ক্ষমতাপ্রত্যাশি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, যিনি এর আগে হরতাল পালনের সময় অতি উৎসাহী আচরনের কারনে পুলিশ কর্তৃক প্রহারিত হয়েছেন এবং এর মাধ্যমে অতি উৎসাহী সাংবাদিকদের কল্যাণে দেশবাসীর নজর কেড়েছিলেন যা তার মন্ত্রীত্বের(হয়ত স্বরাষ্ট্র) পদকে নিশ্চিত করেছে, সেই ভাগ্যবান নেতা আজ চমৎকার বক্তিতা করেছেন, যা তার আচরনের সাথে বেশ মানানসই। বক্তিতায় তিনি বলেছেন ‘জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কইফিয়ৎ চেয়েছেন যে কেন বিরধীদল সংসদে নেই’। তার কথায় মনে হচ্ছে মহাসচিব তার ক্ষমতা এবং কার্য পরিধির বাইরে এসে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কৈফিয়ৎ চেয়েছেন, যা কিনা ইরাক-আফগানিস্হান-লিবিয়ার বিয়ষেও সরাসরি করা যায় না অথবা হয় না। বিষয়টি যদি সত্য হয় তবে তা দেশের জন্য ভয়ঙ্কর, ত্রিশ লাখ মানুষ আর অগোনিত পশুপাখির রক্তের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, যে দেশকে সোনার বাঙলা ভাবতে, আর মনে মনে নিজের সাথে উপলব্ধি করতে গর্ব বোধ করি সেই দেশে যারা চালায় তার স্বাধীন নয় ভাবতে নিজেকে আরো বেশি অসহায় আমি আরো বেশি অসহায় বোধ করছি। বিষয়টি কি আসলে তাই নাকি চোঙ্গা-ফুঁকা নেতা নিজস্ব সুদিনে দেশকে গর্ভবতী করার মত্ততা থেকে মহাসচিবের নাম ভাঙ্গালেন। তাকে আমি সুস্হ ভাবতাম যদি তিনি বান কি মুনের এ ধরনের মতামতের প্রতিবাদ করতেন। যে লোক দেশের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন নয়, অথবা বুঝেনা তার কাছে দেশ নিরাপদ নয়; এ বোধ যখন অধিকাংশ ভোট প্রদানকারী নাগরিকের মধ্যে জাগ্রত হবে তখনই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, অন্য কোন সরল পথে নয়। আর গণমাধ্যম কর্মীদের দেশের জন্য মর্যাদাহানীকর সংবাদ পরিবেশেনের আগে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। চোঙ্গা নিঃসৃত মতবাদ শুধু শুধু গনমাধ্যমে পরিবেশন করে সাধারন মানুষকে দ্বিধা গ্রস্হ কারা উচিত নয়, সবাই তো আর বান কি মুনের ক্ষমতার পরিধি জানে না, উনি যে এই পৃথিবীর সর্বময় নয় তা জেনেও চোঙ্গাওয়ালাদের অস্রাব্যতা তুলে ধরা পেশার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।