আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার নারীর নির্যাতনে এক পুরুষের মৃত্যু

পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীর বর্বরতার শিকার হয়ে জাকির হোসেনের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন মারা যায়। নিহত জাকির হোসেনের মামা এনামুল হক জানান, পূর্ব শত্রুতার কারণে প্রতিবেশীরা জাকিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটক রাখে। এ সময় তাদের বাড়ির চার গৃহবধূ জাকিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় বর্বরীয় নির্যাতন চালায়। জাকিরকে প্রতিবেশীরা রাস্তা থেকে আটক করেছে-এ খবর জানাজানি হলে গ্রামবাসী সম্মিলিতভাবে ওই বাড়ি আক্রমণ করে জাকিরকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গুরুতর আহত অবস্থায় জাকিরকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা ঘটে গত ১১ নভেম্বর কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন জারেরা-জাড্ডা গ্রামে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং : ২০, তারিখ : ১৩-১১-১১।

তিনি আরো জানান, ঘটনার রাতে জাকির হোসেন গ্রামের জাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে সালিস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী শেখ সাদী (৩৫), সালাউদ্দিন (৩২), গোলাম জিলানী (৫০) ও কুদ্দুস মিয়া (৫৫)সহ ১০-১৫ জন জাকিরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর হাত, পা, মুখ বেঁধে হত্যার পর লাশ গুম করার পরিকল্পনায় বাড়ির অদূরে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় ওই সংঘবদ্ধ চক্র। এর মাঝে ওই বাড়ির দুর্ধর্ষ চার মহিলা অবরুদ্ধ জাকিরের ওপর চালায় বর্বরতা। হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই মহিলা জাকিরকে লোহার রড, দা, বটি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার গায়ে ফুটন্ত পানি ঢালতে থাকে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ওই বাড়িটি ঘেরাও দিয়ে জাকিরকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালে প্রতিবেশীদের মারমুখী পাল্টা আক্রমণের কাছে গ্রামবাসী পর্যন্ত পিছু হটে।

এরপর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুমূর্ষু অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করা হয়। এনামুল আরো বলেন, জাকিরের প্রতিবেশী ঘাতক চক্রের হোতা শেখ সাদী। তার নেতৃত্বাধীন ১৫-১৬ জন পুরুষ ও ৪-৫ জন মহিলা বরাবরই বেপরোয়া। এ চক্রের চার দাঙ্গাবাজ নারী জাকির হত্যাকা-ে সক্রিয় থাকায় গ্রামবাসী এসেও তাকে রক্ষা করতে পারল না। অন্যদিকে মামলার বাদী গোলাম মস্তোফা জানান, এ ঘটনার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর ও মারাত্মক জখম হওয়ায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ কোনো আসামি তো ধরেইনি অধিকন্তু গ্রামে গিয়ে বাদীর লোকজনের অবর্তমানে বিবাদীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখেছে।

তাছাড়া বিবাদীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে তাদের ছত্রছায়ায় নির্বিঘেœ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানান তিনি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।