রোজা শুরু হলেই দেশে যে কমেডি প্রতিবছর দেখি আওয়ামিলিগ বিএনপি এক দল আরেক দলকে ইফতার পার্টিতে দাওয়াত করে যদিও কেউ যায়না ...... আমারও খুব ইচ্ছা একবার মাননীয় শেখ হাসিনা মাননীয় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত করব , জানা কথা তারা আসবেনা তাই সমস্যা নাই কিন্তু ওনাদের কিভাব দুটি ফুটবল ম্যাচে সর্বাধিক কতটি গোল হতে পারে? একটু ভাবুন তো। ১০টি, ১৫টি? যদি বলা হয়, হলো না, আপনার ভাবনাকে প্রসারিত করুন আরও। সেটা করলে কত দূরই বা ভাবতে পারবেন—২০, ২৫, ৫০। যদি বলা হয়, তা-ও হয়নি। আরও বেশি।
আপনার কল্পনার সুদূর ভাবনায় গিয়ে ভাবুন। ৬০, ৭০, ৮০, ৯০ কিংবা ১০০ গোল! মাত্র দুটি ম্যাচে এর চেয়েও বেশি গোল হওয়া কি সম্ভব?
বাস্তবতা বলছে, সম্ভব নয়। কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাই ঘটেছে নাইজেরিয়ায়। গত সপ্তাহে তৃতীয় বিভাগে উন্নীত হওয়ার প্লে অফ ম্যাচে আকুরবাকে ৭৯-০ গোলে হারায় প্লাতো ফিডারস! অন্য ম্যাচে বাবায়ারো ইউনাইটেডকে ৬৭-০ গোলে হারায় পুলিশ মেশিনস! দুই ম্যাচ মিলিয়ে গোলসংখ্যা ১৪৬!
স্কোরলাইন দেখে যে কেউ বলবে, ম্যাচ দুটি পাতানো ছিল। পাতানোরও তো একটা সীমা-চৌহদ্দি থাকে।
তাই বলে এত! আসল ঘটনা বুঝতে বাকি নেই নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনেরও। সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘হাস্যকর’ ওই দুই ম্যাচে অংশ নেওয়া চার দলকেই। কেলেঙ্কারির নেপথ্যের ঘটনা বের করে আনার ঘোষণা দিয়েছেন ফেডারেশনের সহসভাপতি মাইক উমেশ, ‘এটা অগ্রহণযোগ্য। এখানে বড় ধরনের কেলেঙ্কারি হয়েছে। ম্যাচে জড়িত চার দলকে দ্রুতই সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ওই দুই ম্যাচের নেপথ্যের ঘটনা বের করে আনব আমরা।
প্লাতো ফিডারস ও পুলিশ মেশিনস দুই দলের পয়েন্ট ছিল সমান। এ কারণে প্লে অফে প্রতিটি দলেরই লক্ষ্য ছিল গোল-ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া। সেটা করতে গিয়েই বোধ হয় কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে ওই দুই দল।
আর তাতে সহায়তা করেছে প্রতিপক্ষ। ম্যাচ দুটির চিত্র ছিল অনেকটা একই রকম। প্রথমার্ধের খেলা খুব বেশি অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু অবিশ্বাস্য সব গোল হতে থাকে বিরতির পর। নিজেদের ৭৯ গোলের মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধেই ৭২ গোল করে ফিডারস।
৪৫ মিনিটে ৭২ গোল, ভাবা যায়! অন্যদিকে ৬৭ গোলের মধ্যে পুলিশ লাইনস দ্বিতীয়ার্ধে করে ৬১টি। অবিশ্বাস্য!
গোল-ব্যবধান বাড়াতে গিয়ে ফেঁসে গেছে প্লাতো ফিডারস ও পুলিশ মেশিনস। ফেঁসে গেছে তাঁদের সহযোগী দুই দলও। অভিনয়টা কাঁচা হলে যা হয়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।