আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়া করে ১৮ বছরের নিচে কেউ প্রবেশ করবেন না। কোন ছাগু প্রবেশ করবেন না।

আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। আমি কিছু বলতে চাই। আমাকে বলতে দিন.। - -- - - - - - - - - - ইন্ডিয়ার মত 'বন্ধু দেশ' থাকলে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। 'টিপাইমুখে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।

' এই অঙ্গীকার করেছিলেন খোদ ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। অথচ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে চুক্তি গত ২২ অক্টোবর দিল্লিতে সই হয়ে গেছে। এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানেনি ভারত। 'ভ্রমনে সেন্চুরিয়ান' আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এখন কি বলবেন ? অবশ্য বাংলাদেশের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল টিপাইমুখে গিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও নাকি তাদের হেলিকপ্টার টিপাইমুখে নামতে পারেনি।

কথা হচ্ছে আবহাওয়া কি এখনও খারাপ রয়েছে ? পরিবেশবাদীরা আশংকার কথা শুনিয়েছেন। তারা বলছেন, টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে ডুবে যাবে এবং অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণিসম্পদ ধ্বংস হবে। ঘর আর জীবিকা হারাবে বহু মানুষ। তা ছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরে সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ইন্ডিয়ার বেইমানির ইতিহাস অনেক পুরানো ! ১৯৭৫ সালে ইন্ডিয়া গঙ্গা নদীর ওপর একতরফা ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে।

'পরীক্ষামূলকভাবে' কিছুদিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হলেও, ঐ পরীক্ষার আজও চলছে এবং তার মাশুল আজও আমরা দিয়ে চলছি। আমার দেশের ১২১,৪১০ হেক্টর চাষযোগ্য কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের ৮০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ১৭টি নদীর মৃত্যু ঘটেছে। এদিকে সরকার কিনা ইন্ডিয়াকে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দিয়ে দিয়েছে, তাও একদম ফ্রীতে ! ট্রানজিট থেকে আমাদের লাভ হওয়া তো দূরের কথা, বরং অবকাঠামো উন্নয়নে ৪৭ হাজার ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তারপরও কেন ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে? ওরা টিপাইমুখে বাধ নির্মান করলে, বন্ধ করে দেয়া হোক ট্রানজিট।

জানতে চাই, তিস্তা চুক্তির কি হলো ? বলা হয়েছিল, 'তিস্তা চুক্তি হয় নি বলে ট্রানজিট দেই নি'। এখন কি ট্রানজিটের সাথে 'একটা কিনলে আরেকটা ফ্রী' - এর মত, তিস্তাও দিয়ে হেওয়া হলো নাকি ? ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বলবেন ? এইটা অনেকটা এই রকম যে, গরু (বাংলাদেশের নদী) মেরে জুতা (ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার) দান !!! শুল্কমুক্ত প্রবেশের কথা বলা হলেও, এইখানেও অনেক ঘাপলা রেখেছে ইন্ডিয়া। বাস্তবে আমরা এর থেকে তেমন লাভবানও হচ্ছি না। প্লীজ, কেউ আমাকে এই গীত শুনাবেন না যে, 'ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল'। ইন্ডিয়া আমাদের কেন সাহায্য করেছিল, তা কি এখনো টের পাচ্ছেন না ? একাত্তরে স্বাধীনতার পর তারা অস্রসহ অনেককিছু লুট করেছিল, এত দূর যেতে হবে না, ২০১১ তে তারা কি করছে একটু চোখ খুলে দেখুন না।

ব্যপারটা অনেকটা এই রকম যে, সুন্দরী রমনীকে ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেই আবার সুযোগের অপেক্ষায় থাকা। আওয়ামিলীগ সরকার 'ভারত বান্ধব' বলে পরিচিত। এমন 'একতরফা সুবিধা' যে নেয়, তাকে কি বন্ধু বলা যায় ? 'সব আদায় করে নিব, কিন্তু কিছুই দিব না', এটা কি রকম বন্ধুত্ব ? ইন্ডিয়া আমাদের সাথে যে ব্যবহার করছে, তাকে অনেকটা 'দাসের সাথে প্রভুর আচরণ' বলা যায়। আশ্চর্যজনক হলেও, ইন্ডিয়ারই প্রদেশ মণিপুরের অনেক বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা এই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করছেন। এমনকি তারা রাজপথেও নেমেছেন।

অথচ আমাদের দেশে আন্দোলন নেই! বাড়ির জন্য হরতাল ডাকেন, তো বিরোধী দল এখন চুপ কেন ? অবশ্য বিরোধী দল এই নিয়ে প্রতিবাদ করলেই তাকে 'যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ষড়যন্ত্র' বলে দোষারোপ করবে সরকার। আর একশ্রেনীর সাংবাদিকদের ও বুদ্ধিজীবিদের নীরবতা লক্ষ্য করার মত। তারা এই ব্যপারে একদম চুপ! তাদের সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী না বলে, 'সাংঘাতিক' ও 'পরজীবী' বলাই শ্রেয় হবে। এ বাঁধ ঠেকানোর দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। ‍এখনই দেখা যাবে স্বাধীনতা, সার্বোভৌমত্বের প্রতি সত্যিকার কতটা প্রেম।

আর, সরকারের ঘুম ভাঙ্গবে কে ? সরকারের যেই দুই একজন উপদেষ্টা ইন্ডিয়ার পক্ষে রীতিমত দালালি করছেন, তারা ক্ষমতা শেষে তপ্লিতপ্লা বেধে ইন্ডিয়া বা আমেরিকা পালাবেন, ভুগতে হবে আমাদেরই। তাই জাগতে হবে আমাদের। আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না ! যারা এতক্ষণ লেখাটি পড়েছেন, তাদের অনুরোধ করব এই লেখাটি শেয়ার করুন, ছবিটিকে প্রফাইল পিকচার হিসেবে দিন। 'টিপাইমুখে বাঁধ, আমরা প্রতিরোধ করবই যদিও মনের কথা তবুও সংগৃহীত। ফেসবুক থেকে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.