আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চা বাগান, বৌদ্ধ মন্দির আর ঝুলন্ত সেতু।

আজ শুক্রবার। আমি এখন ডলি রিসোর্ট, কুমিল্লাতে। গতকাল গিয়েছিলাম রামুর ওপাশে। প্রকৃতির এক অন্য আশ্চর্য লীলাভূমি দেখতে। খুবই সুন্দর একটা জায়গা।

তবে সাধারন মানুষের জন্য সেটা খুব ব্যয়বহুল আর কষ্ট সাদ্ধ। আমি অফিসের কাজে যাওয়া। আমার এক অফিসার কে নিয়ে তার মটর সাইকেলে করে রওনা দিলাম কক্সবাজার থেকে সকাল ৯ টায়। রামু পার হয়ে নাইক্ষনছড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার পর শুরু হলো সেই এরিয়া। বিডিআর এর পাশে দিয়ে যেতে হয়।

রাস্তা তেমন ভাল না। মাটির রাস্তা আর কোথাও উচু আর নীচু। কিছু আছে ভাঙ্গা ব্রিজ। মাঝে মাঝে ২/১ টি দোকান। খাবার বলতে সামান্য বিস্কুট আর পাহাড়ী কলা।

খুবই সুস্বাদু সেই কলা। আসার পথে ৪ টা কলা খেয়েছিলাম। অনেকদিন পর কেমিক্যাল ছাড়া কলা খেলাম। ঢাকার কলা খেতে খেতে কলার স্বাদই ভুলে গিয়েছিলাম। যা হোক আমরা যাচ্ছি তো যাচ্ছিই।

চারিদিকে রাবারএর বাগান তার মাঝে দিয়ে রাস্তা। মনে হচ্ছিলো যে আমরা ছাড়া এ পৃথিবীতে কেউ নাই। আমার ধারনা ছিলো যে এখানে যে ভদ্রলোকের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি উনি হয়তো এখান কার বাসিন্দা। আমরা যখন ম্যানেজারের বাংলোতে পৌছালাম তখন উনি ছিলেন না। পাশের বিডিআর এর ক্যাপ্মএ ছিলেন।

আমাদের ফোন পেয়ে চলে আসলেন। ভদ্রলোক এর বাসা বগুড়া। চাকুরীর জন্য উনি এখানে ১৬ বছর থেকে আছেন। উনাকে দেখে আমার মনে হলো কিছু প্র্রশ্ন করি। উনাকে প্রথম প্রশ্ন করলাম যে "আপনি এই জঙ্গলে কিভাবে একা আছেন।

" উনি হাসলেন এবং বললেন এখানে প্রচুর মানুষ আছে। এখন সবাই কাজে গিয়েছে। তবুও আমার বিশ্বাস হলো না। উনার সাথে কথা বলে আমাদের নিয়ে গেলো রাবার প্রসেস সেন্টারে। রাবার প্রসেস সেন্টারে গিয়ে দেখি যে আসলেই অনেক মানুষ।

সবাই আমাদের দিকে তাকাই আছে। সবাই একটু খুশিও হয়েছে যে আমরা ২ জন উনাদের দেখতে এসেছি। আমাকে মনে হচ্চিছলো যে আমি অসাধারন কেউ একজন। রাবার প্রসেস সেন্টার টা পাহাড়ের নীচে। আমাদের নিয়ে গেলো।

ওখানেও অনেক মানুষ। রাবার যেভাবে প্রসেস করে তা হলো: প্রথমে রাবার গাছ থেকে রস নিয়ে এসে একটা বড় ড্রামে ঢেলে দেয়। সমান পরিমান পানি দেই এবং একটি কেমিক্যাল দেয়। তার পর স্টিলের কিছু প্লেট দেয়। একদিন পর রাবার গুলো জমে গেলে প্লেটের মাঝে থেকে রাবার গুলো বের করে নেই এবং একটা মেশিনে দিয়ে পানি গুলো বের করে নেই।

৩টি মেশিনে পানি বের করার পর রোদে শুকাতে হয় এবং পানি শুকিয়ে দেলে চুল্লিতে দেওয়া হয়। তখন রাবারের রঙ আসে। তারপর বাজারে বিক্রি করা হয়। এখন ১ কেজি রাবারের নাম ২৬০ টাকা। যা হোক তার পর উনি আমাদের নিয়ে গেলেন তার চা বাগানে।

রাবার প্রশেস সেন্টার থেকে আরো ২০ মিনিট লাগলো পাহাড়ের আকা বাকা পথ দিয়ে। চা বাগানে গিয়ে আশ্চর্য হযে গেলাম। এখন কেবল লাগাইছে। আরো ৪ বছর লাগবে। যাহোক আমি উনাকে কিছু উপদেশ দিলাম তার চা বাগান আরো ভাল করে কিভাবে করা যায়।

পোকা মাকড় থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায়। তার পর আমরা চলে আসলাম। ওখান থেকে গেলাম ঝুলন্ত ব্রিজ দেখতে। খুব সুন্দর না ব্রিজটা তবে দেখতে খারাপ লাগে নাই। তারপর গেলাম বৌদ্ধ মন্দির দেখতে।

অসম্ভব সুন্দর একটা মন্দির । মজার বিষয় হলো এই মন্দির টা কমে তৈরী করা হয়েছে তা কেউ জানে না। লেখা আছে ৩০৮ সালের পূর্বে। বৌদ্ধ মন্দিরটি অসম্ভব রকম সুন্দর। কিছু পিতলের জিনিস আর কষ্টি পাথরের মুর্তি আছে।

সেগুলোও অনেক সুন্দর। তারপর আমরা কক্সবাজার চলে আসলাম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।