আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিশোর-তরুণদের অধৎপতনের জন্য কি মা-বাবাই দায়ী নন?

ছন্দহীন জীবন বড়ই নীরস রাস্তা দিয়ে চলার সময় কিশোরদের কথাবার্তায় যদি কেউ কান দিয়ে থাকেন, তাহলে শুনবেন তাদের আলোচনার মূল বিষয় কার মোবাইলে কোন ভিডিও আছে; কে ফেসবুকে নতুন কাকে পেয়েছে। যদিও ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার একটি মাধ্যম, কিন্তু এদেশের কিশোর-তরুণদের অধিকাংশই মেয়েদের আইডি নিয়ে প্রচণ্ডরকম উত্সাহী। ওগুলোর বেশিরভাগই যে ভুয়া, তা এদের খেয়ালে থাকে না। সাম্প্রতিককালে যেসব শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে, দেখা যাচ্ছে এগুলোতে মেয়েকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করার ঘটনা নব্বই ভাগ ক্ষেত্রে ঘটেছে। হ্যাঁ, ছেলে স্কুল-কলেজে পড়ে, জ্যামে আটকা পড়ার কারণে বা অন্য কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা লাগতে পারে।

সেজন্য কি আদৌ তার মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোনের দরকার আছে? মা-বাবাই তো কিনে দেয় মোবাইল। অভিভাবকরা যখন দেখেন ছেলে চুল না কেটে মাথার চতুর্দিকে নামিয়ে দিয়েছে, তার প্যান্ট চলে যাচ্ছে কোমরের নিচে, তখন কেন শুরুতেই তাকে বাধা দেন না? মেয়েরা কিন্তু ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক মায়েদের কাছে তাদের বাস্তবতা বলতে বাধ্য। কিন্তু ছেলেদের সাথে মা-বাবা কারোই ঘনিষ্ঠতা থাকে না। বাবা কেন বাজারে যাওয়ার সময় ছেলেকে সাথে করে নিয়ে যান না? কেন তিনি মসজিদে যান একা? অফিসে যাওয়ার সময় কেন ছেলেকে বলেন না তোমার স্কুলের পথ আর আমার অফিসের পথ তো একটাই, একসাথে যাবো চলো? ছোটবেলা দেখতাম ছেলে কোনো অপরাধ করলে বিচারে তার বাপকে ডেকে আনা হতো। বাপই তখন লজ্জায়-ক্রোধে ছেলেকে এমন শিক্ষা দিতেন, ছেলে ভয়ে কিংবা লজ্জায় আর কুপথে পা বাড়াতো না।

এখন আর সেটা হচ্ছে না। ইদানীং একটা বিলবোর্ড অনেক জায়গায় দেখা যায়, যাতে বাপ তার ছেলেকে ভালো হওয়ার জন্য উত্সাহ দিচ্ছে। এটা হতে হবে। নইলে অবস্থা খুবই ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।