পর্যায়ে ২০০৭ সালে ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সম্মেলন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিভিন্ন দেশের বামপন্থী প্রগতিশীল কমিউনিস্ট, স্যোসালিস্ট পার্টি ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ। ওই সম্মেলন থেকেই উপস্থিত নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ফোরাম (International Anti-Imperialist and Peoples' Solidarity Co-ordinating Committee - IAPSCC)। এ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন যুদ্ধবিরোধী শান্তি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তি প্রখ্যাত আইনজীবী রামজে ক্লার্ক। এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ভারতের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং এসইউসিআই(সি)-এর পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড মানিক মুখার্জী।
রামজে ক্লার্ক ষাটের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটর্নি জেনারেলের পদে থাকা অবস্থাতেই রামজে ক্লার্ক আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনে (American Civil Rights movement) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভিয়েতনামে মার্কিন অন্যায় যুদ্ধ ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে তিনি এটর্নি জেনারেলের রাষ্ট্রীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজপথে নেমে আসেন এবং ইন্টারন্যাশনাল এ্যাকশন সেন্টারের (International Action Centre) পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। জর্জ ডব্লিউ বুশের (সিনিয়র বুশ) আমলে ইরাকে অবরোধ আরোপ করে লক্ষ লক্ষ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা তিনি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেন এবং গণহত্যার দায়ে বুশের বিচারের দাবি তোলেন। ১৯৯৯ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর যুগোস্লাভিয়া আক্রমণের বিরুদ্ধেও তিনি প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করেছেন।
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি আমেরিকার মাটিতে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলেন। সাদ্দাম হোসেনের বিচারের সময় ২০০৫ সালে সাদ্দামের আইনজীবী হিসাবে ইরাকে গিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সাজানো বিচারের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
ইতোমধ্যে এ ফোরামের প্রথম সম্মেলন ভারতে এবং দ্বিতীয় সম্মেলন লেবাননের বৈরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের তৃতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল নেপালে। ইউনিফায়েড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী) এ আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছিল।
কিন্তু সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে তারা আয়োজন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। এরপর ফোরামের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ-কে সম্মেলন আয়োজন করার অনুরোধ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ফোরামের সদস্য সংগঠন হিসাবে এবং আদর্শগতভাবে সাংগঠনিক দায়িত্বের অংশ হিসাবে বাসদ বাংলাদেশে এই সম্মেলন আয়োজনে সম্মত হওয়ায় আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর ঢাকায় সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ৭ নভেম্বর মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ৯৪তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তাৎপর্যপূর্ণ এ দিবস উদযাপন এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সম্মেলন উপলক্ষে ২৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে জনসমাবেশ।
২৭ নভেম্বর দুপুর ১২টায় ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে ঢাকার রাজপথে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মিছিল এবং বিকেল ৩টায় একই স্থানে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান। ২৮ এবং ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ডেলিগেট অধিবেশন। এতে সারা দুনিয়ায় সাম্রাজ্যবাদী আক্রমণ বিশেষ করে ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়া, প্যালেস্টাইনে যুদ্ধ-দখল এবং কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ইরানে অবরোধ, বাংলাদেশে তেল-গ্যাস কয়লা লুণ্ঠন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও ‘ঢাকা ঘোষণা’ গৃহীত হবে।
সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশের মানুষের পরিচয় অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এদেশের জনগণ দীর্ঘ ২০০ বছর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক শাসন এবং এরপর ২৩ বছর পাকিস্তনি প্রায়-ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ১৯৫৭ সালে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কাগমারী সম্মেলন এদেশের বুকে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক নজির হয়ে আছে। এবারের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ঢাকা সম্মেলন বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামী ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক শান্তিকামী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী মানুষ এ সম্মেলনকে সফল করতে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন - এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
আশা করি আপনারা সকলে সবান্ধব উপস্থিত থাকবেন। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম আরো বেগবান হোক। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।