পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধী বিষয়ে এক নতুন তথ্য আবিষ্কার করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংসদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকী একজন যুদ্ধাপরাধী। আমি তাঁর বিচার দাবি করছি। ’
এ ব্যাপারে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে শওকত মোমেন শাহজাহান বলেন, ‘যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় লুণ্ঠন, ডাকাতি, ধর্ষণ ও মানুষ খুন করেছে তারাই যুদ্ধাপরাধী।
যেহেতু কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংক থেকে ১৯ লাখ টাকা লুণ্ঠন করেছেন, ব্যাংকে রক্ষিত ২০ কেজি স্বর্ণ ডাকাতি করেছেন, করটিয়া ও দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি লুণ্ঠন করেছেন এবং যুদ্ধের সময় নিরপরাধ লোকজনকে হত্যা করেছেন—এ জন্য তিনিও একজন যুদ্ধাপরাধী। তাই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। ’
আজ বুধবার টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া এয়ারফোর্স বাজারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে এক জনসভায় শওকত মোমেন এসব কথা বলেন। সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করেন।
সখীপুর উপজেলা থেকে ২০টি বাস, ১৫টি ট্রাক ও মোটরসাইকেল যোগে জনসভায় লোকজন আনা হয়।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) জামায়াতে ইসলামীর আমির সেজেছেন। তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষি খাতে নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তবে মোহাম্মদ নাসিম কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধাপরাধী, এ প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য রাখেননি।
যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খান ফারুক, আবদুস সালাম খান, জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, সখীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত শিকদার, বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজি অলিদ ইসলাম, সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সখীপুরে ভোট ডাকাতি দিবস পালন উপলক্ষে এক জনসভায় বক্তব্য দেন।
কাদের সিদ্দিকীকে যুদ্ধাপরাধী বলার নেপথ্য কারণ :
১. কাদের সিদ্দিকী এখন আর আওয়ামী লীগ করেন না ।
২. কাদের সিদ্দিকী ও শওকত মোমেন শাহজাহান জাতীয় সংসদ নি্র্বাচন করেন একই আসনে।
সব কথার মূল কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে যেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে সেই যুদ্ধাপরাধী.....এটাই আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধীর সংজ্ঞা।
এই সংজ্ঞা মোতাবেক কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধাপরাধী ।
আর যদি কাউকে যুদ্ধাপরাধী বানানো না যায়, তাহলে তাকে মেরে ফেলে হলেও ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার রাখতে হবে (যেমন নরসিংদীতে লোকমানকে হত্যা করা হলো).....এটাই আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালের পর থেকে মূলনীতি।
শওকত মোমেন শাহজাহান যে সংজ্ঞা মোতাবেক কাদের সিদ্দিকী যুদ্ধাপরাধী বলছেন, সেই সংজ্ঞা মোতাবেক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে এ পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিষ্কার রাখতে ২ টা কাজ খুব শক্ত হাতে করছে-
১। বি.এন.পি-কে দুর্নীতিবাজ হিসেবে জনগণের সামনে চিহ্ণিত করা, যেটা তত্ববধায়ক সরকার শুরু করে দিয়ে গেছে।
২। জামাতকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে পুরো দলকে সমূলে ধ্বংস করা।
তাহলেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়ার সব পথ পরিষ্কার .............!!!
আওয়ামী লীগ এটাই করছে..........আর ভাবছে জনগণ এসবের কিচ্ছু বুঝে না.........!!!
আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্য যদি সৎ হতো তাহলে জনগণের জন্য দেশের জন্য ভাল কাজ করে জনগণের মন জয় করা উচিত..........ভাল কাজ করলে আবারো জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে......এটাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগ সে পথে অগ্রসর না হয়ে জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়ে চোরা গুপ্তা পথে আগামীতে ক্ষমতার আসতে চাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।