ইরান যখন বেসামরিক কাজে পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার দাবি করছে, তখন দেশটির বিরুদ্ধে পরমাণু বোমা তৈরির অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের খেলা চলে আসছে প্রায় এক দশক ধরে।
এদিকে বিশ্বের কোন দেশ পরমাণু কর্মসূচির আড়ালে অ্যাটম বোমা তৈরি করে কিনা- তা তদারকির জন্য জাতিসংঘের যে অঙ্গ সংগঠন রয়েছে তার নাম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক অ্যানার্জি এজেন্সি বা আইএইএ। ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির শুরু থেকেই সংস্থাটিকে সহযোগিতা করে আসছিল। বর্তমানে আইএইএ'র প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন জাপানি বিজ্ঞানী ইউকিয়া আমানো।
এর আগে তার পদটিতে ছিলেন মিশরীয় বিজ্ঞানী মোহাম্মাদ আল বারাদি। তিনি পরপর দু'বার আইএইএ'র মহাপরিচালক ছিলেন। মোহাম্মাদ আল বারাদির আমলে আইএইএ কখনো ইরানকে সরাসরি পরমাণু অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার জন্য দায়ী করেনি। কারণ, সত্যিকার অর্থে সংস্থাটির হাতে এ ধরনের কোন প্রমাণ ছিল না বা এখনো নেই। কিন্তু মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় দায়িত্ব পাওয়ার পর আমানো শুরু করেন তার ইরান বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা।
আইএইএ প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই তিনি ইরানের কাছে জানতে চান- 'তোমরা যে পরমাণু কর্মসূচিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দাবি করছো, তাহলে তোমাদের বিজ্ঞানীরা কোথায়? আমার তো মনে হয় তোমাদের কর্মসূচি বিদেশি বিজ্ঞানীরা পরিচালিত করছে'। এর জবাবে ইরান সরল বিশ্বাসে তার সংশয় দূর করার জন্য ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের নামের তালিকা আমানোর হাতে তুলে দেয়।
আইএইএ প্রধান হিসাবে এবং সংস্থার শপথ অনুযায়ী বিজ্ঞানীদের নামের এ তালিকা অন্য কারো হাতে দেয়ার কথা তার ছিল না। কিন্তু তিনি শপথ ভঙ্গ করে এবং চরম বিশ্বাসঘাতকতার পরিচয় দিয়ে ইরানি বিজ্ঞানীদের নামের তালিকা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ওই তালিকা ধরে ধরে ইরানি বিজ্ঞানীদের হত্যার গুপ্ত মিশন শুরু করে।
নিহত হন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মাজিদ শাহরিয়ারি ও মাসুদ আলী মোহাম্মাদি।
Click This Link
Click This Link
ইরানের পক্ষ থেকে গতকাল নতুন করে আমানোর ওই বিশ্বাসঘাতী তৎপরতার নিন্দা জানানো হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমানো এমন একটি দেশের ভাঁড়ে পরিণত হয়েছেন, যে দেশটি ৬৬ বছর আগে জাপানের লাখ লাখ মানুষকে এই পরমাণু অস্ত্র মেরেই হত্যা করেছিল।
Click This Link
আফসোস তোর জন্য ইউকিয়া আমানো
তোর দায়িত্ব নয় ইরানকে নীচের দিকে নামানো
শুনতে কি পাস, কান্না ওই হিরোশিমার লাখো কোটি জনতার
পারিস যদি সে হত্যাযজ্ঞের বদলা নিতে টুটি চাপ ওবামার
বিশ্বাসঘাতকের স্থান হয় নরকের শেষ সীমানায়
এখনো সময় আছে সোজা পথে ফিরে আয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।